রমজানের শেষ দশকের আমল কি কি

রমজানের শেষ দশকের আমল কি কি

আপনারা যারা রমজান মাসের শেষ দশকের আমল সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন তাদেরকে এই পোষ্টের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ আমল সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। তবে আমরা এটা সকলেই কমবেশি জানি যে রমজান মাসের শেষ দশক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা যারা রমজান মাসের শেষ দশকের আমল সম্পর্কে জানেন না তারা এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিলে প্রত্যেক রমজান মাসের শেষ দশক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সহকারে পালন করতে পারবেন এবং যে সকল ইবাদত রয়েছে সেগুলো পালন করার চেষ্টা করতে পারবেন। তবে রমজান মাসের শেষ দশক অথবা নাজাতের ১০ দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে এখানকার ইবাদতগুলো যদি আপনি করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার জন্যই তা মঙ্গলজনক হবে এবং প্রত্যেকটি ইবাদতের বদৌলতে আপনার প্রতি মহান আল্লাহ পাক অনেক রাজি খুশি হবেন।

মহান আল্লাহ পাক রমজান মাসকে এমন একটি মহিমান্বিত মাস হিসেবে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন যে মাসের বদৌলতে আমরা আমাদের দুনিয়ার জীবনে যেমন অনেক কিছু পেয়ে যাই তেমনি ভাবে আখেরাতের জীবনের জন্য নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে পারি। দুনিয়ার জীবনে আমরা অনেক সময় বিভিন্ন কারণে ভুলভ্রান্তি করে থাকি এবং এই ভুল ভ্রান্তির কারণে একসময় তা পাহাড় সমান হয়ে যায়। তাই সকল ভুল ভ্রান্তি থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য এবং দিনের জীবনে সুখে শান্তিতে বসবাস করার জন্য আমরা আল্লাহ পাকের কাছে রমজান মাসে রোজা রেখে দোয়া করতে পারি। রমজান মাসে এমন একটি ফজিলত পূর্ণ মাস যে মাসে আপনি রোজা অবস্থায় যা কিছু চাইবেন এবং আপনার দোয়া যদি আল্লাহ পাক কবুল করেন তাহলে অবশ্যই আপনার ইচ্ছা পূরণ হয়ে যাবে।

যারা যারা সেই দশকের আমল গুলো জানার উদ্দেশ্যে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন তাদেরকে বলবো যে রমজান মাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হল লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করা। সাধারণত আমরা জানি না বলে অনেকেই সাতাশে রমজানকে লাইলাতুল কদরের রাত বলে ভেবে থাকে এবং সেই রাতেই ইবাদত করে থাকে। কিন্তু এত নতুন কদরের যে সেই দশকের কোন দিন অনুষ্ঠিত হবে তা অনেকে বুঝতে পারে না বলে অনেকের কাছেই তা হাতছাড়া হয়ে যায়। এই রমজান মাসের শেষ দশকের বেজোড় 5 দিন রাত যদি আমরা লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করি তাহলে সবচাইতে ভালো হবে এবং আরো ভালো হবে যদি আমরা শেষ দশ দিন একটু কষ্ট করে হলেও জেগে মহান আল্লাহ পাকের কাছে ইবাদত করতে পারি।

রমজান মাসের ইবাদত গুলোর মধ্যে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হল ইতেকাফ করা। মহান আল্লাহপাকের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আপনারা যখন মসজিদে অবস্থান করবেন এবং আল্লাহ পাকের জিকির আজগার করার পাশাপাশি প্রত্যেকটি ইবাদত বন্দেগী একমাত্র তাকে খুশি করার জন্য করবেন তখন অবশ্যই আপনাকে এতেকাফে যেতে হবে। তাই আপনি যখন ইতিকাফ করবেন তখন অবশ্যই আপনাকে প্রত্যেকটি সঠিকভাবে করতে হবে এবং রমজান মাসের শেষ দশকের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত বলে যে কোন বয়সের মানুষ এটা করতে পারেন। তাছাড়া রমজান মাসের সেই দশকের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হল ফিতরা আদায় করা এবং আপনি যখন ফিতরা আদায় করবেন তখন অবশ্যই পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের ফিতরা আদায় করবেন।

উপরের উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত ছাড়াও আপনারা যারা অন্যান্য আমল করতে চান তাদেরকে বলব যে রমজান মাসের যে সকল অবশ্যই পালনীয় আমল রয়েছে সেগুলো করবেন‌। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার পাশাপাশি আপনারা যখন সেহরি খেয়ে রোজা রাখবেন তখন রোজার নিয়ত ভালোভাবে করতে হবে যাতে করে আপনি পরিপূর্ণভাবে সেই রোজা পালন করতে পারেন এবং ইফতার করার মধ্য দিয়ে সেই রোজা ভঙ্গ করতে পারেন। তাছাড়া কোরআন তেলাওয়াত করার পাশাপাশি কোরআনের শিক্ষা যদি আপনারা সকলের মাঝে প্রদান করতে পারেন তাহলে যেমন ভালো হয় তেমনিভাবে গরিব দুঃখের মাঝে আপনার সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিলে অনেকেই হয়তো সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে এবং আপনি সেই সওয়াব অর্জন করতে পারবেন।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*