
একটি শিশু জন্মের পর তার পিতামাতার কাছ থেকে সর্বপ্রথম একটি সুন্দর না পেয়ে থাকে। একটি সুন্দর নাম করণের মাধ্যমে একটি মানব শিশুর জীবন যাত্রা শুরু হয় এবং সারা জীবন সেই নামটি তার পরিচয় ও ব্যক্তিত্ব বহন করে। আজকের শিশুরাই আগামী দিনের বিখ্যাত ও মহান ব্যক্তি হয়ে উঠবে আর সারা পৃথিবীর মানুষ তাদের নাম দিয়েই চিনবে।
একটি সুন্দর নাম একটি মানুষের সুন্দর ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটাতে ও মানুষের মধ্যে কার আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। শিশুর নামকরণ এর কাজটি সকলের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় আনন্দের একটি কাজ। তাছাড়া নামকরণের ক্ষেত্রে পিতা-মাতা ছাড়া পরিবারের প্রতিটি সদস্য অনেক কিছু বিচার-বিশ্লেষণ করে।
নামকরণের কাজটা যতটা সহজ মনে হয় ততটা সহজ নয় এটা কেননা একটি নাম কেবল তাকে সম্বোধন করার জন্য নয় বরং সারাটি জীবন নাম তার সঙ্গী ও পরিচয় হিসেবে থাকে। মানুষ মারা গেলে হয়তো পৃথিবী থেকে তার দেহটা বিলীন হয়ে যায় কিন্তু তার নাম ও কর্ম পৃথিবীতে বেঁচে থাকে ও মানুষ তার নামের মাধ্যমে তাঁকে স্মরণ করতে। তাই বলা যায় যে একটি নাম মানুষের জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
যেহেতু নাম মানুষের জীবনে অনেক প্রভাব বিস্তারকারী একটি বিষয় তাই নাম রাখার ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যরা কিংবা পিতা-মাতা অনেক সতর্ক থাকে যেন তাদের আদরের সন্তানের নাম সবার থেকে সুন্দর ও ইউনিক হয়। শিশুর সুন্দর নাম তার আত্মবিশ্বাস ও অনুপ্রেরণা হয়ে চিরকাল পাশাপাশি থাকে।
নাম যদি শুনতে শ্রুতিমধুর না হয় কিংবা নামের অর্থ যদি ভালো না হয় তাহলে বেশিরভাগ সময় দেখা যায় যে তাদের কারণে একটি মানুষকে বিভিন্ন রকম বিব্রতকর সিচুয়েশনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় যেটা তার আত্মসম্মান ও কনফিডেন্স কে কমিয়ে দিতে পারে। শিশুর নামকরণ নিয়ে প্রায় সব মানুষই অনেকগুলো দিক বিবেচনা করে থাকে।
যেমন নামটা যেন সংক্ষিপ্ত সুন্দর হয়, নামের অর্থ যেন পজিটিভ দারুন হয়। এটা বলা হয়ে থাকে যে একটি নামের শব্দের অর্থ গুলো একটি মানুষের মধ্যে ভবিষ্যতে প্রতিফলিত হয় আর খারাপ অর্থ বহন করে না আমের গুণাগুণ মানুষের ব্যক্তিত্বে নেগেটিভ প্রভাব বিস্তার করে। নামের অর্থ ভাল সংক্ষিপ্ত কিন্তু শুনতে যদি শ্রুতিমধুর না হয় তাহলে কিন্তু একটি শিশু বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পতিত হবে।
দুই ও তিন অক্ষরের নাম
বাচ্চার নাম যেন সংক্ষিপ্ত সুন্দর গো শ্রুতি মধুর হয় সে কারণে দুই অক্ষরের নাম গুলো সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। বেশিরভাগ মানুষের নাম দুই অক্ষরের তিন অক্ষরের মধ্যেই পাওয়া যায়। দুই অক্ষরের তিন অক্ষরের নাম গুলো শুনতে যেমন ভালো লাগে তেমনি ছোট হওয়াতে সহজে লেখা যায়। তাছাড়া এমনও হতে পারে যে পরিবারের প্রতিটি বাচ্চার নামের অক্ষর দুইটি অথবা তিনটিই সেক্ষেত্রে দুই অক্ষর ও তিন অক্ষর বিবেচনা করে রাখা হয়ে থাকে। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের পছন্দের ফ অক্ষর দিয়ে হিন্দু ধর্মের মেয়ে শিশুর জন্য কিছু নাম সংগ্রহ করেছি। আপনারা যদি ফ অক্ষর দিয়ে দুই অক্ষরের তিন অক্ষরের নাম সহজে পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
পছন্দের অক্ষর দিয়ে নাম রাখা একটি জনপ্রিয় ট্রেন্ড বলা যায়। আজকে আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি ফ অক্ষর দিয়ে আপনাদের হিন্দু ধর্মের মেয়ে শিশুদের জন্য অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু নাম। বেশিরভাগ সময় দেখা যায় যে পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সাথে নামের অক্ষর মিলিয়ে নাম রাখা হয় পরিবারের নতুন সদস্য টির। এখনো কখনো কিছু পরিবারের রীতি অনুযায়ী পরম্পরা মেনে একই অক্ষরের নাম রাখা হয় প্রতিটি কন্যা সন্তানের।
কন্যা সন্তানের নাম রাখার ক্ষেত্রে হিন্দু ধর্মে বেশিরভাগ সময় দেবীদের নাম অনুসরণ অনুকরণ করে রাখা হয়। আজকে আপনাদের পছন্দের অক্ষর ফ দিয়ে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি অনেক সুন্দর সুন্দর নাম। এসব নামগুলো আমরা সংগ্রহ করেছি সেইসাথে রং গুলোর অর্থ ক্রমান্বয়ে রেখে দিয়েছি।ফ অক্ষর দিয়ে একসাথে এতগুলো নামের তালিকা যদি আপনারা পেয়েছেন তাহলে খুব সহজেই আপনাদের পছন্দের নাম কি আপনারা অতি সংক্ষিপ্ত সময়ে ও কম পরিশ্রমে খুঁজে পেতে পারবেন।

Leave a Reply