
আমাদের অনেকের কাছেই সরল অংক অত্যন্ত কঠিন একটা অংক হিসেবে আমরা এটা করতে পারিনা। তাই আপনাদের যাদের সরল গণিতে অনেক সমস্যা রয়েছে এবং সরল গণিতের সূক্ষ্ম ভুলের কারণে পুরো গণিত যখন কাটা পড়ে তখন আপনাদেরকে সঠিক নিয়ম শিখতে হবে। প্রকৃতপক্ষে আপনি যদি সিকুয়েন্স অনুযায়ী এবং বিভিন্ন প্রতীকের কাজ সঠিকভাবে করতে পারেন তাহলে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে সমাধান হয়ে যাবে এবং একটা সময় বিশাল বড় একটি সরল অংক ছোট একটি উত্তরে এসে পরিণত হবে।
আর তাই আজকে আপনাদের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে সরল গণিতের সমস্যার সমাধান কিভাবে করবেন তা জেনে নিবেন এবং উপায় জেনে নেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের অনুশীলন দেখলেই বুঝতে পারবেন এগুলো কত সহজ ভাবে সমাধান করা যায়। এই ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে আপনাদের একটু সিরিয়াস হতে হবে এবং এক্ষেত্রে প্রত্যেকটি সংখ্যাকে গুরুত্বপূর্ণ করে প্রত্যেকটি কাজ নির্ভুল ভাবে ক্যালকুলেশন করতে হবে।
ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে আমাদেরকে সরল অংক করা লাগে। আপনি যদি পঞ্চম শ্রেণীতে অথবা চতুর্থ শ্রেণীতে যোগ বিয়োগ গুন ভাগ এর অংক গুলো একত্রে করে থাকেন অথবা বিভিন্ন ধরনের ঐকিক নিয়মের কাজগুলো করতে পারেন তাহলে সরল অংক করাটা আপনার জন্য কঠিন কোন বিষয় হবে না। সরল অংক বদমাশ নামক যে সূত্র রয়েছে সেই সূত্রের উপর নির্ভর করে করা হয়। এক্ষেত্রে ব্রাকেটের কাজ আগে করা হয় এবং ব্র্যাক এর ভেতরে যে চিহ্নে আগে থাকুক না কেন তার ক্যালকুলেশন করে ব্রাকেটের বাইরের কাজগুলো করতে হবে। প্রথম বন্ধনীর দ্বিতীয় বন্ধনী এবং তৃতীয় বন্ধনী ক্রমানুসারে সমস্যার সমাধান করে আপনাদেরকে বাইরের কাজগুলো করতে হবে।
আর যদি কোন ধরনের ব্র্যাকেট না থাকে তাহলে আপনাদেরকে প্রথমে ভাগের কাজ এবং পরে গুণের কাজ করতে হবে। তারপরে যোগ হবে এবং পরে বিয়োগের কাজ করতে হবে। এভাবে আপনারা ধারাবাহিকতা অনুসরণ করে BODMAS এর সূত্র যদি সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারেন তাহলে যেকোনো ধরনের সরল অংক আপনার কাছে পানির মত সহজ বলে মনে হবে। অধিকাংশ শিক্ষার্থীর সংখ্যা যে তারা প্রথমে বিশাল একটি রাশি দেখে অনেক ভয় পেয়ে যায় এবং মনে করে যে এই অংকের সমাধান তার দ্বারা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সে প্রথমে তার আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের ছোটখাট ভুল করার কারণে তার অংক কিছু হয় না এবং সমাধানে আসতে পারে না।
বদমাস(BODMAS) নিয়মে প্রথমে বন্ধনীর কাজ, বন্ধনীর মধ্যে আবার প্রথমে রেখা বন্ধনী, তারপর প্রথম, পরে দ্বিতীয়, তারপরে তৃতীয় বন্ধনীর কাজ হয়। এরপর ভাগের কাজ, তারপরে গুনের কাজ, তারপর যোগ, শেষে বিয়োগের কাজ হয়।
সরলের অংক যত বড়ই হয়ে থাকুক না কেন সর্ব প্রথমে আপনাদেরকে অংকটি তুলতে হবে এবং তোলার পরে উপরের দেখানো নিয়ম অনুসরণ করে প্রত্যেকটি ক্যালকুলেশন সম্পন্ন করতে হবে। আপনি যদি ক্যালকুলেশনের কোন জায়গায় ভুল করে থাকেন তাহলে সেই সমাধান মিল করতে গিয়ে অনেক ঝামেলায় পড়ে যাবেন। তাই ক্যালকুলেশন এমনভাবে করতে হবে যাতে করে আপনার কোথাও কোনো ভুল ভ্রান্তি না থাকে এবং এইটা যদি মেনে চলতে পারেন তাহলে অংক আস্তে আস্তে ছোট হতে থাকবে এবং উত্তরের পর্যায়ে আপনারা চলে আসতে পারবেন। সরল অংক করার জন্য আপনারা সর্বোচ্চ মাথা ঠান্ডা রেখে কাজগুলো করবেন যাতে করে কোথাও কোনো ভুল ভ্রান্তি হওয়ার সুযোগ না থাকে।
আর সরল করার ক্ষেত্রে আপনারা যদি পাটিগণিতের সরল করেন তাহলে সংখ্যার কাজগুলো যেমন ভাবে করবেন ঠিক বীজগণিতের অংকেও একইভাবে সংখ্যার কাজগুলো খুব সুন্দরভাবে করতে হবে। তবে বীজগণিতের ক্ষেত্রে ব্রাকেটের ভেতরে যদি আগে মাইনাস চিহ্ন থেকে থাকে তাহলে বাইরের চিহ্ন অনুসরণ করে তা পরিবর্তিত হতে পারে। আশা করি যে এই পোষ্টের মাধ্যমে সরল অংক কিভাবে সহজ নিয়ম অনুসরণ করে সমাধান করতে হয় তার নিয়ম জানতে পারলেন।
নিয়ম জানার পাশাপাশি আপনারা যারা মনে করছেন এগুলো অনুশীলন করতে পারলে ভালো হতো অথবা অনুশীলন দেখতে পারলে কোথায় কিভাবে সমাধান করা হচ্ছে তা বুঝতে পারতেন তাহলে অবশ্যই এখানকার প্রদান করা পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে নিবেন। সবাইকে ধন্যবাদ।

Leave a Reply