সাধারণত অফিসিয়াল ভাবে যে পত্র লিখা হয় সেগুলোই আবেদনপত্র বা দরখাস্ত নামে পরিচিত। আমাদের যখন কোন কারনে আবেদন পত্রের প্রয়োজন হয় তখন আবেদন পত্র লিখতে হয়। প্রত্যয়ন পত্রটি পাওয়ার জন্য আবেদনপত্র জমা দিলে প্রত্যয়ন পত্রটি পাওয়া যায়। তাই অবশ্যই এই ধরনের আবেদনপত্র জমা দিতে হলে আমাদের নিয়মগুলো জানা অত্যন্ত জরুরি। আর আমাদের আজকের আর্টিকেলটি মূলত প্রত্যয়ন পত্র উত্তোলনের জন্য কিভাবে দরখাস্ত আবেদন পত্র লিখতে হবে সেই বিষয়টি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।
আপনি যদি এ ধরনের দরখাস্ত খুঁজেন বা কিভাবে লিখতে হবে এ বিষয়গুলো জানতে চান তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। আশা করি আপনি এখান থেকে সুন্দর সুন্দর নিয়মগুলো শিখে নিতে পারবেন এবং প্রত্যয়ন পত্র উত্তোলনের জন্য যেভাবে আবেদন পত্র লিখতে হবে সেই বিষয়গুলো জেনে নিতে পারবেন খুব সহজে।
সাধারণত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নকালে শিক্ষার্থীদের প্রত্যয়নপত্রের প্রয়োজন হতে পারে বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন পত্র উত্তোলন করা হয় তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের নিকট প্রত্যয়ন পত্র উত্তোলনের জন্য আবেদন পত্র পাঠাতে হয়। আর তাই আবেদন পত্রটি অবশ্যই সুন্দর এবং মার্জিতভাবে লিখতে হবে। কেননা আবেদন পত্র যদি মার্জিতভাবে লিখা না হয় তাহলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
এ বিষয়টি সুন্দরভাবে মাথায় রাখতে হবে এবং খুবই সুন্দর ভাবে দরখাস্ত লেখা প্রয়োজন। যেকোনো বিষয়ে দরখাস্ত লিখতে হলে সুন্দরভাবে দরখাস্ত উপস্থাপন করা প্রয়োজন। কারণ এটি অফিসিয়াল কাজে ব্যবহার করা হয়। আর দরখাস্তের মধ্যে কোন ধরনের ভুল করা যাবে না।যদি কোন কারণে দরখাস্তের মধ্যে ভুল হয়ে যায় তাহলে সে দরখাস্ত টি বাতিল করতে হবে। বাতিল করে নতুন ভাবে লিখে জমা দিতে হবে।
আবার দরখাস্তের মধ্যে কাটাকাটি ও পরিহার করতে হবে। যদি কোন কারনে কাটাকাটি হয়ে যায় তাহলে সেই দরখাস্ত গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে। তাই এই বিষয়টি মাথায় রেখে যদি কোন কারনে কাটাকাটি হয়ে যায় তাহলে নতুন ভাবে দরখাস্ত লিখতে হবে এবং তা পাঠাতে হবে।প্রত্যয়ন পত্রের জন্য আবেদন পত্র লিখতে হলে যে আবেদন পত্রটিতে প্রথমে সুন্দরভাবে তারিখ লিখতে হবে। তারিখ লেখার পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের পদবী এবং ঠিকানাটি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে।
তারপর বিষয় উপস্থাপন করতে হবে। এই বিষয়টিতে প্রত্যয়ন পত্র উত্তোলনের জন্য আবেদন এর বিষয়টি সুন্দরভাবে লিখতে হবে। তারপর জনাব লিখে মূল আবেদন পত্রটি বা দরখাস্ত টি লেখা শুরু করতে হবে। এর মূল বিষয়টিতে সুন্দরভাবে কি কারণে দরখাস্ত লেখা হচ্ছে বা কি কারণে প্রত্যয়নপত্র প্রয়োজন তা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে।
প্রত্যয়ন পত্র যে প্রয়োজন এ বিষয়টি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারলে দরখাস্ত মঞ্জুর করা হতে পারে। এজন্য এ বিষয়টির দিকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে এবং মূল বিষয়টি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে। যখন এই বিষয়টি লেখা শেষ হয়ে যাবে তখন দরখাস্তটির নিচের দিকে নাম এবং ঠিকানা দিতে হবে। যে ব্যক্তি দরখাস্তটি লিখছে তার নাম এবং ঠিকানা দিতে হবে। তাছাড়া তার শ্রেণী, রোল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে। তারপর একটি খামে করে দরখাস্তটি প্রাপকের নিকট পাঠাতে হবে। এভাবে দরখাস্ত লেখা পরিপূর্ণ হয় এবং এভাবে দরখাস্তটি লিখলে তা গ্রহণ যোগ্যতা লাভ করে।
তাই আপনারা এই নিয়মটি অনুসরণ করতে পারেন এবং এভাবে দরখাস্তটি লিখে পাঠাতে পারেন। আশা করি এভাবে দরখাস্তটি লিখলে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হবে এবং দরখাস্তটি মঞ্জুর করা হবে। তাছাড়া দরখাস্তটি মঞ্জুর করলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান প্রত্যয়ন পত্র দিতেও বাধ্য থাকবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন এবং এই আর্টিকেলটির দ্বারা আপনি উপকৃত হয়েছেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Leave a Reply