
আজকে আপনাদের জন্য মানব শরীরের একটি বিশেষ উপাদান অর্থাৎ রক্তদান নিয়ে কিছু কথা বলব। যারা প্রতিনিয়ত রক্তদান করছেন তারা অশেষ সওয়াবের মালিক হতে পারছেন। কারণ একজনের শরীরের বহমান রক্ত দিয়ে আরেকজনের জীবন খুব সুন্দর ভাবে বেঁচে যাচ্ছে। রক্তদানের ফলে একটা মানুষের যখন এই পৃথিবীতে হেসে খেলে পদচরণ ঘটবে তখন সেই পরিবেশ থেকে আপনা আপনি সেই ব্যক্তির জন্য দোয়া চলে আসবে। তাছাড়া যারা রক্তদান করতে ভয় পান অথবা রক্তদান এর বিষয়ে যাদের নেগেটিভ ধারণা আছে তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট বিশেষভাবে করা হয়েছে। আমরা মনে করি যে আজকের এই পোস্ট যদি আপনারা করেন তাহলে রক্তদানের বিষয় সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারবেন এবং রক্তদান করলে আসলে কি হয় সে বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারনা অর্জন করতে পারবেন।
রক্ত হল মানব শরীরের তরল অংশ বিশেষ এবং এটি মানুষের শরীরে বহমান আছে বলে প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ খুব সুন্দরভাবে পরিচালিত হচ্ছে। শরীরে যদি রক্তের ঘাটতে দেখা দেয় তাহলে দেখা যায় যে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয় এবং একটা মানুষের ভিতরে কর্ম উদ্দীপনা হারিয়ে যায়। তবে একজন সুস্থ এবং স্বাভাবিক মানুষের শরীরে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত থাকে তাহলে সেই রক্ত যে কাউকে প্রদান করতে পারবে।অর্থাৎ আপনি যখন রক্ত প্রদান করবেন তখন দেখা যাবে যে আপনার রক্ত এক্সচেঞ্জ করে অথবা সরাসরি আপনার রক্তের গ্রুপ মিলে গেলে তারা রক্ত গ্রহণ করতে পারছেন।
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের এক্সিডেন্ট হয়ে থাকে এবং অ্যাক্সিডেন্ট হওয়ার পাশাপাশি কিছু কিছু মুমূর্ষ রোগীদের হঠাৎ করে প্রচুর পরিমাণে রক্তের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে আপনার রক্তের গ্রুপ কি তা আগে থেকেই জেনে নিতে হবে এবং যে কারো প্রয়োজনে যাতে এগিয়ে আসতে পারেন সেই মানসিকতা থাকতে হবে। কোন একজন ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়লে অথবা কারো জরুরি ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন হলে আপনারা যে পিছুপা হবেন তা করবেন না। কারণ আপনি যদি সুস্থ শরীরে এবং আপনার শরীরের ওজন অনুযায়ী রক্তদানের সক্ষমতা থাকে তাহলে অবশ্যই এই লাল ভালোবাসা প্রদান করার মাধ্যমে অশেষ সওয়াবের যেমন মালিক হতে পারবেন তেমনি ভাবে অন্য একজন ব্যক্তির জীবন বাঁচানোর জন্য মনের ভেতরে এক অন্য ধরনের প্রশান্তি আপনার কাজ করবে।
স্বাভাবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ভাবতে গেলে প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর মানুষের শরীরের রক্ত নষ্ট হয়ে যায় এবং সেই উপাদানগুলো নষ্ট হওয়ার কারণে নতুন ভাবে মানব শরীরে খাদ্যাভ্যাসের কারণে রক্ত তৈরি হয়ে যায়। তাই তিন মাস পর পর যেহেতু আপনার রক্ত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সেহেতু আপনি যদি এই রক্তগুলো কাউকে দান করতে পারেন অথবা কারো জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসতে পারেন তাহলে সেটা আপনার জন্য অনেক মঙ্গলজনক। প্রথমত রক্ত প্রদান করার ক্ষেত্রে অনেকের ভেতরে ভীতি আসতে পারে এবং মনে করতে পারেন এটি প্রদান করলে আপনার শরীরের জন্য অনেক ক্ষতি হবে।
কিন্তু মনের ভেতরে সাহস সঞ্চার করে একবার যদি দিয়ে দেখেন তাহলে দেখবেন যে পরবর্তীতে দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন ভয় পাবেন না এবং প্রত্যেকবার দেওয়ার ক্ষেত্রে যে আনন্দ রয়েছে সে আনন্দের ভাগ আপনি কারো মাঝে করতে পারবেন না। তাই জীবন বাঁচাতে রক্ত প্রদান করুন এবং রক্ত প্রদান করার ক্ষেত্রে যে সকল নেগেটিভ ধারণা রয়েছে সেগুলো দূর করে একজন মানুষের মানবিক পরিচয় দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।
Leave a Reply