
কোন শিক্ষার্থী যদি কোন কারনে বিদ্যালযয়ে উপস্থিত হতে না পারে তাহলে অনুপস্থিত কেন হয়েছিল সেই বিষয়টি উল্লেখ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের নিকট দরখাস্ত বা আবেদন পত্র পাঠাতে হয়। যদি কোন শিক্ষার্থী এ ধরনের দরখাস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে না পাঠাই তাহলে তাকে অনুপস্থিতির জন্য শাস্তি পেতে হয়। তাই যে সকল শিক্ষার্থী স্কুলে উপস্থিত হতে পারেনা তাদেরকে অবশ্যই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান কে বিষয়টি জানানোর জন্য দরখাস্ত পাঠানো প্রয়োজন। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থী দেখা যায় যে এ বিষয়ে কিভাবে দরখাস্ত লিখতে হবে বা কিভাবে দরখাস্ত লিখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছে পাঠালে তা গ্রহণযোগ্য হবে সে সম্পর্কে জানে না বা জানলেও কম জানে।
তাই তাদের কথা মাথায় রেখে তারা যেন খুব সুন্দর ভাবে একটি দরখাস্ত লিখে শিক্ষা পর্যটনের প্রধানের কাছে পাঠাতে পারে। এজন্যই মূলত আমাদের আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে। এই আর্টিকেলটি যদি আপনি পড়েন তাহলে আপনি অনুপস্থিতির জন্য কিভাবে ছুটি নিতে হবে বা ছুটি নেওয়ার দরখাস্ত লিখতে হবে সেই সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা পেয়ে যাবেন বলে আশা করছি। আর এজন্য আপনাকে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। কেননা আপনি যদি পুরো না পড়েন তাহলে এ বিষয়ে আপনি বিস্তারিত জানতে পারবেন না।
বিভিন্ন কারণে একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত হতে পারে। যেমন কোন কারণে যদি সে বিদ্যালয়ে না যায় তাহলে তাকে অবশ্যই দরখাস্ত দিয়ে জানাতে হবে। তার অনুপস্থিতির নানা রকমের কারণ থাকতে পারে যেমন সে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে হঠাৎ করে অথবা সে কোথাও বেড়াতে যেতে পারে বা তার পরিবারে কোন ধরনের অনুষ্ঠান হতে পারে।দ যেমন তার পরিবারের কারো বিয়ে হতে পারে এ ধরনের অনুষ্ঠানগুলো থাকার কারণে অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পারে না।
কিন্তু দেখা যায় বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে না পারলেও কেন উপস্থিত হতে পারিনি এই বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান কে দরখাস্ত বা আবেদন পত্র লিখে অবগত করতে হবে। কেননা তাকে যদি না জানানো হয় তাহলে অনুপস্থিতির জন্য শাস্তির ব্যবস্থা করা হতে পারে। এই ধরনের শাস্তির হাত থেকে বাঁচার জন্য অবশ্যই দরখাস্ত লিখে জানাতে হবে। তবে দরখাস্ত লিখতে হবে অবশ্যই সুন্দরভাবে। কেননা সুন্দরভাবে দরখাস্ত না লিখলে সে দরখাস্তটি শিক্ষকের পছন্দ নাও হতে পারে এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
অনুপস্থিতির জন্য দরখাস্ত লিখলে কি কারনে অনুপস্থিত হয়েছে এই বিষয়টি সুন্দরভাবে দরখাস্তের মধ্যে উল্লেখ করতে হবে। কারণ এই বিষয়টি যদি উল্লেখ না করা হয় তাহলে শিক্ষক বুঝতে পারবেন না যে কেন শিক্ষার্থী স্কুলে আসতে পারেন নি বা স্কুলে অনুপস্থিত ছিল। আর তিনি যদি না বুঝতে পারেন তাহলে মঞ্জুর নাও করতে পারেন বা উপযুক্ত কারণ তিনি নাও জানতে পারেন। তাই অবশ্যই অনুপস্থিত হওয়ার কারণটি সুস্পষ্ট ভাবে দরখাস্তের মধ্যে উল্লেখ করতে হবে। তাছাড়া দরখাস্ত লিখতে হলে অবশ্যই দরখাস্তে তারিখ দেওয়া প্রয়োজন। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছে পাঠানোর সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম এবং ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
তাছাড়া কি বিষয়ে লেখা হচ্ছে সে বিষয়টিও সুন্দরভাবে লিখতে হবে, বিষয়টি লিখার পরেই মূল দরখাস্তটি লেখা আরম্ভ করতে হবে। আর মূল দরখাস্তের মধ্যেই কি কারণে উপস্থিত হতে পারেনি সেই বিষয়টি সুন্দরভাবে লিখে উপস্থাপন করতে হবে। আর দরখাস্ত লিখা শেষের দিকে নিজের নাম, রোল, শ্রেণী এ বিষয়গুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে অর্থাৎ নিজের পরিচয় দিতে হবে। কারণ কোন শিক্ষার্থী যদি দরখাস্ত লিখে দরখাস্তে নিজের পরিচয় না দেয় তাহলে কে দরখাস্তটি শিক্ষকের কাছে পাঠালো তা শিক্ষক জানতে পারবেন না। আর এ ধরনের অপরিপূর্ণ দরখাস্ত শিক্ষকের নিকট গ্রহণযোগ্য হয় না।
Leave a Reply