আপনারা যারা আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোস্ট করার মধ্য দিয়ে রমজান মাসের প্রথম দশ দিনের আমল সম্পর্কে জানতে এসেছেন তাদেরকে এই তথ্যগুলো প্রদান করা হবে। প্রত্যেকটি মুসলমানদের জন্য রমজান মাসে একটি ফজিলতপূর্ণ মাসে এবং এই মাসের বদৌলতে একজন মানুষ নিষ্পাপ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারে। তাই অতীত জীবনের ভুল ভ্রান্তি দূরে রেখে আপনি যদি নতুন একজন মানুষের পরিণত হতে চান এবং অতীতের যাবতীয় বদ অভ্যাস বাতিল করে একজন শুদ্ধ মানুষের যদি পরিণত হতে চান তাহলে এই মাসকে অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে।
আর রমজান মাসে কাজে লাগানোর জন্য প্রথম যে ১০ দিন রয়েছে সেই দশ দিন আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। নিচের দিকে আপনাদের জন্য রমজান মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল সম্পর্কে আলোচনা করা হলো এবং এগুলো জেনে নিলেই আপনারা প্রত্যেকটি আমল সঠিকভাবে করতে পারবেন।
রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো সিয়াম সাধনা করা এবং একজন মানুষ যদি ৩০ টি সিয়াম সাধনা করার মধ্য দিয়ে প্রত্যেকটি নিয়ম কানুন সঠিকভাবে মেনে চলতে পারে তাহলে সে তিনি অবশ্যই একজন নিষ্পাপ বান্দাতে পরিণত হবেন। তাই আপনি যখন রমজান মাসে আমলগুলো করার মধ্য দিয়ে অতীতের যাবতীয় পাপ মোচন করতে চাইবে না অতীতের যাবতীয় বদ অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করার চেষ্টা করবেন তখন আপনাকে প্রথম দশ দিন একটু বেশি পরিমাণে কষ্ট করতে হবে। তাছাড়া রমজান মাসে আমাদের জীবনে হঠাৎ করে বিভিন্ন দিক থেকে পরিবর্তন চলে আসে বলে হয়তো অনেকেই তা মেনে নিতে পারে না।
রমজান মাসে আমল করার ক্ষেত্রে সর্ব প্রথমে আপনাকে সকল দিন বিবেচনা করে এবং দৈনন্দিন জীবনের যাবতীয় কাজের ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন এনে সিয়াম সাধনার পরিপূর্ণভাবে করতে হবে। তাছাড়া আপনি যখন সিয়াম সাধনা করতে চাইবেন তখন অবশ্যই আপনাকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এবং সম্ভব হলে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতে হবে। যেহেতু প্রথম ১০ দিন অর্থাৎ রহমতের ভেতর দিয়ে আপনার জীবনের যাবতীয় পাপগুলো মোচন করে দেওয়া হবে সেহেতু আপনি অবশ্যই এই দশ দিন ভালোভাবে পালন করতে পারলে পরবর্তী দিনগুলো আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে এবং আপনি খুব সহজেই রমজান মাসের যে ফজিলত রয়েছে তা অর্জন করতে পারবেন না।
তাই সিয়াম সাধনা করার পাশাপাশি আপনি যদি নামাজ পড়েন তাহলে সেটা হবে সবচাইতে ভালো এবং এই ক্ষেত্রে সকল কাজের পাশাপাশি ইসলামিক পথে যদি নিজের জীবনকে পরিচালিত করতে পারেন তাহলে সবচাইতে ভালো হবে। অর্থাৎ আপনি নামাজ পড়ছেন এবং সিয়াম সাধনা করছেন কিন্তু অন্য দিক থেকে সুদের টাকায় সংসারে চালাচ্ছেন তাহলে বিষয়টি অন্যরকম হয়ে যায়। তাই রমজান মাসে আমরা যদি প্রত্যেকটি কাজ সঠিকভাবে মেনে চলার চেষ্টা করি তাহলে আমাদের জীবনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে হবে যে ক্ষেত্র গুলোতে কোন ধরনের পাপের ছোঁয়া নেই অথবা কোন ধরনের হারাম বিষয় জড়িত নেই।
বিশেষ করে আমরা যখন রমজান মাসে রোজা পালন করব তখন নামাজ পড়ার পাশাপাশি প্রত্যেকের দিক থেকে আমাদের আত্মসংযমী হতে হবে। এক্ষেত্রে আমরা যেমন ভাবে হালাল রুজি অথবা হালাল ইনকামের টাকা দিয়ে সেহরি এবং ইফতার করতে হবে। কারো হক যাতে নষ্ট না হয় অথবা কোন ধরনের পাপের টাকা দিয়ে যাতে আমাদের এই রমজান মাস পালন করতে না হয় সে বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে মাথায় রেখে চলতে হবে।
তাছাড়া রমজান মাসে আপনি যখন রোজা রাখবেন তখন আপনার নিয়ত ঠিক রাখতে হবে যেন এই জীবন ব্যবস্থা আপনি অবশ্যই আপনার সমগ্র জীবনে প্রতিফলন করতে পারেন অথবা অনুসরণ করে চলতে পারেন। আমরা যদি আমাদের জীবনের রমজান মাসের শিক্ষাগুলো কাজে লাগাতে পারি তাহলে দেখা যাবে যে তা পরবর্তী জীবনে কাজে লাগাতে পারছি এবং সঠিক পথে এবং সৃষ্টিকর্তার দেখানো পথে নিজেদের জীবনকে পরিচালনা করতে পারছি।
Leave a Reply