মাতৃত্বকালীন ছুটির দরখাস্ত লেখার নিয়ম

মাতৃত্বকালীন ছুটির দরখাস্ত লেখার নিয়ম

আমাদের ওয়েব সাইটে আপনাকে স্বাগতম। আমরা জানি মহিলা চাকরিজীবীদের মাতৃত্বকালীন ছুটি প্রদান করা হয়। তাদের সম্মানুসারুপ মাতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া হয়। কিন্তু এই মাতৃত্বকালীন ছুটি পাওয়ার জন্য অবশ্যই সে চাকরিজীবী মহিলাকে যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন সেই প্রতিষ্ঠানে দরখাস্ত লিখে পাঠাতে হবে। যদি কোন মহিলা সেই প্রতিষ্ঠানে দরখাস্ত লিখে না পাঠায় তাহলে সে মাতৃত্বকালীন ছুটি ভোগ করতে পারবেনা। আর দরখাস্ত পাঠাতে হলে দরখাস্ত লেখার সুন্দর নিয়ম জানতে হবে। সেই নিয়মেই দরখাস্ত পাঠাতে হবে। কেননা দরখাস্ত যদি ভুল হয় তাহলে সে দরখাস্তটি গ্রহণযোগ্য হবে না। আর আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে মূলত মাতৃত্বকালীন ছুটির দরখাস্ত কিভাবে লিখতে হবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি মাতৃত্বকালীন ছুটির দরখাস্ত সম্পর্কে যাবতীয় বিষয় জানতে পারবেন। আর এভাবে দরখাস্তটি লিখলে আপনার দরখাস্ত সঠিক হবে।

বিভিন্ন সময় আমাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে দরখাস্ত লিখতে হয়। কিন্তু দরখাস্ত লিখতে হলে অবশ্যই দরখাস্ত লেখার নিয়ম জানতে হবে। আমরা অনেক সময় মনে করি যে দরখাস্ত লেখা অনেক কঠিন। কিন্তু আসলে দরখাস্ত কঠিন নয়, দরখাস্ত লিখার নিয়ম জানলে দরখাস্ত লেখা অনেক সহজ মনে হবে। এজন্য দরখাস্ত লেখার নিয়ম টা আমাদের অবশ্যই জানতে হবে। সাধারণত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াকালীন সময়ে স্কুল কলেজের শিক্ষকরা দরখাস্ত লেখার নিয়ম শেখায়। সেই নিয়ম অনুসরণ করে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার খাতায় দরখাস্ত লিখে। তারপরেও দেখা যায় অনেক শিক্ষার্থী দরখাস্ত সঠিকভাবে লিখতে পারেনা। তাই তারা পরীক্ষার খাতায় ভালো নম্বর অর্জন করতে পারে না। যদি কোন শিক্ষার্থী সঠিকভাবে দরখাস্ত লিখতে পারে তাহলে অবশ্যই সে পরীক্ষার খাতায় ভালো নম্বর অর্জন করতে পারবে।

সাধারণত মাতৃত্বকালীন সময়ে মহিলা চাকরিজীবীরা কোন প্রতিষ্ঠানে ঠিকমতো চাকরি করতে পারেনা বা সময় দিতে পারেনা। সেই সময়টিতে প্রত্যেকটি মেয়েদের বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। আর এজন্য প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানে মাতৃকালীন ছুটির ব্যবস্থা করেন। তবে মাতৃত্বকালীন ছুটি ভোগ করতে হলে অবশ্যই সেই মহিলাকে উক্ত প্রতিষ্ঠানের দরখাস্ত লেখার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের প্রধান কে অবগত করতে হবে বা যেখানে চাকরি করে জানাতে হবে। যদি এই বিষয়টি না জানানো হয় তবে সে কখনোই মাতৃত্বকালীন ছুটি ভোগ করতে পারবে না। সন্তান জন্মকালীন সময়ের আগে মাতৃত্বকালীন ছুটি ভোগ করা যায়। আবার সন্তান জন্মের পরেও মাতৃত্বকালীন ছুটি পাওয়া যায়। তবে অবশ্যই মাতৃকালীন ছুটির জন্য মাতৃতের রিপোর্ট প্রদান করতে হবে সেই অফিসকে। যদি কোন মহিলা সে মাতা হতে যাচ্ছে কিনা এর প্রমাণ বা রিপোর্ট দেখাতে না পারে তাহলে সে ছুটি ভোগ করতে পারবেন না, তাই অবশ্যই দরখাস্তের সাথে ডেলিভারির প্রমাণস্বরূপ বা মাতৃত্বের প্রমাণস্বরূপ ডেলিভারি রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

আবার দরখাস্ত লেখার সময় অবশ্যই সতর্কতার সাথে দরখাস্ত লিখতে হবে। কারণ দরখাস্ত যদি কোন কাটাকাটি হয়ে যায় তাহলে সেই দরখাস্তটি গ্রহণযোগ্য হয় না। তাই সব ধরনের কাটাকাটি পরিহার করে দরখাস্ত লিখতে হবে। আর যদি কোন কাটাকাটি হয়ে যায় তাহলে সে দরখাস্তটি বাতিল করে পুনরায় নতুনভাবে দরখাস্ত লিখতে হবে। আবার দরখাস্তের মধ্যে অস্পষ্ট ভাষা ব্যবহার করা যাবে না। সুস্পষ্ট ভাষায় দরখাস্ত লিখে উপস্থাপন করতে হবে। কোন বিষয়ে দরখাস্তটি লেখা হচ্ছে সেই বিষয়টি সুন্দরভাবে দরখাস্তের মধ্যে লিখতে হবে। যদি সুস্পষ্ট কারণ না লেখা যায় তাহলে দরখাস্তটি আসলে বোঝা যাবে না। তাই আবার দরখাস্তের মধ্যে একই কথা বারবার লেখা যাবে না বা অপ্রয়োজনীয় কথাগুলো লেখা ঠিক নয়। কারণ অপ্রয়োজনীয় কথা লিখতে গেলে প্রয়োজনীয় কথাটি সেই ভিড়ে হারিয়ে যেতে পারে বা নজরে না আসতে পারে। আবার দরখাস্ত সবসময় ছোট করে লিখাটা ভালো এবং সহজ ও সাবলীল ভাষায় লিখা উচিত। দরখাস্তের মধ্যে জটিল বা কঠিন ভাষা ব্যবহার করা ঠিক না।

About শাহরিয়ার হোসেন 4781 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*