
আমাদের ওয়েবসাইটটি বেঁছে নেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকে আমাদের এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেলটির বিষয়বস্তু হচ্ছে বিভিন্ন রকমের দরখাস্ত লেখার নিয়মসমূহ আলোচনা করা। তবে এখানে বিশেষভাবে আলোচনা করা হয়েছে বেতন কমানোর জন্য আবেদন বা দরখাস্ত লেখার নিয়ম সম্পর্কে। সাধারণত আমরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরকালীন সময়ে বেতন কমানোর জন্য অথবা বিনা বেতনে অধ্যায়ন করার জন্য আবেদন পত্র বা দরখাস্ত লিখে থাকি। আর দরখাস্ত লেখার জন্য বিভিন্ন ধরনের দরখাস্ত লেখার নিয়মগুলো আমাদের জানা অত্যন্ত জরুরি। কোন শিক্ষার্থী যদি দরখাস্ত লেখার সঠিক নিয়ম না জানে তাহলে সে দরখাস্ত কখনোই কোন শিক্ষক গ্রহণ করবে না। তাই প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর উচিত যে কোন দরখাস্ত লিখতে হলে দরখাস্ত লেখার সঠিক নিয়মটি জানা। আর সঠিক নিয়মে দরখাস্ত লিখে উপস্থাপন করা।
কোন শিক্ষার্থী যখন বিদ্যালয়ের খরচ চালাতে সমস্যা হয় বা পরিবারের থেকে লেখাপড়ার খরচ ঠিকমতো চালাতে পারে না তখন সে শিক্ষার্থী লেখাপড়ার খরচ কমানোর জন্য বিনা বেতনে অধ্যয়ন করার জন্য বিদ্যালযয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট আবেদন করে। প্রধান শিক্ষক যদি বিবেচনা করে দেখে যে আসলে সে শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার খরচ চালানোর কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে, পরিবারের পক্ষে খরচ চালানো সম্ভব হচ্ছে না তখন সে শিক্ষক আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তার দরখাস্তটি মঞ্জুর করেন এবং সে শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ে বিনা বেতনে অধ্যয়ন করার জন্য সুযোগ তৈরি করে দেন। তবে যে সকল শিক্ষার্থীর এ ধরনের আর্থিক সমস্যা রয়েছে তাদের উচিত অবশ্যই বিদ্যালয়ের প্রধানকে জানানো এবং বিনা বেতনে অধ্যায়নের জন্য বা কম বেতনে অধ্যায়নের জন্য প্রধান শিক্ষকের নিকট আবেদন পত্র জমা দেওয়া হয়। তাহলে প্রধান শিক্ষক অবশ্যই যদি মনে করেন যে আসলে সে শিক্ষার্থীর সমস্যা রয়েছে তাহলে তাকে বিনা বেতনে পড়াশোনার জন্য উপযুক্ত মনে করবেন।
তবে যে কোন বিষয়ে দরখাস্ত লেখার জন্য দরখাস্ত লেখার নিয়ম গুলো জানতে হবে। আমরা বিভিন্ন প্রয়োজনে বিভিন্ন সময় দরখাস্ত লিখে থাকি। তবে অনেকেই দরখাস্ত লেখার সুন্দর নিয়ম সম্পর্কে জানেনা। আর দরখাস্ত লিখার নিয়ম না জানার ফলে সে দরখাস্তটি গ্রহণযোগ্য হয় না বা অনেকে দরখাস্তটি পছন্দ করেনা। এজন্য প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর উচিত দরখাস্ত লেখার সময় মনোযোগী হওয়া এবং সঠিক নিয়মে দরখাস্ত লিখে তাহলে দরখাস্তটি গ্রহণযোগ্য হবে এবং সবাই দরখাস্তটি গ্রহণ করবে। আর দরখাস্তটি দেখে খুশি হবে। তাই অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা দরখাস্তে দেওয়ার দরকার নেই।
আবার দরখাস্ত লেখার সময় অবশ্যই কি বিষয়ে দরখাস্ত লিখেছি সেই বিষয়টি উল্লেখ করতে হবে। তাছাড়া দরখাস্ত কবে লিখছি সে ডেট বা তারিখটি উল্লেখ করাটা খুবই জরুরী। যদি কোন শিক্ষার্থী দরখাস্তে তারিখ উল্লেখ না করে বা কোথায় থেকে দরখাস্তটি লেখা হচ্ছে সেই জায়গার নাম অথবা যে শিক্ষার্থী দরখাস্ত লিখছে তার পরিচয় যদি দরখাস্তে ঠিকমতো উপস্থাপন না করে তাহলে শিক্ষক বুঝতে পারবে না যে কি আসলে দরখাস্ত লিখেছে বা কি কারণে দরখাস্ত লিখেছে। তখন সে দরখাস্তটির আর কোন মূল্য থাকবে না। তাই অবশ্যই এই বিষয়গুলো একটি দরখাস্তে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে।
আর একটি দরখাস্ত লেখার সময় অবশ্যই গুরুত্ব দেওয়া উচিত দরখাস্তটি কি কারণে লেখা হচ্ছে বা দরখাস্ত লেখার কারণটা কি এই বিষয়ে। যদি মূল বিষয়টি দরখাস্তে উপস্থাপন করা না হয় তাহলে সে দরখাস্তটি আসলে উপযুক্ত হয় না। তাই যে বিষয়ে দরখাস্তটি লেখা আছে সেই বিষয়টি সুন্দরভাবে দরখাস্তে উপস্থাপন করতে হবে। আবার অপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্য দরখাস্তে দেওয়া উচিত নয়। দরখাস্ত সবসময় পরিপাটি এবং সংক্ষিপ্ত হওয়াটা দরকার। সুন্দর ভাষায় আর সুন্দর লেখায় দরখাস্ত উপস্থাপন করাটা অনেক বেশি জরুরী। যদি সুন্দর ভাষায় এবং সুন্দরভাবে সকল ধরনের কাটাকাটি পরিহার করে যে কোন দরখাস্ত লিখা যায় এবং সে দরখাস্তকে উপস্থাপন করা যায় তাহলে অবশ্যই সেই দরখাস্তটি গ্রহণযোগ্যতা লাভ করবে।

Leave a Reply