
তথ্য আহরণ থেকে শুরু করে আমরা যখন সেই তথ্য সংরক্ষণ করি এবং প্রক্রিয়াকরণ করি, সেই সাথে সেই তথ্য সকলের মাঝে বিতরণ করে সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়া এবং ব্যবস্থাপনাকে পরিচালনা করার জন্য যে প্রযুক্তি আমরা কাজে লাগিয়ে থাকি তাকেই তথ্যপ্রযুক্তি বা যোগাযোগ প্রযুক্তি বলা হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে আমরা পৃথিবীটাকে হাতের মুঠো নিয়ে আসতে পেরেছি। ঘরে বসে পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের খবরা-খবর আমরা এখন জানতে পারছি এবং যেকোনো স্থানের দৃশ্য আমরা চাইলেই দেখতে পাচ্ছি।
তাছাড়া পৃথিবীর অপর প্রান্তের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য আমরা শুধু একটি ফোন কলের মাধ্যমে অথবা একটি ইন্টারনেট কলিং এর মাধ্যমে তাকে পেয়ে যাচ্ছে এবং তার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলতে পারছি। আর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণের কারণে বিশ্বব্যাপী এখন মানুষের সঙ্গে যেমন মন যোগাযোগ বেড়ে চলেছে ঠিক সেরকমভাবে দেশের মানুষের ভেতরে অর্থ ইনকামের বিষয়গুলো তরনিত হচ্ছে এবং এই সুযোগগুলো বৃদ্ধি পাচ্ছেন। বিভিন্ন পরীক্ষায় আছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব ব্যাখ্যা সম্পর্কে। আপনি যখন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কি তা জানতে পারবেন তখন সেটির ব্যাখ্যা প্রদান করতে পারবেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে আমরা এটির গুরুত্ব এতটাই পেয়ে গিয়েছি যে আমাদের জীবন সহজ হয়ে উঠেছে এবং যেকোন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করা থেকে শুরু করে যেকোনো ধরনের লেনদেন অথবা যেকোনো ধরনের তথ্য আদান-প্রদান খুব সহজে করতে পারছি। কোন একটা নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের তথ্য অন্য একটি প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করার জন্য একজন মানুষের হাতে সেই খবরাখবর পাঠাতে হচ্ছে না। এক্ষেত্রে একজন মানুষ চাইলে ইমেইল করার মাধ্যমে অথবা অন্য কোন মাধ্যম ব্যবহার করে খবরা-খবর অথবা তথ্য প্রেরণ করার মাধ্যমে সেই অনুযায়ী সাথে সাথে কাজ করার যাবতীয় সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছে এবং সেই অনুযায়ী কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে বলে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।
তাছাড়া প্রযুক্তির কল্যাণে অল্প সময়ে অধিক পরিমাণ যে কোন জিনিস উদ্বোধন করা সম্ভব হচ্ছে বলে বৈশ্বিক চাহিদাগুলো পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির এই গুরুত্বগুলো আমরা যদি বুঝতে চাই তাহলে দৈনন্দিন জীবনের ব্যবহার্য বিষয়গুলো আমরা একটু লক্ষ্য করলে বুঝতে পারব। বিনোদন থেকে শুরু করে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলা এবং গুরুত্বপূর্ণ নোটস শেয়ার করার ক্ষেত্রে আমরা ইন্টারনেটে বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে থাকি এবং এর মাধ্যমে ব্যবহার করার ফলে আমরা যেকোনো দিনের ঘরে বসে পেয়ে যাচ্ছি।
তা ছাড়া পড়ালেখার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সাজেশন অথবা বিভিন্ন ধরনের পাঠ্য বহির্ভূত বিষয়গুলো আমরা জানতে পারছি এবং পাঠ্য অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানার জন্য ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন ভিডিও দেখে সেগুলো সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে পারছি।তাই সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে দেখা যাচ্ছে যে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত আমরা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করার মাধ্যমে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কাজগুলো শেষ করছি এবং এটির কল্যাণে আমাদের জীবন যেমন দ্রুতগতির হয়ে উঠেছে তেমন আমাদের জীবনের বিভিন্ন মানুষের সম্পর্ক গুলো খুব সহজেই নিবিড় হয়ে উঠছে।
Leave a Reply