বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য নিউট্রন সংখ্যা বের করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা টপিক। তাই আপনারা যারা নিউটন সংখ্যা বের করার নিয়ম জানতে এখানে ভিজিট করেছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমরা এই নিয়ম শিখিয়ে দেবো। আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে মৌলের নিউট্রন সংখ্যা কিভাবে নির্ণয় করতে হয় তা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আলোচনা করা হবে বলে তারা বুঝতে পারবে।
বিস্তারিত আলোচনা সহ এটা বের করার সূত্র এবং সূত্রের পরে এটা কিভাবে তা কাজে লাগাতে হবে সে প্রসঙ্গে আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দিচ্ছি বলে অবশ্যই আপনারা এই পোস্ট শেষ পর্যন্ত পড়বেন। মৌলের নিউট্রন সংখ্যা নির্ণয় করার ক্ষেত্রে আপনারা যখন এই বিষয়গুলো অনুধাবন করতে পারবেন তখন আপনার কাছে কোন প্রশ্ন কঠিন হবে না এবং প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর সহজ ভাবে প্রদান করতে পারবেন। তাই এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের উদ্দেশ্যে তথ্যগুলো সহজ ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করলাম।
মৌলের নিউটন সংখ্যা নির্ণয় করার ক্ষেত্রে আপনাদেরকে অবশ্যই সঠিক পদ্ধতি এবং সঠিক সূত্র অনুসরণ করতে হবে। আপনারা যেহেতু নিউট্রন সংখ্যা বের করতে এসেছেন সেহেতু আপনাদেরকে এ বিষয়ে আরো কিছু তথ্য জানতে হবে। যখন কোন একটা মৌলের পরমাণু নিউক্লিয়াসে উপস্থিত থাকে তখন সেই উপস্থিত থাকা বিষয়টিকে প্রোটনের সংখ্যা হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
আর আমরা তখন সেই প্রোটনের সংখ্যাকে ওই মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা বলে চিনে থাকি। এক্ষেত্রে আমরা প্রোটন সংখ্যাকে পারমাণবিক সংখ্যা হিসেবে জেনে থাকি বলে প্রোটন সংখ্যা সমান পারমানবিক সংখ্যার বিষয়টা খুব সহজভাবে বুঝতে পারি। তাই আপনারা এখান থেকে নিউট্রনের সংখ্যা নির্ণয় করার মাধ্যমে এ বিষয়টা আগে জেনে নিয়ে খুব ভালো কাজ করলেন।
এক্ষেত্রে প্রোটন সংখ্যা অথবা পারমাণবিক সংখ্যা নির্দিষ্ট একটা সাংকেতিক চিহ্ন দিয়ে তা বোঝানো হয়ে থাকে। ইংরেজি অক্ষর জেড দিয়ে এই প্রোটন সংখ্যা অথবা পারমাণবিক সংখ্যা বুঝিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে। তাই আপনারা যখন নিউক্লিয়াসের প্রোটন সংখ্যা বের করার নিয়ম জানতে পারবেন তখন আপনাদের নিউট্রন সংখ্যা বের করাটা অনেক সুবিধা জনক হবে।
আবার যখন আমরা কোন পরমাণুর নিউক্লিয়াসের বিষয়গুলো বেশ বুঝতে পারবো অথবা সেটা যদি কোন ক্ষেত্রে অবস্থিত থাকে তাহলে সেখানে যে প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যার বিষয়গুলো উপস্থিত থাকবে তাদের যোগফল কে আমরা পরমাণুর ভর সংখ্যা বলবো। তাই নিউক্লিয়াসের প্রোটন এবং নিউট্রন একত্রিত হতে পারলে সেটা যোগ ফল হিসেবে পরমাণুর ভর সংখ্যা হিসেবে আমরা জানব।
তাই উপরের আলোচনা থেকে আমরা যদি ভর সংখ্যা নির্ণয় করতে চাই তাহলে প্রোটন সংখ্যা এবং নিউট্রন সংখ্যাকে যোগ দিলেই ভর সংখ্যা বের হয়ে যাবে। তাছাড়া ভর সংখ্যাকে প্রকাশ করার জন্য সাংকেতিক চিহ্ন হিসেবে ইংরেজি বর্ণ এ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
তাই আমরা এখানকার আলোচনা থেকে এটা বুঝতে পারলাম যে ভর সংখ্যা হল প্রোটন সংখ্যা এবং নিউট্রন সংখ্যার যোগফল। তাই এখান থেকে আমরা যদি নিউট্রন সংখ্যা বের করতে চাই তাহলে পরস্পর সম্পর্ক রয়েছে এমন তিনটি বিষয়ের ভেতরে ক্যালকুলেশন করলে তা বের হয়ে যাবে। যেহেতু ভর সংখ্যা সমান প্রোটন সংখ্যা ও নিউট্রন সংখ্যার যোগফল সেহেতু আমরা যখন নিউট্রন সংখ্যা বের করতে চাইব তখন ভর সংখ্যা থেকে প্রোটন সংখ্যা বাদ দিতে হবে।
এই সেই হিসেবে নিউটন সংখ্যার সূত্র দাঁড়াচ্ছে যে, ভর সংখ্যা-প্রোটন সংখ্যা। তাই আপনারা যারা নিউট্রন সংখ্যা বের করার নিয়ম জানতে এসেছিলেন তারা এখান থেকে জানতে পারলেন এবং এক্ষেত্রে আপনারা ইংরেজি বর্ণ এ থেকে জেড বাদ দিলেই এই সাংকেতিক চিহ্নের মাধ্যমেও এই কাজ করা যাবে। যদি আমরা উদাহরণ প্রদান করতে চাই তাহলে সোডিয়াম নিউটন সংখ্যা যখন বের করব তখন ভর সংখ্যা হিসেবে এটার ২৩ এবং প্রোটন সংখ্যা হিসেবে ১১ বাদ দিলেই উত্তর হিসেবে 12 পাওয়া যাবে। আর তখন এই বার হবে সোডিয়াম এর নিউটন সংখ্যা।
Leave a Reply