বিভিন্ন আকৃতির পরিমাপ করতে গিয়ে আপনারা যখন স্কয়ার ফিট বের করবেন তখন অবশ্যই আপনাকে নির্দিষ্ট সূত্র অনুসরণ করতে হবে। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আমাদের ওয়েবসাইটে এ স্কয়ার ফিট বের করার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন বিষয়ের পরিমাপ করে থাকি। বিভিন্ন সময়ে আমাদেরকে অনেক জমির পরিমাপ করতে হয় অথবা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানের পরিমাপ আমাদেরকে করতে হয়।
সে ক্ষেত্রে সব জায়গায় একই জমি অথবা একই স্থান সমান্তরাল ভাবে থাকে না অথবা সব দিকের পরিমাপ একভাবে থাকে না। তাই এ সকল সমস্যা সমাধান করার জন্য আপনারা যখন স্কয়ার ফুট বের করার সঠিক নিয়ম অনুসরণ করতে চাইবেন তখন অবশ্যই আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা মাধ্যমে আপনাদেরকে এটা সঠিকভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। এমনকি এই পোষ্টের মাধ্যমে ত্রিভুজ আকৃতির কোন স্থানের পরিমাপ করার ক্ষেত্রেও আপনারা সঠিক নিয়ম অনুসরণ করার নিয়ম জানতে পারবেন।
আমরা যখন জ্যামিতি শিখেছি তখন এটার অর্থ হিসেবে জানতে পেরেছি যে কোন ভূমির পরিমাপ করাকে জ্যামিতি বলে। তাই কোন ভূমি অথবা স্থান হিসেবে আমরা যদি সেখানকার স্কয়ার ফুট বের করতে চাই তাহলে স্বাভাবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সেখানকার দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থের পরিমাপ যদি সমান হয়ে থাকে তাহলে দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ গুন করে দিন। তাই স্বাভাবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ গুণ করে দিলে সেটা বর্গফুট অথবা স্কয়ার ফুট হিসেবে আমরা বের করে নিতে পারি। কিন্তু সব জায়গার পরিমাপ এক নয় এবং সব জায়গায় একইভাবে সকল বিষয়গুলো উপস্থাপন থাকে না।
অনেক সময় ফুটের হিসাব করতে গিয়ে আমাদের সামনে এত নিখুঁত হিসাব চলে আসে অথবা ইঞ্চির হিসাব করতে হয় যে আমরা সেটা চাইলেও বাদ দিতে পারি না। কারণ আপনি যখন এক ইঞ্চি বাদ দিবেন তখন সেটা চতুর্ভুজ আকৃতির কোন একটা বিষয় থেকে ৪ ইঞ্চি বা চলে যাবে। তাই কোন স্থানের দৈর্ঘ্য যদি ফিট হিসেবে দেওয়ার পরেও সেখানে ইঞ্চি উল্লেখ থাকে তাহলে আপনারা হয়তো সেটা অন্যভাবে ব্যবহার করে থাকেন। বিশেষ করে আপনার সামনে যদি পঞ্চাশ ফিট তিন ইঞ্চি জমি থেকে থাকে তাহলে আপনারা হয়তো সেটার দৈর্ঘ্য হিসেবে ৫০.৩ শব্দটি ব্যবহার করে থাকতে পারেন।
আবার প্রস্থের ক্ষেত্রেও যদি আপনাদের ৩৫ ফিট ৬ ইঞ্চি থেকে থাকে তাহলে আপনারা হয়তো মনে করে থাকবেন এটা ৩৫.৬ হবে। কিন্তু ১২ ইঞ্চিতে এক ফিট হয়ে থাকার কারণে আমরা এখানে দশের হিসেবে যাব না। তাই সেখানে যেমন ৫০ ফিট তিন ইঞ্চি রয়েছে তেমনি ভাবে আমরা এই তিন ইঞ্চিকে 12 দিয়ে যদি ভাগ করি তাহলে সেটা বের হবে এবং সেই সংখ্যাটি ৫০ এর সঙ্গে দশমিক আকারে পরবর্তীতে ব্যবহার করতে হবে।
একইভাবে আপনারা যখন 6 ইঞ্চিকে 12 দিয়ে ভাগ করবেন তখন সেটা পয়েন্ট ফাইভ হয়ে যাবে। তাই এভাবে আপনারা দীর্ঘ এবং প্রস্থের হিসাব গুলো সূক্ষ্ম ভাবে করার পরে গুণ দিলেই স্কয়ার ফিট বের হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে দৈর্ঘ্য যদি একদিকে এক পরিমাপ হয় এবং অন্যদিকে আরেক পরিমাপ হয়ে থাকে তাহলে উভয় পাশের দৈর্ঘ্য আপনাদেরকে গর করতে হবে এবং প্রস্থের ক্ষেত্রেও যদি অমিল থাকে তাহলে সেটা আপনারা গড় করে গুণ করবেন।
এভাবে আপনারা চতুর্ভুজ আকৃতির যেকোন বিষয়ের এ স্কয়ার ফিট বের করতে পারবেন। তবে সেই জায়গাটা যদি বর্গাকৃতির হয়ে থাকে তাহলে যে কোন এক পাশের দৈর্ঘ্য নিয়ে সেটাকে সে সংখ্যা দিয়ে আবার গুণ দিতে হবে। তাহলে সেখানকারী স্কয়ার ফিট বের হয়ে গেল। ত্রিভুজাকৃতির অথবা তিন কোন আকৃতির কোন স্থানের পরিমাপ করতে গেলে
সেখানে আপনাদেরকে দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ গুণ দেয়ার পরে যেটা বের হবে সেটাকে হাফ দিয়ে গুণ দিতে হবে। অর্থাৎ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ মিলিয়ে যদি ১২০০ ফিট হয়ে থাকে তাহলে সেটাকে হাত দিয়ে গুণ দেওয়ার পরে ৬০০ স্কয়ার ফিট হয়ে যাবে। আশা করছি এখান থেকে আপনারা বিভিন্ন আকৃতির পরিমাপ অথবা স্কয়ার ফিট বের করার নিয়ম জানতে পেরেছেন।
Leave a Reply