
পৃথিবীতে যতগুলো মহৎ কাজ আছে তার মধ্যে রক্তদান অন্যতম মহৎ কাজ। রক্ত দান মানে আসলে লাল ভালোবাসা দান। পৃথিবীতে অনেক মানুষ মুমূর্ষ অবস্থায় মারা যায় রক্তের অভাবে। উপযুক্ত সময়ের মধ্যে যদি রক্তের ব্যবস্থা করা যেত তাহলে হয়তো সে মানুষটি মারা যেতো না। তাই মুমূর্ষু রোগীর প্রাণ বাঁচানোর জন্য অবশ্যই রক্ত দান অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ।
রক্ত দানকারীকে অবশ্যই সবসময় সম্মানের চোখে দেখতে হবে। কোনভাবেই অবহেলা করা যাবে না। কারণ অনেক সময় দেখা যায় যে অনেক মুমূর্ষু রোগী, যারা উপযুক্ত সময় রক্ত পাওয়ার মাধ্যমে বেঁচে যায়। আর যারা স্বেচ্ছায় রক্তদান করে তাদের রক্তের বিনিময়ে তারা অনেক সময় বেঁচে যায়। তাই যারা রক্ত দান করে তাদের অবশ্যই মন থেকে সম্মান করতে হবে।
অন্য সময় দেখা যায় যে অনেকে রক্তদান সম্পর্কিত বিভিন্ন কথা বা তথ্য সার্চ করে থাকেন। আপনি কি এরকম রক্তদান সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে সার্চ করছেন? তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য উপকারী হতে পারে। কেননা এই পোস্টে সাজানো হয়েছে রক্তদান সম্পর্কিত বিভিন্ন কথার মাধ্যমে। যেখান থেকে আপনি খুব সহজেই আপনার পছন্দের কথাটি পেয়ে যেতে পারেন বলে আশা করছি।
মানব শরীরে একটা নির্দিষ্ট সময় পর নির্দিষ্ট পরিমাণে রক্ত শেষ হয়ে যায় বা নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু সেই রক্ত যদি নষ্ট হতে না দিয়ে নির্দিষ্ট সময় পরপর মুমূর্ষু রোগীদের জীবন বাঁচানোর জন্য দান করা হয়, তবে তা অবশ্যই একটি ভালো কাজ হবে। এখানে দুই রকমের উপকার পাওয়া যায়, প্রথমত মুমূর্ষু রোগীর প্রাণ বাঁচানো যায়, দ্বিতীয়ত রক্ত দান করে নিজেও অনেক ভালো অনুভব করা যায়। রক্তগুলো তো একসময় নষ্ট হয়েই যেত, তাই নষ্ট করার চেয়ে অন্যের প্রাণ বাঁচাতে ব্যবহার করা অবশ্যই একটি ভালো কাজ। তাই বিভিন্ন সময় মুমূর্ষ রোগীদের প্রাণ বাঁচানোর জন্য রক্ত দান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ। অনেক এ বিষয়টি ভেবে হলেও অনেক সময় রক্তদান করে থাকে।
আবার বিভিন্ন সময় দেখা যায় যে অনেক স্বেচ্ছায় রক্তদানকারী বিভিন্ন চাপের মধ্যে থাকলেও যখন মুমূর্ষু রোগীর কথা শুনে, তখন সব কাজ ফেলে সেই রোগীকে রক্ত দান করার জন্য হাজির হন। তার শত ব্যস্ততার মাঝেও তিনি শুধুমাত্র একটা মানুষের প্রাণ বাঁচতে পারে তার রক্তের বিনিময়ে, এই কথাটি ভেবে রক্তদানে উদ্বুদ্ধ হন। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে যাকে রক্ত দেওয়া হচ্ছে সে বা তার পরিবারের মানুষজন কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে না। এর ফলে রক্তদাতার খারাপ লাগতে পারে আবার নিরুৎসাহিত বোধ করতে পারে। তাই অবশ্যই রক্ত দানকারীকে পর্যাপ্ত পরিমাণে সম্মান করতে হবে এবং তার প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ থাকতে হবে।
রক্তদানের পরে অবশ্যই রক্তদানকারীর খোঁজখবর রাখতে হবে। রক্তদানকারী অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে কিনা এই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। কেননা অনেক সময় দেখা যায় যে রক্তদানের পরে অনেকে অসুস্থ হয়ে যায়। তাই রক্ত গ্রহীতা বা তার পরিবারকে বেশ কয়েকদিন রক্ত দানকারীর খোঁজখবর রাখতে হবে। এতে করে রক্তদানকারীর মন ভালো হবে। আবার সে পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে রক্তদানে উৎসাহিত বোধ করবেন। এজন্য রক্ত গ্রহণ করলে হবে না, রক্তদানকারী সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে এবং তার খোঁজখবরও নিতে হবে।
অনেক সময় দেখা যায় অনেকে রক্তদান করতে প্রচুর ভয় পায়। তবুও তার ভয়কে জয় করে মুমূর্ষু মানুষের প্রান বাঁচানোর জন্য রক্ত দান করে। এই কাজগুলো আসলেও কোন ছোটখাটো কাজ নাই। এই কাজগুলো মহৎ কাজের মধ্যে অন্যতম একটি কাজ। তাই এই বিষয়টি মাথায় রেখে তাদের সেই রকম ভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণে সম্মান করতে হবে। কারণ সঠিক সময় যদি সে রক্তদান না করতো তাহলে এই রোগীটি বিভিন্ন বিপদের সম্মুখীন হতে পারতো। তাই নিজে যেমন রক্তদান করতে হবে তেমনি আশেপাশের মানুষকেও রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
Leave a Reply