আমরা আজকে এখানে জানতে এসেছি আল্লামা শব্দের অর্থ কি এবং আল্লামা শব্দটি আসলে তাদের নামের পূর্বে বসালে এই শব্দটি বা বিশেষণটি যুক্তিযুক্ত হয়। তবে আজকে আমরা আপনাদেরকে অবশ্যই এই আল্লামা শব্দটি নিয়ে বিশ্লেষণ করে দেখাবো যে আল্লামা শব্দের অর্থ কি এবং এই আল্লামা শব্দটি তাদের নামের পূর্বে বসালে আসলে সঠিক যুক্তিযুক্ত হতে পারে।
তাহলে চলুন দেখি যে আল্লামা শব্দটি বিচার বিশ্লেষণ করে এর অর্থ কি এবং এটি আসলে তাদের পূর্বে বা কাদের নামের পূর্বে কোন ব্যক্তির নামের পূর্বাভাসনে একটি যুক্তিযুক্ত হতে পারে। আল্লামা শব্দের অর্থ মহাজ্ঞানী, কোন বিষয়ে কারো পান্ডিত্য থাকলে বা পান্ডিত্য প্রকাশ পেলে তার নামের আগে আমরা আল্লামা শব্দটি ব্যবহার করতে পারি।
বা ওই ধরনের ব্যক্তিত্বের পূর্বে আল্লামা শব্দটি বসানো হয় বা বসিয়ে আমরা তাকে পরিচিতি বাড়িয়ে দিতে পারি। আর মাওলানা শব্দের অর্থ আমাদের নেতা সাধারণত মাদ্রাসা থেকে টাইটেল বা কামিল পাশকৃত ব্যক্তিকে মাওলানা বলা হয়ে থাকে। সাধারণত মাদ্রাসা থেকে টাইটেল বা কামেল পাশকৃত ব্যক্তিকে মাওলানা বলা হয়।
মাওলানা আসলে ইসলামিক বিষয়ে বা ইসলাম সংক্রান্ত সকল পড়াশোনা করে তারা সেই মাওলানা ডিগ্রি অর্জন করে। এভাবে আমরা তাদেরকে মাওলানা বলব বা মাওলানা শব্দটি কাদের পূর্বে বসবে সেটি আমরা এতক্ষণে বুঝে নিলাম বা দেখে নিলাম। এখন আমাদের দেখতে হবে যে মুফতি শব্দের অর্থ কি এবং মুফতি কাদের পূর্বে বসবে। সাধারণত মূর্তি বলা হয় সেই ব্যক্তিকে যিনি আরবি ‘ফিকাহ’ নামক শাস্ত্রে অভিজ্ঞ।
তাহলে দেখা যাচ্ছে যে আসলে এটি একটি ডিগ্রী। অর্থাৎ কার শাস্ত্রে অবশ্যই তাকে পারদর্শী হতে হবে তবেই তাকে মুক্তি নামে অভিহিত করা যাবে। তাহলে সাধারণত বলা যায় যে আল্লামা শব্দের অর্থ হলো মহাজ্ঞানী। সাধারণভাবে ইসলামী আইন বা শিক্ষা দর্শন ও ইসলামিক কুরআন ও হাদিসের ব্যাখ্যাকারী জ্ঞানী ব্যক্তিকে আমরা বা ইসলামের পরিভাষায় আল্লামা বলে উপাধি প্রদান করা হয়।
অর্থাৎ ইসলাম নিয়ে গবেষণাকারী ব্যক্তিকে বা এ ধরনের গবেষক কে আল্লামা উপাধি প্রদান করা হয়। তাহলে আমরা দেখতে পাই যে,যে ব্যক্তি এ ধরনের শাস্ত্রে পারদর্শিতাদের ক্ষেত্রেই এই ধরনের উপাধি প্রদান করা যেতে পারে। কিন্তু আমাদের চারপাশে দেখি যে কেউ এই আল্লামা উপাধি ধারণ করে সমাজের ইসলামের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।
তাই ঐ সকল ব্যক্তিদের কখনোই এই ডিগ্রি না থাকা অর্থাৎ শিক্ষা শাস্ত্র বা ইসলামিক বিভিন্ন জ্ঞান অর্জন না করে যদি কেউ আল্লামা উপাধি গ্রহণ করে তাহলে অবশ্যই সেটি ঠিক হবে না। তাই আমরা বলতে পারি যে আল্লামা শব্দটি আলেম বা জ্ঞানী শব্দের ব্যাপকতা বোঝানোর ক্ষেত্রেও এটি প্রকাশ করা যেতে পারে। বা জ্ঞানী এর ব্যাপকতা বোঝানোর জন্য এই শব্দটি বসানো যেতে পারে।
কিন্তু ইসলামিক পরিভাষায় আলেম এবং আল্লামা শব্দের ব্যবহারে তেমন কোন পার্থক্য নেই তবে, সামান্য একটু ব্যবধান করা যেতে পারে তা হলো এই যে আলেমের ইলম বা জ্ঞানের আলো এবং তার উপকারিতা ছড়িয়ে পড়েছে দিগ্বিদিক তাকেই আল্লামা বলা যাবে। আর যদি না হয় তাহলে তাকে আলেম বলে সম্বোধন করাই যুক্তিযুক্ত। আল্লামা শব্দটি নিয়ে যদি আরো কোন জটিলতা থাকে তাহলে আপনারা অবশ্যই এই নিচে দেওয়া আরবির শব্দ গুলি ভালোভাবে পড়লেই বুঝতে পারবেন যে এতক্ষণ আমরা যে ধরনের কথা বললাম আল্লামা শব্দটি নিয়ে আসলে এই কথাগুলি এখানে বোঝানো হয়েছে।
তাই আরো ভালো করে বললে বোঝানো যায় যে আল্লামা হল ইসলামী চিন্তা আইন ও দর্শনের ক্ষেত্রে উচু পর্যায়ের পন্ডিতদের নামের সাথে ব্যবহৃত সম্মানজনক উপাধি। সুন্নি এবং শ্রেয়া উভয় বর্ণের পণ্ডিতের পক্ষে এই উপাধি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। শনি এবং শেয়ার উভয় যেহেতু ইসলাম ধর্মের অনুসারী তাই এই উপাধি ব্যবহার করতে উভয়েরই কোন সমস্যা নেই। আল্লামা উপাধিধারী অন্যান্য ধর্মবেত্তাদের উপরে অবস্থান করেন, যেমন আয়াতুল্লাহ ও হুজ্জাতুল ইসলাম (শিয়া উদাহরণ)।
Leave a Reply