শবে কদরের ফজিলত ও আমল কি কি

শবে কদরের ফজিলত ও আমল

সাধারণত আমরা রমজান মাসে ২৭শে রমজানকে শবে কদর বলে থাকি এবং এই রাতে আমরা জেগে মহান আল্লাহ পাকের উদ্দেশ্যে ইবাদত করতে থাকি। তাই আপনি যখন শবে কদরের সঠিক আমল সম্পর্কে জানতে চাইবেন তখন আমরা আপনাদেরকে এ বিষয়ে জানিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি শবে কদরের রাতে জাগলে কি ধরনের ফজিলত পাওয়া যাবে তা জেনে নিবেন। যেহেতু শবে কদরের অর্থ হলো অত্যন্ত সম্মানিত অথবা গুণাগুণ সম্পন্ন একটি মহিমান্বিত রাত সেহেতু এই রাত আমাদেরকে অবশ্যই বিশেষ কাজে ব্যবহার করতে হবে।

তাই আপনি যদি শবে কদরের ইবাদত সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোস্ট থেকে জানবেন এবং এই রাতের গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পারলেই আসলে কেন এই রাত জাগতে হবে তা আপনাদের মনের তাগিদ থেকেই জাগা হয়ে যাবে। তাই নিচের আলোচনা বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করুন।

আপনি যখন শবে কদরের রাতের গুরুত্ব সম্পর্কে বুঝতে চাইবেন তখন বলব যে আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ যখন হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানমগ্ন অবস্থায় ছিলেন তখন মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআন শবে কদরের রাতে নাযিল করেন। আল্লাহ পাকের এই মহিমান্বিত বানিয়ে পৃথিবীর বুকে আমাদের নবী রাসূলের কাছে পৌঁছে যায় এবং তার মাধ্যমে আমরা ওহি প্রাপ্ত হয়ে সেই ওহীর উপর ভিত্তি করে আমাদের জীবনকে পরিচালনা করে আসছি। তাই এই বিশেষ দিনটি আমরা অবশ্যই পালন করব এবং পালন করার ক্ষেত্রে আমরা যে সকল ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে রয়েছি সেগুলো পরিবর্তন করে সঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করব।

প্রকৃতপক্ষে আপনি যদি শবে কদরের রাত পেতে চান তাহলে আপনার জন্য সবচাইতে ভালো হবে ইতিকাফ করা। এর মাধ্যমে আপনি শেষ দশক অর্থাৎ নাজাতের ১০ দিন সঠিকভাবে ইবাদত করার সুযোগ পাবেন এবং শবে কদরের উদ্দেশ্যে ইবাদত করতে পারলে কোন একদিন আপনাদের কাছে অবশ্যই শবে কদর এসে ধরা দিবে এবং আপনাদের এবাদত ইনশাল্লাহ কবুল হয়ে যাবে। শবে কদর খোঁজার জন্য রমজান মাসের শেষ দশ দিন বিজোড় দিনে যদি আমরা জাগি তাহলে সেটা সবচাইতে ভালো হবে।

তাই এই বিশেষ রাত জাগার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই বিশেষ এবাদত গুলো করতে হবে এবং এই ইবাদতগুলো যদি আমরা করতে পারি তাহলে মহান আল্লাহ পাক অনেক রাজি খুশি হবেন। নিচের দিকে আপনাদের জন্য শবে কদরের আমল সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা হলে এবং সেই আমলগুলো আপনারা করার চেষ্টা করবেন।

শবে কদরের রাতে আপনারা অবশ্যই নফল নামাজ আদায় করবেন। এক্ষেত্রে মসজিদে প্রবেশ করে আপনারা দুখুলিল মসজিদ এর নামাজ দুই রাকাত আদায় করে নিবেন। তারপরে দুই রাকাত করে মাগরিবের ছয় রাকাত আওয়াবীনের নামাজ পড়ে নিবেন। এর পরে রাতের তারাবির নামাজ আদায় করা শেষে আপনারা শেষ রাতে যখন সেহরি খেতে যাবেন তার আগে অবশ্যই তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে নেওয়াটা সবচাইতে ভালো হবে। তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করার পাশাপাশি আপনি যদি সালাতুল তাজবি আদায় করতে পারেন তাহলে সেটা ভালো হবে এবং সালাতুল তাজবি আদায় করার মধ্য দিয়ে আপনাদের অনেক সওয়াব হবে।

এছাড়াও আপনারা বেশি বেশি করে তওবা করবেন এবং ইস্তেগফার পাঠ করবেন। যদি কারো পক্ষে সালাতুল হাজত পড়ার সময় থাকে তাহলে সেটা অবশ্যই পড়বেন এবং বেশি বের করে সালাতুশ শোকর আদায় করবেন এবং নফল নামাজ বেশি বেশি করে আদায় করার চেষ্টা করবেন। এছাড়াও আপনারা বেশি বেশি করে কোরআন মাজীদের তেলাওয়াত করতে পারেন এবং কোরআন মাজীদের যে সকল ছোট ছোট সূরা রয়েছে সেগুলো আমল করার পাশাপাশি আপনারা উল্লেখযোগ্য যে সকল সূরা রয়েছে সেগুলো তেলাওয়াত করতে পারেন এবং দরুদ শরীফ পাঠ করার পাশাপাশি জিকির আজগার করতে হবে এবং পরিবার পরিজন থেকে শুরু করে আপনার ইহকাল এবং পরকালের জন্য দোয়া করতে হবে। শবে কদরের এই বিশেষ দিনগুলো পালন করার জন্য আপনারা মনে প্রাণে আগে থেকে প্রস্তুত থাকবেন এবং প্রতিটি বেজোড় রাতে শবে কদর অনুসন্ধান করার চেষ্টা করবেন।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*