আপনি কি বাংলা ব্যাকরণ অংশের বিভিন্ন বিষয়ে রচনা খুঁজছেন? তাহলে অবশ্যই আমাদের এই ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন। এখানে ষষ্ঠ থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পরীক্ষার উপর যে সকল রচনাগুলো এসে থাকে সেগুলো নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে।
আমরা চেষ্টা করেছি বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় যে সকল রচনা রয়েছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা র। আমরা এখানে প্রতিটি রচনার মূল বিষয়বস্তু গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আজকে আমরা যে রচনাটি নিয়ে আলোচনা করব সেটি আপনারা বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষা সহ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় দেখে থাকবেন। আজকের রচনার বিষয়টি হলো:
অধ্যবসায়
আমরা রচনা বিষয়বস্তু যাওয়ার আগেই এখানে কি কি বিষয়ের উপর আলোচনা করবো তার একটি সার-সংক্ষেপ তুলে ধরলাম:
ভূমিকা, অধ্যবসায় কি?, অধ্যবসায়ের প্রয়োজনীয়তা, অধ্যবসায়ের দৃষ্টান্ত, ছাত্রজীবনে অধ্যবসায়, ব্যক্তিজীবনে অধ্যবসায়, অধ্যবসায় ও প্রতিভা, অধ্যবসায়ের ভূমিকা, মানব জীবনের অধ্যবসায়, অধ্যবসায় বিমুখের অবস্থা উপসংহার।
ভূমিকা: মানুষের জীবনে একটা লক্ষ্য থাকে। আর সে তা অর্জন করতে চায়। অন্যভাবে বলা যায়, অধ্যবসায় জীবনের চাবিকাঠি। কর্ম ও সাধনায় সাফল্য লাভের জন্য বারবার চেষ্টা বা সংগ্রাম করার নামই অধ্যবসায়। অধ্যবসায়ের বলেই মানুষ অসম্ভবকে নিজ আয়ত্বে আনতে সক্ষম হয়েছে।
অধ্যবসায় কি: অধ্যবসায় শব্দের অর্থ হলো অবিরাম সাধনা। কোনো একটি কাজ সফল হওয়ার জন্য বারবার চেষ্টা করার নামই হচ্ছে অধ্যবসায়।
অধ্যবসায়ের প্রয়োজনীয়তা: জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতা লাভের জন্য অধ্যবসায় একান্ত আবশ্যক। অধ্যাবসায় মানব জীবনের সংগ্রাম এর মূল প্রেরণা ও চালিকা শক্তি। অধ্যবসায় হীন মানুষ জীবনে কোনো সফলতা লাভ করতে পারে না। মনে রাখতে হবে, “ব্যর্থতাই সফলতার চাবিকাঠি।” কবির ভাষায়—পারিব না এ কথাটি বলিও না আর, একবার না পারিলে দেখ শতবার”।
অধ্যবসায়ের দৃষ্টান্ত: অধ্যবসায়ের ফলে মানুষ অজানাকে জানতে পেরেছে, দুর্জয় কে জয় করেছে, এবং অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হযরত মুহাম্মদ (সা)যখন আল্লাহর নির্দেশে ইসলাম ধর্ম প্রচার করতে আরম্ভ করলেন, তখন তিনি অনেক বাধা বিঘ্নের সম্মুখীন হয়েছিলেন। তখন আরব দেশের অধিবাসীরা তার ওপর অত্যাচার-জুলুম শুরু করল। এমনকি তারা হযরত মুহাম্মদ(সা) কে মেরে ফেলার চেষ্টাও করেছিল। তা সত্ত্বেও নবী করিম (সা) ধর্মপ্রচার থেকে সরে দাঁড়াননি। শেষ পর্যন্ত তিনি সফলতা লাভ করেন।
ছাত্রজীবনে অধ্যবসায়: ছাত্রজীবনে অধ্যবসায়ের প্রয়োজন সর্বাধিক। ছাত্ররা সমাজের ভবিষ্যৎ গৌরবকতন। অধ্যবসায়ী ছাত্র অল্প মেধাশক্তি সম্পন্ন হলেও সাফল্য লাভ করতে পারে। ছাত্রজীবনে অধ্যবসায় যতখানি প্রয়োজন সম্ভবত অন্য কোন সময় ততখানি নয়। ছাত্র-ছাত্রীরা অধ্যবসায় দ্বারাই সফলতার চরম শিখরে আরোহণ করতে পারে।
ব্যক্তিজীবনে অধ্যবসায়: জীবনের সঙ্গে অধ্যবসায়ের সম্পর্ক নিবিড়। ব্যক্তিজীবনে অধ্যবসায়ের গুরুত্ব আরোও অনেক বেশি। অধ্যবসায়ী ব্যক্তির পক্ষেই জীবন সংগ্রামে জয়ী হওয়া সম্ভব। জীবনে সহজেই কোন কিছু পাবার সুযোগ নেই। তাই কোনো বাধাই কিছু না হয়ে অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে সুখ শান্তি অর্জন করতে হবে।
অধ্যবসায় ও প্রতিভা: অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী না হলে বড় কাজ সাধন করা যায় না, এমন ধারণা পোষণ করা মোটেও উচিত নয়। কারণ অধ্যবসায় ও পরিশ্রম ব্যতীত শুধু প্রতিভায় কাজ হয় না। জগতে বহু বিখ্যাত লোক রয়েছেন যারা প্রতিভাবান অপেক্ষা অধ্যাবসায়ীই ছিলেন বেশি। ভলটেয়ার বলেছেন,” প্রতিভা বলে কিছু নেই, পরিশ্রম ও সাধনা করে যাও তাহলেই প্রতিভাকে অগ্রাহ্য করতে পারবে।”
উপসংহার: অধ্যবসায় সৌভাগ্যের প্রসূতিস্বরুপ। পৃথীবির যারা মরেও অমর হয়ে আছেন তারা সকলেই অধ্যবসায়ী ছিলেন। প্রতিভার গুণে শুধু সফলতা লাভ করা যায় না, যাদের প্রতিভা আছে তাদের যদি অধ্যাবসায় থাকে তাহলেই কেবল উন্নতির চরম শিখরে আরোহন করা সম্ভব। কারণ অধ্যাবসায়ী মানুষকে পৃথিবীতে সুফল জীবনের অধিকারী করতে পারে। করতে পারে স্মরণীয়-বরণীয়। তাই প্রতিটি মানুষকে হতে হবে অধ্যবসায়ী।
প্রিয় শিক্ষার্থীরা আশাকরি উপরের রচনাটি আপনাদের অবশ্যই ভালো লাগবে। আমরা যে কয়টি পয়েন্ট আলোচনা করলাম তা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। আর বাকি যে দুই তিনটা পয়েন্ট আলোচনা করা হয়নি সেটা আপনারা নিজেরাই নিজেদের মতো করে লিখে নেবেন। আগামীতে অন্য একটি রচনা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর আমাদের ওয়েবসাইট বেশি বেশি করে ভিজিট করবেন।
Leave a Reply