বর্তমান সময়ে ভিপিএন শব্দটি সকলের কাছে পরিচিত হয়ে থাকলেও এটার প্রকৃত মানে কিনা অনেকেই জানেন না বলে এখানে আমরা আলোচনা করতে চলেছি। এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা যখন vpn সম্পর্কে সঠিক ধারণা অর্জন করতে পারবেন তখন এটা সঠিক ব্যবহার যেমন করতে পারবেন তেমনি ভাবে এটা কোন অর্থে ব্যবহার করা হচ্ছে সেটাও জেনে নিতে পারবেন।
আমরা আপনাদের সুবিধার্থে অনেক বিষয় সম্পর্কে এখানে আলোচনা করে থাকছি বলে আপনারা তা বুঝতে পারছেন। এই আলোচনার ভিত্তিতে আপনারা খুব সহজেই vpn শব্দটির অর্থ জেনে নিয়ে সেটা ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করতে পারলে সেটা আপনাদের জন্য অনেক ভালো হবে। ভিপিএন শব্দটির অর্থ এখানে আমরা জানিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি আপনারা ব্যবহার উপযোগিতা সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে পারলে কিভাবে ব্যবহার করতে পারবেন এবং ব্যবহার করার মাধ্যমে কি কি উপকারিতা পাবেন তা জেনে নিবেন।
আমরা বিভিন্ন কাজের জন্য যখন বিভিন্ন ওয়েবসাইট ভিজিট করে থাকি তখন সেই সকল ওয়েবসাইটে ঢোকার পারমিশন আমাদেরকে প্রদান করা হয় না। যেহেতু ভিপিএন একটা ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক এবং এটার মাধ্যমে আপনারা বিভিন্ন দেশের নেটওয়ার্ক প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড
করে নিতে পারবেন সেহেতু সেই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করার ভিত্তিতে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে আপনাদেরকে অনুমতি প্রদান করা হবে। যেহেতু বাংলাদেশের অনেক ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার অনুমতি প্রদান করা হয় না তবে বাংলাদেশের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি অনেক ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন না সেহেতু আপনাদের কাজের ক্ষেত্রে এটা ব্যাঘাত ঘটে হলে অনেকেই ভিপিএন ব্যবহার করে থাকেন।
তাছাড়া দেশের ভেতরে যদি অস্থিতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয় এবং কোনো কারণে যদি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় অথবা এটাতে প্রবেশ করতে না দেওয়া হয় তাহলে অনেক সময় অনেকেই ভিপিএন ব্যবহার করার মাধ্যমে অন্য দেশের নেটওয়ার্ক স্থাপন করার ভিত্তিতে এটা ব্যবহার করতে পারেন।
তাই ভিপিএন হল একটা ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক। এই প্রাইভেট ভার্চুয়াল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আপনি বিভিন্নভাবে কম্পিউটারের ডাটা আদান প্রদান করতে পারবেন এবং এটা এক ধরনের কাল্পনিক প্রাইভেট নেটওয়ার্কের ভিত্তিতে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে বিভিন্ন দেশের মাধ্যমে ব্যবহার করে আমরা তা খুব সহজেই ব্যবহার উপযোগী করে তুলতে পারি।
তাই ভিপিএন ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আপনারা প্লেস্টোর থেকে অথবা বিভিন্ন সাইট থেকে বিশ্বস্ত এপ্স ডাউনলোড করে নিতে পারেন। নির্দিষ্ট দেশের কান্ট্রি সিলেক্ট করার ভিত্তিতে আপনারা এখানে কানেক্ট করতে পারবেন এবং খুব সহজেই যে সকল ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ থেকে ভিজিট করতে দেয়া হচ্ছে না সেগুলো ভিপিএন এর মাধ্যমে আপনাকে ভিজিট করতে দেয়া হবে।
কারণ আপনি দেশের ভেতরে বসে থাকলেও আপনার নেটওয়ার্ক পরিচালিত হচ্ছে আমেরিকা থেকে অথবা অন্য কোন দেশ থেকে। অর্থাৎ ঘরে বসে আপনি যখন কোন প্রাইভেট নেটওয়ার্ক অথবা বিভিন্ন দেশের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে অন্যান্য ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারবেন তখন সেটা আপনার জন্য ভালো হবে। আশা করছি যে ভিপিএন সংক্রান্ত ধারণা আপনাদের ভিতরে চলে এসেছে এবং এটা ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই যেকোন সাইট অথবা যে কোন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করতে পারবেন।
Leave a Reply