রচনা: সময়ের মূল্য

রচনা: সময়ের মূল্য

সময়ের মূল্য কতটুকু তা আমরা কমবেশি সবাই জানি। জীবন থেকে যে সময় একবার চলে যায় তাকে ফিরে পাওয়া আর কখনোই সম্ভব নয়। হ্যাঁ শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে আমরা যে রচনা টা নিয়ে আলোচনা করব সেটি হল সময়ের মূল্য। আমাদের প্রতিটি মুহূর্তের জন্য সময়ের গুরুত্ব দিতে বিবেচনা করতে হবে। আজ আমরা যে রচনা টা নিয়ে আলোচনা করব সেটি ৬ষ্ঠ থেকে শুরু করে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী একটি রচনা।

আমরা আমাদের এই ওয়েবসাইটে চেষ্টা করি প্রত্যেকটা রচনা অথবা শিক্ষামূলক যে বিষয়গুলো তুলে ধরার যাতে করে শিক্ষার্থী এবং অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সবারই কাজে লাগে। কোন একটি বিষয়ে রচনা লিখতে গেলে আসলে অনেক কিছুই লিখতে হয়। আমরা এখানে চেষ্টা করেছি প্রতিটা রচনার মূলভাব গুলো তুলে ধরা এবং বাকি বিষয়গুলো পয়েন্ট আউট করে দেওয়ার। তো আর কথা না বাড়িয়ে চলুন আজকে রচনার বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করা যাক:

সময়ের মূল্য

ভূমিকা: সময় বয়ে চলেছে নিরন্তর। সময়ের অন্তহীন চলার পথে প্রত্যেক মানুষ তাদের ভেলা ভাসিয়ে চলে। অনন্ত প্রবাহিত সময় ধারা থেকে যে খন্ড সময়টুকু মানুষ তার জীবন রচনা জন্য পায় তা এত মূল্যবান যে একবার পিছিয়ে পড়লে সারা জীবন তপস্যা করেও তা আর ফিরে পাওয়া যায় না।

সময়ের মূল্য ও তাৎপর্য: আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে সময়ের মূল্য ও তাৎপর্য অপরিসীম। পৃথিবীর বিখ্যাত ব্যক্তিগণ যথাসাধ্য সময় মতো কাজ করে গেছেন। কথায় বলে, “সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়ের এর সমান।”জীবন ক্ষণস্থায়ী হলেও তার গৌরব চিরস্থায়ী। অতএব ক্ষুদ্র অতি ক্ষুদ্র মুহূর্তটিকে তুচ্ছ ও অবহেলা করা যাবে না।

সময়ের অপচয়: সময়ের অপচয় করা দারুন নির্বুদ্ধিতার কাজ। সমাজে যারা অলস ও নির্বোধ তারাই শুধু অযথা সময় নষ্ট করে থাকে। অলসতার পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ। কথায় আছে, “পরিশ্রমে ধন আনে, কর্মে আনে সুখ, আলস্যে দারিদ্র আনে, পাপে আনে দু:খ”।

সময়ের সদ্ব্যবহার: সময়ের ব্যবহার সম্পর্কে সকলের সচেতন হওয়া উচিত। সময় মানব জীবনের এক অমূল্য সম্পদ। সময়ের যথার্থ ব্যবহার এর মাঝেই নিহিত রয়েছে তার সৌভাগ্যের চাবিকাঠি। স্বভাবতই জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত কাজে লাগাতে পারলেই জীবন সফল হয়, সুন্দর হয়, সার্থক হয়।

সময়ের উপযুক্ত বন্টন: সময়ের সদ্ব্যবহার এর পাশাপাশি সময়ের সুষ্ঠু বন্টন করা ও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। দিনের সমস্ত কাজকে একটি রুটিনের মধ্যে আনতে হবে প্রথমে। এরপর ক্রমান্বয়ে কাজ করতে হবে। আমরা যদি আমাদের জীবনকে একটি ছকে বাঁধতে পারি তবেই সফল হওয়া সম্ভব।

ছাত্র জীবনে সময়ের মূল্য: ছাত্র জীবন মানব জীবনের বীজ বপনের সময়। এসময় কাজ করার প্রকৃষ্ট সময়। তাদের ওপরই নির্ভর করছে দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ। ছাত্রজীবনে সময়ানুবর্তী হলে ভবিষ্যতে তার সাফল্য অবশ্যম্ভাবী।

জাতীয় জীবনে সময়ের মূল্য: শুধু ছাত্র জীবনেই নয়, জাতীয় জীবনে সময়ের মূল্য অপরিসীম। যে জাতি যত বেশি সময়নিষ্ঠ সে জাতি তত বেশি উন্নত। এটা দুঃখজনক হলেও সত্য যে আমাদের দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ অলস এবং সময়- অসচেতন। সরকারিভাবে ভালো পরিকল্পনা হাতে নিলেও অনেক সময় সময় সম্পর্কে সচেতন না হওয়ার ফলে বিষয়গুলো ভেস্তে যায়। তাই জাতীয় জীবনের সময় সম্পর্কে সচেতন না হলে জাতি প্রার্থিত উন্নতি করতে পারবে না কখনোই।

উপরোক্ত বিষয়গুলো ছাড়াও আমরা আরো কিছু বিষয় গুলো আপনাদের জানিয়ে দিলাম আপনারা নিজের মতো করে সেই পয়েন্ট ব্যবহার করে বাকিটুকু নিজের মনের মাধুরী দিয়ে লিখে নেবেন:

১. সময় ও মনীষীরা:
২. সময় অপচয় এর পরিণাম:
৩. আমাদের কর্তব্য:
৪. সময়নিষ্ঠ ব্যক্তিও জাতির উদাহরণ:
এই চারটা বিষয় নিয়েও আপনারা সংক্ষিপ্ত আকারে লিখতে পারেন যেগুলো সময়ের মূল্য রচনা তাকে আরো মাধুর্যমন্ডিত করে তুলবে।

উপসংহার: সময় অতি মূল্যবান। তাকে থামানো যায় না। যে সময় গত হয় তা আর ফিরে পাওয়া যায় না। সুতরাং জীবনকে সুন্দর সার্থক ও গৌরবময় করে তুলতে হলে আমাদের সকলকেই সময়ানুবর্তী হতে হবে। ঘড়ির কাঁটাটি ও যেন সেই কথাই বারবার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে আমাদেরকে।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*