বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলা রয়েছে এবং এই ৬৪ জেলার ভেতরে কোন জেলার ভাষা সবচাইতে শুদ্ধ সে বিষয়ে জানতে যারা এখানে ভিজিট করেছেন তাদেরকে অবশ্যই আমরা এটার প্রমাণসহ বিস্তারিত তথ্য প্রদান করব। সাধারণত প্রত্যেকটি জেলার নির্দিষ্ট আঞ্চলিক ভাষা রয়েছে অথবা এক জেলার পাশে আরেক জেলার আঞ্চলিক ভাষা গুলো কমবেশি একই রকমের হয়ে থাকে।
তবে আঞ্চলিক ভাষার চাইতে কথিত রূপ অথবা চলিত রূপের ভাষা সবচাইতে কোন জেলাতে বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে সে বিষয়ে যারা জানতে এখানে ভিজিট করেছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমরা অবশ্যই সঠিক তথ্য প্রদান করার চেষ্টা করব। তাহলে এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা বাংলাদেশের সবচাইতে শুদ্ধ ভাষা ব্যবহার করা হয় এমন জেলার তথ্য প্রদান করা হলো যাতে করে আপনারা এই তথ্য জেনে নিয়ে নিজেদের ভেতরে যে প্রশ্ন জেগেছে সেটার উত্তর পেয়ে যেতে পারেন। এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে আমরা নিচের দিকে তথ্যটি প্রদান করলাম।
সাধারণত এমন কিছু জেলা রয়েছে যে জেলাগুলোর ভাষা অন্য কোন জেলার মানুষ কোন ভাবে বুঝতে পারেন না। তবে আঞ্চলিকতা মানেই যে সংকীর্ণতা এ বিষয়টি আপনারা মনে করবেন না। কারণ প্রত্যেকেই নিজেদের মায়ের ভাষা দিয়ে বুলি শিখেছে। তাই মায়ের মুখের শেখা এই মাতৃভাষা আমরা সকলেই সম্মান করবো এবং মায়ের মুখের শেখা এই মাতৃভাষাতে আমরা কথা বলার চেষ্টা করব। তাই মাতৃভাষা আমাদেরকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে এবং আমরা এই মাতৃভাষা সম্পর্কে পৃথিবীর বুকে একমাত্র দেশ যে দেশের মানুষ ভাষার জন্য জীবন দিয়েছেন। তাইতো প্রতিবছরে ফেব্রুয়ারি মাসের ২১ তারিখ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়ে থাকে।
মাতৃভাষা দিবস পালনের পাশাপাশি প্রত্যেকটা ভাষার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে এবং নিজেদের মাতৃভাষা সঠিকভাবে আয়ত্ত করার পর বিদেশী ভাষার প্রতি আমাদের আগ্রহ থাকতে হবে। এমন অনেক ভাষা রয়েছে যে ভাষার প্রতি বিভিন্ন লেখক আগ্রহ প্রকাশ করে থাকলেও নিজস্ব মাতৃভাষার প্রতি যে মিষ্টতা এবং সুমধুরতা খুঁজে পেয়েছে তা অন্য কোন ভাষাতে পাওয়া যায়নি।
তাই মাতৃভাষা এক অনন্য জিনিস এবং এই ভাষাকে আমরা অবশ্যই সম্মান করবো। তাই নিজ নিজ মাতৃভাষা নিজেদের কাছে সমান হয়ে থাকলেও অথবা সম্মানের জায়গা হয়ে থাকলেও অনেক মানুষের কাছে তা হয়তো সর্বজন বিজিত নয়। তাই আপনারা হয়তো সঠিক ভাবে এমন কোন জেলার ভাষাকে নির্দিষ্ট করে জানতে চান যেটার মাধ্যমে আমরা চলিত ভাষা অথবা কথিত ভাষার রূপটি সঠিকভাবে আয়ত্ত করতে পারি।
সাধারণত প্রত্যেকটি জেলার আলাদা আলাদা ভাষা রয়েছে এবং বিভিন্ন কারণে এই ভাষার টোন ও ভাষার ব্যবহার বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়ে চলে গিয়েছে। তাই আপনার যদি কোন জেলার ভাষা বুঝতে সবচাইতে সহজ বলে মনে হয় তাহলে সেটাই হবে সবচাইতে শুদ্ধ ভাষা। বইয়ের ভাষার সঙ্গে মিল রয়েছে অথবা চলিত ভাষার সঙ্গে মিল রয়েছে এমন ভাষা যদি খুঁজে পেতে চান তাহলে দেখা যাবে যে প্রত্যেকটি জেলার ভেতরে নিজস্ব আঞ্চলিকতার কারণে এটা অনেক জেলার কাছে দুর্বোধ্য বলে মনে হয়। বিশেষ করে সিলেট এবং চট্টগ্রামের মানুষজন তাদের আঞ্চলিক ভাষা যদি ব্যবহার করে তাহলে অন্যান্য জেলার মানুষ সেটা অনেক সময় উপলব্ধি করতে পারে না।
তাই নিজস্ব মাতৃভাষাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন এবং ভাষার অপব্যবহার না করাই উচিত। তবে বাংলাদেশের ৬৪ জেলার ভেতরে যে জেলার ভাষার সবচাইতে শুদ্ধ সে সম্পর্কে জানতে যারা এখানে ভিজিট করেছেন তাদেরকে বলব যে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার কবি জীবনের বিশেষ সময় কুষ্টিয়ার শিলাইদহ তে কাটিয়েছেন। তাছাড়া সেখানকার ভাষা আমাদের কাছে খুবই জনপ্রিয় এবং মুক্তিযুদ্ধের সূচনা সেখান থেকে প্রথমে শুরু হয়। সকল দিক বিবেচনা করে এবং ভাষা ব্যবহারের দিক থেকে কুষ্টিয়া জেলার ভাষাকে বাংলাদেশের সবচাইতে শুদ্ধ ভাষা হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের শুদ্ধ ভাষার সবচাইতে ব্যবহার করা হয় কোন জেলা থেকে প্রশ্নের উত্তর যদি আপনাদের প্রদান করার কথা বলা হয় তাহলে কুষ্টিয়া জেলার নাম করবেন।
Leave a Reply