আমরা সকলে অবগত আছি যে শিশু বয়সে ভিটামিন এ এর অভাবে অনেক শিশু পোলিও রোগে আক্রান্ত হতে পারে এবং দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বৃদ্ধিতে তারা পিছিয়ে থাকতে পারে। তাইতো বিশ্বব্যাপী পোলিও রোগ থেকে শিশুদের মুক্তি করতে ভিটামিন এ ক্যাপসুল নিয়মিত খাওয়ানো হয়। তবে যারা ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানেন না এবং ভিটামিন এ ক্যাপসুল কখন শিশুকে খাওয়াতে হয় সে সম্পর্কে জানেন না তাদের উদ্দেশ্যে মূলত আজকের এই আর্টিকেল।
আপনারা যারা ভিটামিন এ ক্যাপসুল সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন এবং ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর বিভিন্ন উপকারিতা ও এই ঔষধ খাওয়ার নিয়মটি জানতে চাচ্ছেন সেই সম্পর্কে জানাবো। আমরা সকলে অবগত আছি যে ভিটামিন এ ক্যাপসুলে সাধারণত ভিটামিন এ রয়েছে যে ভিটামিন এ আমরা আলাদাভাবে খাবার থেকে সংগ্রহ করতে অনেক বেশি খাবার খেতে হবে। শিশুদের বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে মূলত সেই ভিটামিন এ শিশুদের খাওয়ানো হয়ে থাকে।
শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল দিতে হয় কতবার
সাধারণত অনেকেই জানতে চেয়েছেন একটি শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল কতবার খাওয়াতে হয়। আমার যদি ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়মটি ভালোভাবে ফলো করে তাহলে শিশুদের বছরের দুবার ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়ে থাকে। তাই এখান থেকে আমরা উত্তর পেয়েছি একটি বছরে একজন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল কতবার খাওয়াতে হবে এবং সেই উত্তরটি হচ্ছে একটি শিশুকে বছরে ভিটামিন এ ক্যাপসুল দুইবার খাওয়ানো হয়ে থাকে।
এক্ষেত্রে অবশ্যই এক বছর এর কম বয়সী শিশুদের নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়ে থাকে। আর যে সকল শিশুদের বয়স এক থেকে পাঁচ বছরের বেশি তাদের ক্ষেত্রে লাল রঙের ক্যাপসুল দেওয়া হয়। যে ধরনের শিশুদের বয়স ছয় মাসের বেশি তাদের কোন ধরনের ভিটামিন এ ক্যাপসুল দেওয়া হয় না তার কারণ হলো এই সময়ে তার মায়ের বুকের দুধে এই ধরনের উপাদান রয়েছে যেটা একজন শিশুর জন্য যথেষ্ট।
শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর নিয়ম
শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো নিয়ম সম্পর্কে অবশ্যই আমাদের জ্ঞান রাখতে হবে তার কারণ হলো আমরা ছোটবেলায় এই ভিটামিন এ ক্যাপসুলগুলো খেয়েছি বলে আমরা সুস্থ ভাবে বেড়ে উঠতে পেরেছি। শিশুদের সুস্থভাবে বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে হলে অবশ্যই সময়মতো শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। এটা অনেক কষ্টের কাজ না তার কারণ হলো সরকারিভাবে আপনাদের বাড়ির আশেপাশেই প্রতিবছর দুইটি করে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ক্যাম্পেন অনুষ্ঠিত হয়।
আপনাকে শুধু কষ্ট করে নিজের শিশুকে সেই ক্যাম্পে নিয়ে যেতে হবে এবং সেখান থেকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাইয়ে নিয়ে আসতে হবে। শিশুদের জন্য ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার অবশ্যই কিছু নিয়ম রয়েছে এবং সেই নিয়মগুলো জানা থাকলে আপনার কাছে এটা আরো বেশি সহজ হয়ে যাবে।
সাধারণত ছয় মাসের নিচে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয় না এরপর থেকে অর্থাৎ ছয় মাস থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয় বছরে দুইবার। এই বয়সের শিশুদের জন্য নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয় এবং এটাতে তাদের শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী ভিটামিন এ ক্যাপসুল দেওয়া আছে। ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস পর্যন্ত বয়সী শিশুদের লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হয় তবে এক্ষেত্রে এর বেশি বয়স্ক শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর প্রয়োজনীয়তা নেই।
তবে যারা এই ভিটামিন এ ক্যাপসুল আলাদা ভাবে কিনতে পারবেন তাদের ক্ষেত্রে এটা যে কোন বয়সে খাওয়া যেতে পারে। তবে ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী এই ধরনের শিশুদের অবশ্যই প্রতিবছর অন্তত দুইটি করে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। আশা করছি আপনারা ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো নিয়ে যথেষ্ট তথ্য আমাদের এখান থেকে জানতে পারলেন।
Leave a Reply