গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার নিয়ম

গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার নিয়ম

আপনারা কেউ যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন এবং গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার আবেদনের নিয়ম সম্পর্কে অবগত হতে চান তাহলে অবশ্যই আমরা আপনাদেরকে সেটা সম্পর্কে জানিয়ে গেলে আবেদন করে আপনারা এই ভাতা পাওয়ার উপযোগী হয়ে উঠতে পারেন। যেহেতু অনেক মা গর্ভবতী হওয়ার পর স্বাস্থ্যের লক্ষ্য রাখতে পারেন না অথবা পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ এর মাধ্যমে বাচ্চার স্বাস্থ্য ভালো মতো প্রস্তুত করতে পারেন না তাদের জন্যই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রযোজনায় এই ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। আপনি যখন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে ভাতা পাওয়ার জন্য আবেদন করবেন তখন অবশ্যই আপনাকে এই ভাতা পাওয়ার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত করা হবে।

গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার জন্য বর্তমান সময়ে যে সিস্টেম চালু করা হয়েছে তা যদি আপনার অনুসরণ করতে পারেন তাহলে খুবই ভালো হবে। যে সকল মায়েদের গর্ভে চার থেকে ছয় মাসের বাচ্চা রয়েছে তারা এই আবেদন করার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তবে কোন অনলাইন সার্ভিসের দোকানে গিয়ে এই আবেদন করার সুযোগ থাকছে না বলে উপজেলা ডিজিটাল কেন্দ্র থেকে এটা আবেদন করতে পারবেন অথবা ইউনিয়ন পর্যায়ে যে সকল সেবামূলক ডিজিটাল কেন্দ্র রয়েছে সেখানে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন।

তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আবেদন করার জন্য এলাকার যে সকল মহিলা কাউন্সিলর রয়েছেন তারা এই দায়িত্ব গুলো পালন করে থাকেন। তাই গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার জন্য আপনারা মহিলা কাউন্সিলরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে এবং পারিবারিক অর্থনৈতিক অবস্থা গুলো সম্পর্কে অবগত করাতে পারলে তারা সুপারিশ করার মাধ্যমে ভাতা পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত করবে।তাই মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে ভাতা পাওয়ার জন্য আপনাদেরকে তাদের প্রদান করার নিয়ম অনুযায়ী কাগজপত্র প্রদান করার ভিত্তিতে এবং তথ্য প্রদান করার ভিত্তিতে আবেদন করতে হবে।

যারা গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন অথবা আবেদন করবেন বলে ভাবছেন তাদের গর্ভের বাচ্চার বয়স চার থেকে ছয় মাস হতে হবে। এছাড়া যারা আবেদন করবেন তারা অবশ্যই বিশ বছর থেকে ৩৫ বছর বয়সী হতে হবে। ২০ বছরের কম হলেও আবেদন করা যাবে না অথবা ৩৫ বছর বয়সে বেশি হলেও আবেদন করা যাবে না। এক্ষেত্রে আপনারা যে বয়সের কথা উল্লেখ করবেন সেটার মৌখিক তথ্যের উপর ভিত্তি করা বাদ দিয়ে সম্পূর্ণ এনআইডি কার্ডের তথ্যের উপর বয়স নির্ধারণ করা হবে।

তাই আপনারা যখন মাতৃত্বকালীন ভাতা পাওয়ার জন্য আবেদন করবেন তখন বয়স সীমার এই বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে। সেই সাথে এনআইডি কার্ড দিয়ে আবেদন করতে হবে। এটা যদি আপনার গর্ভে ধারণ করা প্রথম সন্তান হয়ে থাকে অথবা দ্বিতীয় সন্তান হয়ে থাকে তাহলে এই আবেদন করার সুযোগ আপনাকে দেওয়া হবে। কিন্তু তৃতীয় অথবা পরবর্তী সন্তান হলে এ ধরনের কোনো সুযোগ কর্তৃপক্ষ চালু রাখেনি।

তাই উপরে উল্লেখিত শর্তগুলো পূরণ করার পাশাপাশি আপনি একটা মোবাইল ব্যাংকিং এর একাউন্ট প্রদান করবেন। অর্থাৎ আপনি যদি ভাতা পাওয়ার জন্য বিবেচিত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পছন্দসই একটা অ্যাকাউন্ট নাম্বার প্রদান করতে হবে। সেই সাথে আরো একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যে পরিবারের সদস্যের ইনকাম যদি 8000 টাকার নিচে হয়ে থাকে তাহলে এই আবেদন করার পরে আপনারা ভাতা পাওয়ার জন্য মনোনীত হবেন।

অর্থাৎ পারিবারিকভাবে সক্ষমতা রয়েছে এবং সকল দিক থেকে অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো থাকলে এই ভাতা পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না। কারণ বাংলাদেশের অনেক গরিব পরিবার রয়েছে তারা সন্তানকে লালন পালন করার জন্য এই ভাতা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করে। তাই কেউ যদি ভাতা পেতে চান এবং গর্ভবতী ভাতার টাকা দিয়ে আপনারা সন্তানের লালন-পালন ও পরিচর্যা করতে চান তারা অবশ্যই উপরের দেখানো উল্লেখিত নিয়ম গুলো অনুসরণ করে আবেদন করুন।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*