যদি এমন একটি ভিটামিনের কথা বলা হয় যে ভিটামিন আমাদের শরীরে প্রায় প্রত্যেকটি অঙ্গে কার্যকরী হিসেবে অবদান রাখে তার মধ্যে “ভিটামিন ই”কে কোন ভাবে বাদ দেওয়া যায় না। এই ভিটামিন যতটা আমাদের ত্বকের ওপর কার্যকরী ততটাই আমাদের শরীরের ভেতরেও কার্যকরী। আজকে আমরা এই “ভিটামিন ই”কে খুব ভালোভাবে জানার চেষ্টা করবে এবং এই “ভিটামিন ই”মানব শরীরে কি কি উপকার করতে পারে তার বিস্তারিত তথ্য জানবো।
আর সব থেকে বড় ব্যাপার হলো এত প্রয়োজনীয় “ভিটামিন ই”আপনি অত্যন্ত সুলভ মূল্যে বাজারে পাবেন যার জন্য আপনাকে খুব বেশি টাকা খরচ করতে হবে না। তাই আমাদের এই আর্টিকেল পড়ুন এবং এখান থেকে জানুন “ভিটামিন ই”আমাদের শরীরে কোন কোন উপকারে কর করে।
ত্বকের যত্নে ভিটামিন ই
সবার প্রথমে যে কথাটি না বললেই নয় সেটি হচ্ছে ত্বকের যত্নে “ভিটামিন ই”কতটা কার্যকরী। সাধারণত মানব শরীরের যে চামড়া রয়েছে যেটাকে আমরা ত্বক বলি সেই ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি এবং ত্বকের মসৃণতা ধরে রাখতে এবং উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে “ভিটামিন ই”এর বিকল্প নেই। সহজ কথায় বলতে গেলে অকাল বার্ধক্য ঠেকাতে “ভিটামিন ই”ক্যাপসুল বেশ কার্যকরী এবং এই “ভিটামিন ই”ক্যাপসুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের বলিরেখা দূর করতে ও রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে।
আমরা যারা নিয়মিত “ভিটামিন ই”ক্যাপসুল খায় এবং ত্বকে ই ক্যাপসুল মাখি তাদের অবশ্যই ত্বক অনেক মসৃণ হবে এবং অনেক সফট হবে এবং তাওয়াফের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। যারা সাধারণত রোদ্র যে বেশি থাকে এবং প্রতিদিন রান্নাবান্নার কাজে ব্যস্ত থাকি তাদের অবশ্যই “ভিটামিন ই”ক্রিম নিয়মিত ব্যবহার করা উচিত এবং “ভিটামিন ই” ক্যাপসুল নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া উচিত।
চুলের যত্নে ভিটামিন ই
যাদের চুলের সমস্যা আছে তাদের চিন্তার শেষ নেই তার কারণ হলো সৌন্দর্যের প্রধান প্রতীক হচ্ছে চুল। এমন অভাগা অনেকেই আছেন যাদের অল্পতে চুল পড়া শুরু হয়ে যায় এবং চুল পড়তে পড়তে মাথার চুল একেবারে ফাঁকা হয়ে যায়। পরিবেশগত কারণে বাংলাদেশের যাদের মাথার চুল একটু কম তারা বাইরে বের হতে লজ্জা পান এবং মাথা খোলা রাখতে লজ্জা পান। যদিও বহির্বিশ্বে যাদের মাথার চুল কম তারা এই চুল কম নিয়ে বহু স্টাইল করে থাকে এবং অনেক সম্মান পেয়ে থাকে।
তবে যারা মাথার চুল ধরে রাখতে চাচ্ছেন এবং বুঝতে পারছেন যে “ভিটামিন ই”সল্পতার কারণে মাথার চুলে সমস্যা হচ্ছে তারা “ভিটামিন ই”ক্যাপসুল খেতে পারেন এবং মাথাতে “ভিটামিন ই” ক্যাপসুলের তেল ব্যবহার করতে পারেন। মাথার চুল লম্বা করতে ও ত্বকের যত্ন নিতে অবশ্যই “ভিটামিন ই” ক্যাপসুল নিয়মিত চুলে ব্যবহার করুন এবং অন্তত সপ্তাহে দুই তিন বার মাথায় “ভিটামিন ই”ক্যাপসুল দিন। এতে অবশ্যই আপনার চুল বৃদ্ধি পাবে এবং চুল ঘন হবে এবং চুলের গোড়া মজবুত হবে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল অতিমাত্রায় ক্ষতিকর
অবশ্যই আমরা “ভিটামিন ই” ক্যাপসুল এর উপকার গুলো জানলাম কিন্তু এখন জানব অতিরিক্ত “ভিটামিন ই”ক্যাপসুল সেবনে কোন কোন ক্ষতি হতে পারে। অতিরিক্ত দুর্বলতা থেকে ক্ষুধা মন্দা ও অন্যান্য সমস্যাগুলো সৃষ্টি হতে পারে যদি “ভিটামিন ই”আপনার শরীরে বেশি থাকে। এছাড়াও আপনার চামড়া ফ্যাসকা হয়ে যেতে পারে “ভিটামিন ই”বেশি ব্যবহারের ফলে তাই সবসময় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পরিমিত “ভিটামিন ই”খান এবং ব্যবহার করুন।
তবে এই বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার সব থেকে ভালো উপায় হচ্ছে প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় “ভিটামিন ই”যুক্ত খাবার রাখুন যেটা আমরা আমাদের এই আর্টিকেলে আপনাদের জানিয়েছি। আশা করা যায় এই খাবারগুলো থেকে “ভিটামিন ই”আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুদ থাকবে এবং আপনি সুস্থ থাকবেন।
Leave a Reply