শবে বরাতের রাতের আমল

শবে বরাতের রাতের আমল

শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে শবে বরাত পালন করা হয়। তাই আপনারা যারা শবে বরাত সম্পর্কে জানতে চান অথবা এই রাতের আমল সম্পর্কে জানতে চান তাদেরকে আজকের এই প্রশ্নের মাধ্যমে তা জানিয়ে দেওয়া হবে। একজন মুসলমান হিসেবে শবে বরাত কি এবং কোথায় থেকে এটার উৎপত্তি এবং কিভাবে এটা পালন করতে হবে সেগুলো জানা জরুরী। তাই আপনি যখন শবে বরাত সম্পর্কে জানতে চাইবেন তখন বলব যে শব মানে রাত এবং বরাত মানে মুক্তি। তাই শবে বরাত রাতের অর্থ হলো মুক্তির যামিনী এবং এই রাতকে আমরা আরবিতে বলে থাকি লাইলাতুল বরকত। তাই হাদিস শরীফ অনুসরণ করে আপনারা যখন শবে বরাত পালন করতে চান তখন অবশ্যই এটা পালন করতে পারবেন এবং পালন করার বিষয়ে আপনারা যে সকল বিষয়গুলো বিস্তারিত ভাবে জানতে চান সেগুলো এই প্রশ্নের মাধ্যমে জানতে পারবেন।

আপনারা যখন শবে বরাতের ইবাদত অথবা সেই রাতের আমল সম্পর্কে জানতে চাইবেন তখন আপনাদেরকে বলব যে এই রাচটি পালন করার পেছনে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে যে সকল গুরুত্বপূর্ণ এবং মহিমান্বিত রাত রয়েছে তার ভিতরে পাঁচটি রাতের কথা বারবার উল্লেখ করা হয়েছে। এই পাঁচটি রাতের ভেতরে শবে বরাতের রাত গুরুত্বপূর্ণ এবং যাদের ইবাদতের গুরুত্ব অনুধাবন করে বিভিন্ন সময়ে ইবাদত করেন তারা শবে বরাতের রাতেও নফল ইবাদত করে ফজিলত অথবা বর্জন করতে পারেন। তাই আপনারা যখন শবে বরাতের ইবাদত অথবা আমল সম্পর্কে জানবেন তখন আপনাদেরকে বলবো যে এই ইবাদত সম্পর্কে জানতে এখন থেকে এই পোষ্টের গুরুত্ব সহকারে পড়তে থাকুন।

আপনারা যখন শবে বরাতের রাতের আমল সম্পর্কে জানতে চাইবেন তখন বলব যে, রাসুল সাঃ এই প্রসঙ্গে বলেছেন যে, যখন সাবানের মধ্য দিবস আসবে তখন সেই মধ্য দিবসে রাতের বেলা নফল ইবাদত করতে হবে এবং নফল ইবাদত করার মধ্য দিয়ে আমরা অবশ্যই রোজা পালন যেমন করতে পারবো তেমনি ভাবে রাত জেগে নামাজ আদায় করতে পারব। রাত জেগে যখন আমরা এবাদত করতে চাইব তখন এর ভেতরে শ্রেষ্ঠ ইবাদত হিসেবে নামাজ আদায় করতে হবে এবং নফল ইবাদত হিসেবে আমরা আদায় করলে সেটা সবচাইতে ভালো হবে। তাছাড়া নফল ইবাদত করার সময় আমরা অবশ্যই তাজা ওযু করে নিব এবং নতুন অজু করে নেওয়াটা মুস্তাহাব হিসেবে আপনারা পালন করতে পারেন। তাছাড়া রাতের ইবাদত ছাড়া আপনারা যদি বলেন দিনের ইবাদত জানবেন তাহলে অবশ্যই শাবান মাসের ১৩-১৪ এবং ১৫ তারিখে নফল রোজা আদায় করতে পারেন।

তাছাড়া আপনারা যখন শবে বরাতের রাতে ইবাদত সম্পর্কে জানতে চাইবেন তখন আপনাদেরকে আরো বলবো যে এখানে নফল নামাজ আদায় করার পাশাপাশি আপনারা তাহিয়াতুল অজু এবং দুখুলিল মাসজিদ নামাজ আদায় করবেন। এছাড়া আপনারা তাওবার নামাজ এবং সালাতুল হাজতের নামাজ আদায় করতে পারবেন। আপনি যদি মনে করেন সালাতের সকল এবং অন্যান্য নফল ইবাদত করতে পারবেন। তাছাড়া রাতের আমল যখন করবেন এবং নামাজ আদায় করবেন তখন নামাজে কি রাত এবং রুকু সেজদা দীর্ঘ করতে হবে। এছাড়াও আপনারা কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করতে পারবেন এবং রাত জেগে নামাজ পড়ার পাশাপাশি কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করাটা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ইবাদত।

এছাড়া যে কোন ইবাদত করার ক্ষেত্রে তওবা এবং ইস্তেগফার অধিক পরিমাণে পাঠ করা জরুরী। কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ফজিলত পূর্ণ সূরা সমূহ তেলাওয়াত করতে হবে এবং বেশি বেশি করে দরুদ শরীফ পাঠ করলে সবচাইতে ভালো হবে। বেশি বেশি করে জিকির-আজগার করবেন এবং দোয়া কালাম সহ তাজবি তাহলিল এবং জিকির আজগার করার মধ্য দিয়ে আপনাদের এই ইবাদত সম্পন্ন করতে হবে। পরিবারের কোনো সদস্য অথবা নিকট আত্মীয় মারা গেলে তাদের জন্য দোয়া করতে হবে এবং কবর জিয়ারত করলেও আপনারা সেটা করতে পারবেন। সর্বোপরি সকলের জন্য আপনারা সেই রাতে দোয়া করলে আল্লাহ পাক আপনাদের দোয়া অবশ্যই কবুল করবেন।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*