
আজকে যে ভাব-সম্প্রসারণ কে নিয়ে আমরা আলোচনা করব সেটি অষ্টম নবম এবং দশম শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের জন্য উপযোগী একটি ভাব সম্প্রসারণ। আমাদের এই ওয়েবসাইট পেজে আমরা প্রতিনিয়ত এই চেষ্টা করি নতুন নতুন তথ্য দেওয়ার জন্য। দীর্ঘদিন করোনার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার দিক দিয়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে।
তাই এখন থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়মিতভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে। আমাদের এই ওয়েবসাইট পেজ আমরা সে বিষয়ের দিকে খেয়াল রেখে বিভিন্ন শিক্ষাবিষয়ক তথ্য আপডেট করার চেষ্টা করছি। আজকে আমরা যে ভাব সম্প্রসারণটি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হচ্ছে
স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন
মূলভাব: স্বাধীনতা মানুষের জন্মগত অধিকার। মানুষ মাত্রই স্বাধীনতা প্রিয়। কিন্তু এই স্বাধীনতা এত সহজলভ্য বিষয় না। বহু সংগ্রাম এবং আত্মত্যাগের বিনিময়ে মানুষ স্বাধীনতা অর্জন করে। স্বাধীনতা লাভ একটি জাতির জন্য গর্বের বিষয়। কিন্তু এই স্বাধীনতাকে রক্ষা করা আমাদের একটা মৌলিক দায়িত্ব। স্বাধীনতা অর্জন করা যেমন একটা কঠিন কাজ ঠিক তেমনি একে রক্ষা করো আরো কঠিন।
সম্প্রসারিত ভাব: স্বাধীনতা মানুষের জন্মগত অধিকার। স্বাধীনতা অর্জন করা যে কোনো পরাধীন জাতির পক্ষে অত্যন্ত কঠিন কাজ। প্রত্যেক মানুষই স্বাধীনতাকে ভালোবাসে। সে স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাই। এ প্রসঙ্গে প্রাবন্ধিক ইসমাইল হোসেন সিরাজীর বলেছেন, ” আলোক ব্যতীত যেমন পৃথিবী জাগেনা, স্বাধীনতা ব্যতীত তেমনি জাতি কখনো বাঁচতে পারেনা ।” এই স্বাধীনতা অর্জন করা বড়ই কঠিন। স্বাধীনতা অর্জন করতে শক্তি, সাহস, সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং বহু রক্তপাতের প্রয়োজন হতে পারে। কারণ, শক্তিমান শাসকগোষ্ঠী পদানত জাতিকে কখনোই স্বাধীনতা দান করে না; বহু ত্যাগ ও রক্তপাতের মাধ্যমেই তা অর্জন করতে হয়।
স্বাধীনতা অর্জনই মূল উদ্দেশ্য নয়। একে সমুন্নত রাখাই মুখ্য উদ্দেশ্য। তাই স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য বেশি সংগ্রাম ও শক্তির প্রয়োজন। এছাড়া স্বাধীনতাকে টিকিয়ে রাখতে আরো প্রয়োজন প্রযুক্তি, কৌশল, ঐক্য ও ন্যায়বোধ।
স্বাধীনতা অর্জনের পর দেশের পুনর্গঠন উন্নয়ন ও বহিঃশত্রুর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সবসময় আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। সরকারের উন্নয়নের পাশাপাশি আমাদেরকে সকলকে সম্মিলিতভাবে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। শুধুমাত্র সরকারের একার পক্ষে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না সাথে সাথে আমাদেরকেও সহযোগিতা করতে হবে। দেশের সকল নাগরিক যদি একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করে তাহলে স্বাধীনতা কখনো বিপন্ন হবে না।
স্বাধীনতা অর্জনের পর দেশ যদি অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল থাকে, জনগণ যদি সচেতন না হয়, তারা যদি দেশ প্রেমিক না হয় তাহলে স্বাধীনতা বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। স্বাধীনতা রক্ষার জন্য দেশের আপামর জনসাধারণকে সচেষ্ট কর্তব্য পরায়ন হয়ে মাঠে -ময়দানে, কলকারখানায় অবিরাম কাজ করতে হবে। দেশকে শিল্প-বাণিজ্য উন্নত করে দেশের আর্থিক সচ্ছলতা আনতে হবে । সরকারের পাশাপাশি জনগণকে বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করতে হবে । কৃষির উন্নতির বিধান করে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে হবে। তবেই কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে ব্যর্থতার হাত থেকে রক্ষা করা যাবে। স্বাধীনতাকে অম্লান রাখতে আমাদের সকলকে সচেষ্ট হতে হবে তবেই অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করা সম্ভব।
মন্তব্য: স্বাধীনতা অর্জন করা যেমন কঠিন, তেমনি তা রক্ষা করা আরো কঠিনতর ব্যাপার। দেশের সকল নাগরিককে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে , তাহলে যেকোন দূর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব। এভাবে স্বাধীনতার মর্যাদা রক্ষিত হবে এবং তখনই স্বাধীনতা অর্জন সার্থক বলে বিবেচিত হবে।
উপরোক্ত যে ভাব সম্প্রসারণ টি নিয়ে আজ আলোচনা করা হল নিশ্চয়ই আপনাদের ভাল লেগেছে। আমরা আমাদের এই ওয়েবসাইটে যতটুকু পেরেছি সুন্দর ও সহজ ভাবে উপস্থাপনা করার চেষ্টা করেছি। আপনারা বেশি বেশি করে এই ওয়েবসাইট পেজে ভিজিট করুন এবং অন্যান্যদের ভিজিট করতে বলুন। আমরা বাংলা ব্যাকরণ এর আরো অন্যান্য বিষয় নিয়ে বিশদ আকারে এই ওয়েবসাইট পেজে আলোচনা করব। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন।
Leave a Reply