
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ আপনাদের সবাইকে আমাদের এই ওয়েবসাইটে স্বাগত জানাই। বাংলা দ্বিতীয় পত্রের ব্যাকরণ এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হল ভাব সম্প্রসারণ। আমরা ইতোমধ্যে আমাদের এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা চেষ্টা করেছি আপনাদের সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত প্রয়োজনীয় সকল ভাব-সম্প্রসারণ ই এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তুলে ধরার।
আজকে যে ভাব সম্প্রসারণ কে নিয়ে আলোচনা করব বিশেষ করে সেটি নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের উপযোগী একটি ভাব সম্প্রসারণ।
ভাব সম্প্রসারণ: প্রয়োজনীয়তাই উদ্ভাবনের জনক।
মূলভাব: প্রয়োজন বা চাহিদা অনুভূতি থেকেই মানুষ তিলে তিলে সভ্যতাকে গড়ে তুলেছে। মানুষের যদি কোনো প্রয়োজনই না থাকতো তাহলে মানুষের মধ্যে এত কর্ম ব্যস্ততা থাকত না। প্রয়োজন থেকেই সব কিছুর উদ্ভব ঘটে। প্রয়োজন না থাকলে মানুষের ভাবনাও থাকে না, কোনো কিছু করার আগ্রহও থাকে না। তাই সব সৃষ্টির শুরুতে যে বিষয়টি বিবেচ্য, তা হচ্ছে ‘প্রয়োজন’।
সম্প্রসারিত ভাব: পরিশ্রম যেমন সৌভাগ্যের মাতা, তেমনি প্রয়োজন উদ্ভাবনের জনক। আজকে সভ্যতা ও বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার সমূহ মানুষের প্রয়োজনের দাবিতেই অর্জিত হয়েছে। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব মূলত তার বিচিত্রমুখী কর্ম সাধনায় নিহিত। সম্পূর্ণ অপরিচিত অনভিজ্ঞ ও অসহনীয় প্রাকৃতিক পরিবেশে মানুষের জন্ম। জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত পৃথিবীর সব কাজে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা যা কিছু দৃশ্যমান সবই প্রয়োজনের তাগিদে সৃষ্টি।
সভ্যতা বলতে আমরা যা বুঝি, তার জন্ম ও বিকাশের কারণ অনুসন্ধান করলে পরিষ্কার বোঝা যায়- মানুষের প্রয়োজন থেকেই এর উদ্ভব। অবশ্য সভ্যতা কোনো প্রাকৃতিক দান নয়। কোনো অলৌকিক শক্তির কারণেও এর জন্ম হয়নি।
পৃথিবীতে যখন মানুষের আবির্ভাব ঘটেছে, তখন থেকেই সে জীবনের অস্তিত্ব রক্ষা ও সুখভোগের তাগিদে নানাবিধ প্রয়োজন অনুভব করেছে। যখন সে যা কিছুর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে, তখন সে চেষ্টা করছে সেই প্রয়োজনীয় জিনিসটি উদ্ভাবন করতে। এভাবে আপন প্রয়োজন অনুযায়ী কখনো সহজে, কখনো বা কঠিন ও দীর্ঘ সাধনার মাধ্যমে মানুষ তার দরকারি বস্তু আবিষ্কার করেছে। মানুষের যদি কোনো কিছুতে দরকার না থাকে, তাহলে তা পাওয়ার জন্য চেষ্টার প্রশ্নও ওঠে না।
পৃথিবীর সূচনা থেকেই মানুষ তার প্রয়োজন মেটানো বা অভাব পূরণের নিমিত্তে বিচিত্র জিনিস উদ্ভাবন শুরু করে। শিক্ষার প্রয়োজন উপলব্ধি করে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল, ঔষধ ও বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ের জন্য এক্সরে মেশিন, আলট্রাসনোগ্রাফি ইত্যাদি আবিষ্কৃত হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি কল্পে টেলিফোন, ফ্যাক্স, ইন্টারনেট, ই-মেইল, কম্পিউটার, মোবাইল ইত্যাদি আবিষ্কৃত হয়েছে। সর্বোপরি বিশ্বের সর্বত্র যে বিশাল কর্মকাণ্ডে মানুষ নিয়োজিত রয়েছে তা কেবল প্রয়োজন সাধন এই নিবেদিত।
মন্তব্য: মানুষের প্রয়োজন সংখ্যায় অসীম। মানবজাতির প্রয়োজনের কোন শেষ নেই। একটা প্রয়োজন না মেটাতে আরেকটার প্রয়োজন এর আবির্ভাব ঘটে। আর এজন্যই সভ্যতার সীমাহীন প্রয়োজনের তাগিদেই মানুষ আবিষ্কার করেছে নতুন নতুন পন্থা, উপকরণ ও পণ্য। তাই চাহিদা বা প্রয়োজন না থাকলে মানবজীবন হয়ে পড়তো শ্রীহীন ও স্থবির।
শিক্ষার্থীবৃন্দ আপনারা যারা বাংলা ব্যাকরণের ভাব-সম্প্রসারণ পেতে ইচ্ছুক তারা আজই এখনই আমাদের এই ওয়েবসাইট পেজে সার্চ দিলেই আপনাদের কাঙ্ক্ষিত ভাব-সম্প্রসারণ পেয়ে যাবেন। আপনারা ইচ্ছা করলে যেকোনো সময় যেকোনো মুহূর্তে আমাদের ওয়েবসাইটে ঢুকে আপনাদের শিক্ষামূলক যেকোনো তথ্য সহজে পেয়ে যাবেন। আমরা চেষ্টা করেছি সব কিছুই এখানে সহজ এবং সুন্দর ভাষায় উপস্থাপনা করার। আমাদের ওয়েবসাইটে যেসকল ভাব সম্প্রসারণ গুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো তা অবশ্যই আপনাদের ভালো লাগবে এবং পড়াশোনার পাশাপাশি এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনাদের অনেক কাজ সহজ ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
Leave a Reply