তারাবির নামাজ ৮ রাকাতের দলিল

ইবাদতের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ ও উত্তম মাস হল রমজান মাস। তাই আমরা ইসলাম ধর্মের বিধান অনুযায়ী রমজান মাসকে কেন্দ্র করে নানান ধরনের ইবাদতে নিজেদের ব্যস্ত রাখি আর সেই ইবাদত গুলোর মধ্যে তারাবির নামাজ একটি। নামাজ মহান আল্লাহতালার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। কারণ একজন মুসলমান ব্যক্তি নামাজের মাধ্যমে মহান আল্লাহ তালার সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারে। তার মনের যত চাওয়া পাওয়া তার উপস্থাপন করতে পারে। আর রমজান মাসের বিশেষ ইবাদত গুলোর মধ্যে তারাবির নামাজ একটি।

তাই রমজান মাসে পুরুষদের জন্য তারাবির নামাজ মসজিদে জামাতের সঙ্গে আদায় করা সুন্নত। তারাবির নামাজে কোরআন শরিফ খতম করা সুন্নত আমল। চাইলে নারীরাও জামাতের সঙ্গে তারাবির নামাজ আদায় করতে পারবেন। তাই আমাদের মাঝে অনেক মুসলমানেরই তারাবির নামাজ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের উত্তর জানতে আগ্রহী। তাই অনেকে জানতে চান তারাবির নামাজ ৮ রাকাতের দলিল এই বিষয়টি সম্পর্কে। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আজকে আমরা এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে আলোচনা করব। যেটা প্রতিটি মুসলমানের জেনে থাকা উচিত।

একজন মুসলমান ব্যক্তি যদি রমজান মাসের পুরো ইবাদত পালন করতে চাই সেজন্য অবশ্যই রমজান মাসের বিশেষ ইবাদত তারাবির নামাজ আদায় করেন। তাই রমজানের চাঁদ দেখা গেলে রোজার আগেই তারাবিহ নামাজ আদায় করা রমজানের সুন্নাত। এমনকি যাঁরা শরিয়ত সম্মত কোনো গ্রহণযোগ্য ওজরের কারণে রোজা পালনে অক্ষম, তাঁরাও সুযোগ ও সামর্থ্য থাকলে তারাবিহ নামাজ পড়বেন।

আমাদের মধ্যে অনেক মুসলমান আমরা মনে করি রমজান মাসের রোজা পালন না করলে তারাবির নামাজ আদায় করা যায় না এ বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুল একটি ধারণা। রমজান মাসের রোজার সঙ্গে তারাবির নামাজের কোন সম্পর্ক নেই দুটো দুই রকম ইবাদত। মূলত আমরা সবাই একটি বিষয়ে জানি আর তা হলো রমজান মাস কোরআন নাজিলের মাস। তাই তারাবির নামাজের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য কোরআন তিলাওয়াত করা ও শোনা। এ নামাজে পূর্ণ কোরআন শরিফ একবার পাঠ করা সুন্নাত। একে খতম তারাবিহ বলা হয়।

ইসলাম ধর্মের নির্দেশ মোতাবেক এই নামাজের রাকাত নির্দিষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয় নি। কিন্তু খুব সহি ও কুরআনের আয়াত দ্বারা এ নামাজ আদায় করার কথা বলা হয়েছে। তারাবি নামাজ নারী-পুরুষ সবার জন্যই সুন্নাতে মুয়াক্কাদা, যা পরিত্যাগ করার কোন সুযোগ নেই। তবে কোন ব্যক্তি যদি তারাবির নামাজ না আদায় করে সে ক্ষেত্রে কোন গুনাহ নেই। কিন্তু অশেষ পরিমাণে সওয়াব রয়েছে। তাই আমাদের মধ্যে

অনেকেই আমরা তারাবির নামাজ ৮ রাকাতের দলিল সম্পর্কে জানতে চাই ইসলাম এমন একটি জীবন ব্যবস্থা যেখানে সব কিছুরই সমাধান আছে। তাই এসব নিয়ে ঝামেলায় না জড়িয়ে সহিহ দলিলের মাধ্যমে আমল করায় ভালো। মূলত তারাবির নামাজ টি রাতের নামাজ। তারাবির নামাজ মূলত অনেকেই ৮ রাকাত আবার অনেকেই ২০ রাকাত পড়ে থাকেন। রমজান মাসে অনেক মসজিদে মূলত আট রাকাত নামাজ আদায় হয়ে থাকে।

এই নামাজে মূলত রাকাত কত এটা কোন বিষয় নয় আপনি মহান আল্লাহ তালার উদ্দেশ্যে তারাবির নামাজ আদায় করছেন কিনা এটাই মূল একটি বিষয়। তাই তারাবির নামাজের আট রাকাতের সুস্পষ্ট কোন দলিল কোন হাদিস বা কুরআনে উল্লেখ নেই। এই নামাজের ক্ষেত্রে যে যত রাকাত নামাজ আদায় করতে পারবেন।

তারাবির নামাজ এমন একটি নামাজ যেটা একজন বান্দার জন্য গুনাহ মাফের জন্য অন্যতম একটি নামাজ। রাসূল সাঃ বলেন যে ব্যক্তি মহান আল্লাহতালার উদ্দেশ্যে রমজান মাসে সারা মাস জুড়ে তারাবির নামাজ আদায় করলেন তার অতীতের সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে এবং তিনি ছোট শিশুর মত পবিত্র হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে আপনাদের জন্য এই ইবাদতটা কত মূল্যবান একটি ইবাদত।

তবে আপনার ব্যক্তিগত মতামত অনুসারে আপনি যদি ৮ রাকাত তারাবির নামাজ আদায় করেন এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই। তারাবির নামাজ কয় রাকাত এই বিষয় টি মুখ্য কোন বিষয় নয় আপনি এই নামাজ টি যত সুন্দর ভাবে আদায় করতে পারবেন মহান আল্লাহতালা আপনার উপর ততটা বেশি খুশি হবেন এবং আপনার উপর সন্তুষ্ট হয়ে আপনাকে ক্ষমা করে দিবেন। তাই আমরা যখনই যেদিনই রমজান মাসের চাঁদ দেখবো সেদিন থেকে রমজানের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত তারাবির নামাজ শুরু করবো। আমাদের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ নামাজ।