প্রকৃতপক্ষে আমরা বন্ধু মানে কি তা সকলেই জানি। কিন্তু আপনি যখন বন্ধুর প্রামাণ্য সংজ্ঞা পেতে চাইবেন অথবা বন্ধুত্ব মানে কেমন ধরনের সম্পর্ক হতে পারে তা জানতে চাইবেন তখন অবশ্যই আমরা আপনাদেরকে সেই তথ্য দিয়ে সাহায্য করবো। তাই এই পোষ্টের মাধ্যমে বন্ধু মানে কি সে প্রসঙ্গে বিস্তারিত জেনে নিতে পারলে আপনারা হয়তো নিজেদের
বন্ধুত্বের সম্পর্ককে আরও মধুর করে তুলতে পারবেন এবং একে অন্যকে আরো গভীরভাবে ভালবাসতে পারবেন। প্রকৃতপক্ষে বন্ধুত্বের সম্পর্কটা এমন একটা সম্পর্ক যেখানে কোন ধরনের ফর্মালিটি নেই এবং এটা অটোমেটিক্যালি তৈরি হয়ে যায়। তারপরও আপনাদের যাদের বন্ধুত্বের সংজ্ঞা জানার বিশেষ আগ্রহ রয়েছে অথবা বন্ধুত্ব কেমন হতে পারলে সবচাইতে বেশিদিন টিকে তাদের উদ্দেশ্যে এই পোস্ট করা হলো।
পৃথিবীর বিভিন্ন সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের বিষয় জড়িত থাকে। যেমন আপনার পিতা-মাতা বিয়ে না হলে আপনি হতেন না তুমি হবে প্রত্যেকটা সম্পর্কের সঙ্গে প্রত্যেকটা সম্পর্কের সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু আপনি যখন বন্ধুত্বের সম্পর্কের কথা বলবেন তখন এটা এমন একটা সম্পর্ক যেটা আপনার আশেপাশের পরিবেশ থেকে গড়ে উঠতে পারে অথবা আপনার
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার পর থেকে গড়ে উঠতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন জায়গা থেকে গড়ে ওঠে অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমবয়সীদের সংস্পর্শে এসে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে বলে সেই সম্পর্ক অনেক দিন পর্যন্ত চলতে থাকে। কিছু কিছু বন্ধুত্বের সম্পর্ক মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চলতে থাকে বলে এটা একটা অটুট সম্পর্ক এবং এই সম্পর্কের মহত্ব অনেক বেশি।
সাধারণত আমরা যখন বড় হয়ে উঠি তখন আমাদের আশেপাশে পিতা-মাতা থেকে শুরু করে পরিবার-পরিজনের অনেকেই আমাদের বড় হওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। তাই পরিবারের প্রত্যেকটা সদস্য আমরা যাতে কোনভাবে নষ্ট না হয়ে যাই অথবা আমরা সঠিক পথে নিজেদের জীবনকে পরিচালনা করতে পারি তার জন্য
আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকে অথবা আমাদেরকে পরিচালনা করেন। তাই পরিবার সম্পর্কে অনেকেরই ভয় থাকে এবং অনেক কথা আমরা পরিবারের কাছে মন খুলে বলতে পারি না। কিন্তু বন্ধুত্বের সম্পর্ক এমন একটা সম্পর্ক যেখানে কিছু সমবয়সী মানুষ অথবা বয়সের দিক থেকে কিছুটা কম বয়সী মানুষ একত্রিত হয় এবং তাদের কাছে মন খুলে যে কোন ধরনের কথা বলতে পারে।
তাই বন্ধুত্বের সম্পর্ক সব সময় অটুট থাকবে এবং বন্ধুত্বের সম্পর্কের কখনোই ফাটল আসবেনা। জীবনের সবচাইতে ভালো মুহূর্ত গুলো যেমন আপনারা বন্ধুদের সঙ্গে উপভোগ করতে পারবেন তেমনি ভাবে খারাপ মুহূর্তের সময় বন্ধুরা যদি পাশে এসে দাঁড়ায় তাহলে অনেক ভালো লাগবে। যে সকল ঘটনা পরিবারের সামনে উপস্থাপন করা যায় না অথবা যে সকল বিষয়ে
পরিবারের থেকে সাপোর্ট পাওয়া যায় না সে সকল বিষয়ে বন্ধুরা আমাদেরকে সাপোর্ট প্রদান করে থাকে। তাই বন্ধুত্বের সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণে আপনারা যদি সেই সম্পর্ককে সম্মান প্রদর্শন করতে পারেন অথবা সেই সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোন ধরনের ঘাটতে যেন না থাকে সে বিষয়গুলো আপনাদেরকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
অর্থাৎ জীবনে চলার পথে যাদের সঙ্গে আমাদের মতের মিল পড়ে এবং জীবনের চলার পথে যাদের সঙ্গে আমরা আমাদের জীবনের অধিকাংশ সময় কাটিয়ে দিই ও আমাদের মতামত গুলো শেয়ার করতে পারি তারাই হলো বন্ধু। বিপদে-আপদে যারা পাশে এসে দাঁড়ায় এবং সুখ-দুঃখের সময় সমান ভাবে ভাগিদার হয়ে দাঁড়ায় তারাই আমাদের বন্ধু এবং এই সম্পর্ককেই
বলা হয় বন্ধুত্ব। তাই বন্ধুত্বের সম্পর্ককে সম্মান করতে হবে এবং সকল দিক থেকে আমরা যদি বন্ধুত্বের সম্পর্ককে সম্মান করতে পারি এবং বন্ধুত্বের সম্পর্ককে মেনে চলতে পারি তাহলে জীবনের প্রত্যেকটা মুহূর্তে আমরা একে অন্যকে পাশে পাবো। বন্ধু ছাড়া জীবন ইম্পসিবল হওয়ার কারণে আমরা অবশ্যই বন্ধুত্বের বিশ্বাসী হব এবং এই ক্ষেত্রে আমরা একে অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হব।
Leave a Reply