রোজা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে গোসলের নিয়ম

রোজা অবস্থায় কারো যদি স্বপ্নদোষ হয় তাহলে তাকে ফরজ গোসল করতে হবে এবং এটা মনে রাখতে হবে যে রোজা অবস্থায় আপনার যদি স্বপ্নদোষ হয় তাহলে রোজা ভাঙবে না। অনেক যুবক ভাই আছেন যারা বিয়ে করেননি এবং রোজার ভেতরে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার ফলে দেখা যাচ্ছে যে তার শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণ পুষ্টি হয়ে যাওয়ার কারণে পরবর্তীতে সেটা স্বপ্নদোষের মাধ্যমে বের হয়ে যাচ্ছে।

তাছাড়া রোজার মাসে দীর্ঘ সময় ধরে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার কারণে অনেকেরই সমস্যা হয়ে থাকে এবং কারো কারো একবার অথবা দুইবার হয়ে থাকে। তবে আপনি যদি রোজা রাখার উদ্দেশ্যে সেহেরী খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন অথবা দিনের কোন অংশে ঘুমিয়ে পড়ার মধ্যে আপনার যদি স্বপ্নদোষ হয়ে যায় তাহলে আপনাকে বলব যে আপনার রোজা কোন অবস্থাতেই ভাঙেনি। কারণ আপনি মহান আল্লাহ পাকের নিয়তে রোজা রেখেছেন এবং এই রোজা রাখার কারণে আপনার রোজা ভাঙেনি বলে আপনাকে দ্রুত ঘুম থেকে উঠে ফরজ গোসল করে নিতে হবে।

এক্ষেত্রে রোজা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে গোসলের নিয়ম কি তা অনেকেই জানেন না বলে আমাদের ওয়েবসাইটে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। তাই রোজা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে কিভাবে গোসল করতে হবে তা আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিন। ফরজ গোসলের ফরজ হচ্ছে তিনটি এবং প্রথম ফরজ টি হল আপনাকে কুলি করতে হবে গড়গড়া সহ। তবে রোজা থাকা অবস্থায় অনেক সময় গড়গড়া করার কারণে গলার ভিতরে পানি চলে যায় এবং এভাবে রোজা ভাঙ্গার সম্ভাবনা সবচাইতে বেশি থাকে।

খুব সাবধানতার সহিত আপনাকে যদি গড়গড়া করেন এবং কোন ভাবে যদি পানি না পৌঁছে তাহলে রোজা ভাঙবে না এবং এক্ষেত্রে আপনাদেরকে সাবধানতা অবলম্বন করে গড়গড়া করতে হবে। তারপরে আপনারা নাকে পানি পৌঁছাবেন এবং সমস্ত শরীর ধৌত করবেন। এছাড়া এ সকল কাজগুলো করার পর অথবা সেই সময় আপনারা ডান হাতে পানি নিয়ে সেটা বাম হাতে পৌঁছাবেন এবং সেই বাম হাতের পানি লজ্জাস্থানে ছিটিয়ে নেবেন।

এভাবে আপনারা সব কাজ শেষ করলে চাইলে আরো একবার ওযু করে নিতে পারেন এবং সমস্ত শরীর ধৌত করার মাধ্যমে আপনার শরীরের নাপাক দূর করে পবিত্রতা অর্জন করতে পারেন। উপরের উল্লেখিত তথ্যের মধ্যে কোন তথ্য যদি বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন কোন তথ্যটি বুঝতে পারেননি।