
আমাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রয়োজনে দরখাস্ত লিখতে হয়। কিন্তু অনেকেই দেখা যায় যে দরখাস্ত লেখার সময় ভুল করে বা কিভাবে দরখাস্ত লেখলে দরখাস্তটা বেশি উপযুক্ত হবে সেই বিষয়টি অনেকেই খেয়াল করে না। আবার অনেকে দেখা যায় যে দরখাস্ত লিখার নিয়মটাই সঠিক ভাবে জানিনা। তাই আপনিও যদি এরকম দরখাস্ত লিখতে ভুল করেন বা দরখাস্ত লেখার সঠিক নিয়মটা না জেনে থাকেন তাহলে আজকে আর্টিকেলটা আপনি পড়তে পারেন। কারণ আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে মূলত দরখাস্ত লেখার বিভিন্ন নিয়ম দেওয়া হয়েছে। তবে বিশেষ করে কিভাবে লিখলে উপযুক্ত হবে আর সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে সেই বিষয়টি এখানে খেয়াল করা হয়েছে। আপনি যদি এই আর্টিকেল ঠিকভাবে দেখেন তাহলে দরখাস্ত লিখতে আর তেমন সমস্যা হবে না বলে আশা করছি। আর এজন্য আপনাকে আজকের আর্টিকেলটি সুন্দরভাবে পড়তে হবে। কেননা আর্টিকেলটি যদি আপনি সুন্দর ভাবে না পড়েন তাহলে আপনি এ বিষয়বস্তুগুলো সঠিকভাবে বুঝতে পারবেন না।
যারা ব্যাংকে চাকরি করেন তাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যাংক ম্যানেজারের কাছে আবেদন পত্র বা দরখাস্ত লিখা লাগে। কিন্তু ব্যাংক ম্যানেজারের কাছে কিভাবে আবেদন পত্র লিখতে হয় তা অনেকটাই নতুন চাকরিজীবীরা সঠিকভাবে বুঝতে পারেনা। আর এজন্য তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে ব্যাংক ম্যানেজারের কাছে দরখাস্ত লেখার সময় ভুল করে। কিন্তু এই সময়ে এসে যদি এভাবে ভুল করে তাহলে সেই ভুলটা আসলে অনেক বড় একটি ব্যাপার হয়ে দেখা দিতে পারে বা হাস্যকর হতে পারে। আবার ব্যাংক ম্যানেজার ভুল দরখাস্ত পেয়ে সে অফিসারের উপর রাগ করতে পারে বা তার ওপর হাসাহাসি করতে পারে। এজন্য অবশ্যই ব্যাংক ম্যানেজারের কাছে দরখাস্ত লেখার সময় সতর্ক থাকতে হবে এবং ভুল দরখাস্ত কোনভাবে তার কাছে দেওয়া যাবে না। কেননা ভুল দরখাস্ত দিলে যেমন নিজে হাসির পাত্র হতে হয় তেমনি ভাবে সে দরখাস্তটা ব্যাংক ম্যানেজারের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় না।
একটি দরখাস্ত লেখার সময় অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হয় এবং সতর্কতার সাথে দরখাস্ত লিখতে হবে। কেননা দরখাস্ততে ভুল করা ঠিক না। আবার দরখাস্ত লিখার স্পষ্ট হতে হবে ও অস্পষ্ট ভাষায় দরখাস্ত লিখলে দরখাস্তটি গ্রহণযোগ্য হবে না। যে বিষয়ে দরখাস্তটি লেখা হচ্ছে সেই বিষয়টি দরখাস্তের মধ্যে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে। কারণ যদি মূল বিষয়টি দরখাস্তে উপস্থাপন করতে না পারা যায় তাহলে সে দরখাস্ত লেখার কোন মানে হয় না। তাই অবশ্যই দরখাস্তটির মূল বিষয়গুলো সঠিকভাবে এবং সুন্দরভাবে একটি দরখাস্তর মধ্যে লিখতে হবে। আবার তারিখ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। দরখাস্ত লেখার সময় অবশ্যই তারিখটা যুক্ত করতে হবে। যেকোনো দরখাস্তের উপরে তারিখ লিখতে হয় বা তারিখ দিয়ে শুরু করতে হয় এই বিষয়টি অবশ্যই খেয়াল করতে হবে। কোন দরখাস্তে যদি তারিখ লিখা না হয় তাহলে সেই দরখাস্তটি কেউ গ্রহণ করবে না।
সাধারণত স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের কে বিভিন্ন রকমের দরখাস্ত লেখা শেখানো হয়। তারপরে অনেক শিক্ষার্থী দরখাস্ত লিখতে ভুল করে। আর পরীক্ষার খাতাতেও কম নম্বর পায়। আবার বড় হয়েও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা কালীন সময়েও অনেক সময় বিভিন্ন প্রয়োজনে দরখাস্ত লিখতে হয়। যে সকল শিক্ষার্থীরা ছোটবেলায় দরখাস্তের প্রতি মনোযোগ হয় না তারা বড় হয়েও চাকরি জীবনে দরখাস্ত লিখতে ভুল করে। কিন্তু দরখাস্ত আসলে কঠিন কিছু নয়, দরখাস্ত একদম সহজ জিনিস। দরখাস্তের যদি নিয়ম সুন্দর ভাবে জানা যায় তাহলে যে কোন দরখাস্ত লেখা যাবে। দরখাস্তে ভুল হবে না। আর তাই একটু সচেতনতার সাথে ও সতর্কতার সাথে সুন্দর ও সঠিক ভাষায় সুস্পষ্টভাবে দরখাস্ত লিখলে, দরখাস্তার বিষয়বস্তুগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করলে যে কোন দরখাস্ত সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করবে।

Leave a Reply