সাধারণত ছেলেদের মুখে যদি লোম দেখা যায় তাহলে পরবর্তীতে তা ঘন হবে এবং আস্তে আস্তে দাড়িতে রূপান্তরিত হবে। কিন্তু মেয়েদের মুখে যদি এই ধরনের লোম দেখা যায় তাহলে তা অবাঞ্চিত বলে মনে হয় এবং এই লোম তাদের কাছে অনেকটাই বিরক্তিকর কারণ হয়। বিশেষ করে অনেক মানুষের মধ্যে যখন এই ধরনের প্রশ্ন তোলে যে আপনার মুখে এ ধরনের লোম কেন তখন আপনারা অনেকে হয়তো বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যান।
তাই ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনারা যদি অবাঞ্ছিত লোম দূর করার উপায় জানতে এখানে ভিজিট করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমরা আপনাদেরকে বিষয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে পারি। এই পোষ্টের মাধ্যমে ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে অবাঞ্ছিত লোম দূর করা যায় সে বিষয়ে জানিয়ে দিতে পারলে আপনারা খুব কম খরচে অথবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এটা করে নিতে পারবেন এবং আশা করি সুফল পাবেন।
অনেকে দেখা যায় যে এ ধরনের লোম রিমুভ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ফেসিয়াল করে থাকেন অথবা বিউটি পার্লারে গিয়ে অনেক অনেক টাকা খরচ করে থাকেন। তবে এক্ষেত্রে অনেক কিছু করার পরও যদি আপনার এই সমস্যার সমাধান না আসে তাহলে আপনাকে একজন চর্ম বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। তাছাড়া হরমোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা আপনাদেরকে বিষয়ে সঠিক তথ্য প্রদান করতে পারবেন। কিন্তু সেই সমস্যাগুলো যদি সামান্য পরিমাণে হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনারা সঠিক ভাবে ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করবেন এবং সবচাইতে কম খরচে কার্যকরী উপায়ে আপনাদের এই লোমগুলো রিমুভ হয়ে যাবে।
প্রথমত আমরা বাড়িতে আসে পাশে খুব সহজেই হলুদ ম্যানেজ করতে পারি। প্রাচীনকাল থেকেই হলুদের ব্যবহার হয়ে আসছে এবং হলুদের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক গুনসম্পন্ন হওয়ার কারণে আমরা বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা অর্জন করতে পারি। তাই হলুদকে আপনারা অল্প কিছু বানিয়ে মিশিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে খুব সহজে পেস্ট করে নিবেন এবং এই পেস্ট যেন ঘন হয় তা দেখে নিতে হবে।
তারপরে আপনার মুখের যে সকল অংশে লোম হচ্ছে সে সকল জায়গাতে এই হলুদের পেস্ট মাখিয়ে নিতে হবে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলে দেখা যাবে যে সেগুলোতে টান আসছে অর্থাৎ শুকিয়ে আসছে। এটা পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে আপনারা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন এবং আস্তে আস্তে এটা এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যবহার করলেই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন বলে আশা করছি।
আমরা যারা বিভিন্ন ধরনের ফেসিয়াল করে থাকি সেই সকল ফেসিয়াল এ বেসন নামক একটা ডালের গুড়া ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে আপনি যদি সরাসরি বেসন ব্যবহার করার মাধ্যমে এটা রিমুভ করতে চান তাহলে রিমুভ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনারা হলুদ এবং বেসন মিলিয়ে একটা ঘন পেস্ট করতে পারেন। ঘন পেস্ট করার পর সেটা মুখের যে সকল অংশে হয়েছে সে সকল অংশে মাখিয়ে নিলেই দেখা যাবে যে অল্প কিছুক্ষণের ভেতরে তা শুকিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে আপনারা মোটা তোয়ালে ব্যবহার করতে পারেন এবং তোয়ালে ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব সহজেই যখন সেই মাখানো অংশ থেকে টান দিবেন তখন পেস্ট উঠে আসার সাথে সাথে লোম রিমুভ হয়ে যাবে।
কেউ যদি ডিম ব্যবহার করে এটা রিমুভ করতে চান তাহলে ডিমের সঙ্গে আরও অন্যান্য নির্যাস ব্যবহার করতে হবে। বিশেষ করে এর সঙ্গে এক চামচ চিনি ব্যবহার করতে হবে এবং এক চামচ কর্নফ্লাওয়ার ব্যবহার করতে হবে। এগুলো মিলিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করবেন এবং ডিমের অবশ্যই সাদা অংশ ব্যবহার করবেন। তারপরে এই পেজ আপনারা মুখমন্ডলে মেখে নিলে একই নিয়ম অনুসরণ করে পেস্ট ধুয়ে ফেলার সাথে সাথে সেটা লোমের গোড়া থেকে লোম তুলতে সাহায্য করবে। আমরা মনে করি যে এই পোষ্টের মাধ্যমে মুখের অবাঞ্ছিত লোম প্রাকৃতিক উপায়ে তুলে ফেলার সহজ পদ্ধতি আপনাদেরকে শিখিয়ে দিতে পেরেছি।
Leave a Reply