
আরবি মাস অনুসরণ করে রবিউল মাস হলো তৃতীয় নম্বর মাস এবং এই মাসের ফজিলত অনেক বেশি। তাই আপনারা যারা আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে রবিউল আউয়াল মাসের ফজিলত জানতে আসার পাশাপাশি এ মাসে কি ধরনের আমল করা যেতে পারে তা জানতে চান তাদেরকে এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা তো জানিয়ে দেবো। তাই খুব সহজভাবে আপনাদেরকে যদি বোঝাতে চাই তাহলে বলব যে রবিউল আউয়াল মাস হলো এমন একটি মাস যে মাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জন্ম গ্রহণ করেছেন এবং এই মাসের সেই দিনেই মৃত্যুবরণ করেছেন। যে নবী সৃষ্টি না হলে এই পৃথিবীর অথবা মুসলিম বিশ্বের মানুষজন সঠিকভাবে আল্লাহকে চিনতে পারতেন না সেই নবী এই মাসে জন্মগ্রহণ করেছেন বলে এই মাসের গুরুত্ব অনেক বৃদ্ধি পেয়ে গিয়েছে।
তাছাড়া এই মাসে মুসলমানের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু রয়েছে এবং বিশেষ করে সোমবারের দিন যে ইবাদত গুলো রয়েছে সেগুলো যদি আপনারা করতে চান তাহলে তা করতে পারবেন। কারণ সোমবারের রোজা যদি আপনি রাখতে পারেন তাহলে রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এ প্রসঙ্গে বলেন যে তিনি এই দিনে জন্মগ্রহণ করেছেন বলে এই দিনে আপনার রোজা পালন করতে পারবেন এবং এই দিনে তাঁর ওপরে ওহী নাযিল করা হয়েছে। তবে আমাদের আশেপাশের পরিবেশের দিকে তাকালে দেখা যায় যে বর্তমান সময়ে অনেকেই এই মাসকে ঘিরে বিভিন্ন ধরনের প্রথা অথবা রীতিনীতি চালু করে ফেলেছেন। যেগুলো বিদআতের শামিল হওয়ার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন। এ প্রসঙ্গে নবীজী সাঃ বলেছেন যে আমাদের শরীয়তে নেই এমন বিষয় যেন আবিষ্কার করবে তারা আমাদের দলভুক্ত নয়।
তাই আপনারা রবিউল আউয়াল মাসের গুরুত্ব বুঝে এই মাসে বিভিন্ন ধরনের ইবাদত বন্দেগী করতে পারেন। তবে আপনাদেরকে এক্ষেত্রে যে সকল আমল করতে হবে সেই আমল গুলোর ভেতরে এমন কিছু করা যাবে না যেটা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুসরণ করেননি। আপনারা যখন রবিউল আউয়াল মাসের আমল সম্পর্কে জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট বের করে থাকেন তখন বলব যে কোরআন হাদিসে এরকম কোন বর্ণনা নেই। যেহেতু ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে যেকোনো ধরনের জন্মদিন পালন করা বিদআত সেহেতু নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর জন্মদিন পালন করা যাবে না।
তাছাড়া মৃত্যু দিন নিয়ে আমরা যে বিশাল বিশাল আয়োজন করবে সেগুলো করা যাবে না। তবে যে মহামানব সৃষ্টি না হলে আমরা ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে বুঝতাম না এবং যে গ্রন্থ আবিষ্কার না হলে আমরা আমাদের পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থাকে পরিচালনা করতে পারতাম না তাঁর ওপরে কৃতজ্ঞতা স্বরূপ অবশ্যই আমাদেরকে বিশেষ কিছু আমল করতে হবে। এই বিশেষ দিনে চাইলে আপনারা একত্রে উপস্থিত হয়ে দরুদ শরীফ পাঠ করতে পারেন এবং নবীজির রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য সকলে দোয়া করতে পারেন। এই বিশেষ দিনে নবীজি সাঃ জন্মগ্রহণ করেছেন বলে অথবা এই মাসে জন্মগ্রহণ করেছেন বলে আপনারা সেই মাসে এবাদত করার ক্ষেত্রে সাধারণভাবে প্রত্যেকটি ইবাদত করতে পারবেন।
তবে বিশেষভাবে কেউ যদি ইবাদত করতে চান তাহলে ১২ই রবিউল আউয়াল আপনারা এবাদত করতে পারেন। তাছাড়া রবিউল আউয়াল মাসের ইবাদত হিসেবে আপনারা যখন ইবাদত জানতে চেয়েছেন তখন বলব যে প্রতি চন্দ্র মাসের 13-14 এবং ১৫ তারিখে আইয়ামে বিজের তিনটি রোজা রাখতে পারেন। তাছাড়া অন্যান্য ইবাদতের ভিতরে আপনারা প্রতি সপ্তাহের সোমবার এবং বৃহস্পতিবার রোজা রাখার অভ্যাস করতে পারেন এবং এর মাধ্যমে যেমন বৈজ্ঞানিক সুবিধা পাবেন তেমনি ভাবে ইসলামিক সুবিধা পাবেন। তাছাড়া এই মাসে আমরা নবীজির জন্ম তারিখ সম্পর্কে জানি বলে নবীজি সম্পর্কে বেশি বেশি জানার চেষ্টা করব এবং তিনি তার বাস্তব জীবনে যে ধরনের আমল করেছেন অথবা যে ধরনের কাজগুলো করেছেন সেগুলো যদি আমাদের জীবনের প্রতিফলন করার চেষ্টা করি তাহলে সবচাইতে ভালো হবে।
Leave a Reply