দৈনন্দিন জীবনে চলাফেরা করার ক্ষেত্রে আমরা অনেক কিছুর অর্থ জেনে থাকলেও অনেক অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলো আমাদের সামনে উপস্থাপিত হয়ে থাকলে আমরা না জানার কারণে লজ্জায় পড়ে যাই। তবে ইন্টারনেটের কল্যাণে আমরা যদি কোন কিছুর অর্থ জানার চেষ্টা করি অথবা গুগলে এসে সার্চ করি তাহলে যুক্তিসম্মত প্রশ্নের ক্ষেত্রে অবশ্যই আমরা সেগুলো খুজে পেতে পারবো।
আর সেই জন্য আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার মাধ্যমে বিভিন্ন শব্দের অর্থ অথবা বিভিন্ন বিষয় ব্যাখ্যা সহকারে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন বলে অনেক উপকৃত হতে পারছেন। তাই এই পোস্ট যারা ইতিমধ্যে ভিজিট করেছেন এবং নো ফ্লাই জোন মানে জেনে নিতে এসেছেন তাদের উদ্দেশ্যে অবশ্যই আমরা এ বিষয়গুলো জানিয়ে দেব। এখান থেকে আপনারা এই শব্দটির অর্থ ব্যাখ্যা সহকারে জেনে নিতে পারলে আপনাদের জন্য বুঝতে অনেক সুবিধা হবে এবং আপনারা হয়তো অনেক ক্ষেত্রে এই শব্দটি ব্যবহার করতে পারবেন।
যখন আপনি নো ফ্লাই জোন শব্দটি শুনে থাকবেন তখন আপনার মনে আসতে পারে এটা কেন ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে অনেক সময় আমরা নিজেদের জীবনকে সহজ ভাবে পরিচালনা করার জন্য যেমন অনেক অর্থ জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি তেমনি ভাবে পাঠ্য বইয়ের সঙ্গে মিল রেখে অনেক বিষয়ে আমাদের কনফিউশন সৃষ্টি করে বলে সেগুলোর অর্থ সহকারে ব্যাখ্যা জানার চেষ্টা করি। আর এই ক্ষেত্রে আপনার সামনে যদি নো ফ্লাই জন শব্দটি চলে আসে তাহলে আপনারা হয়তো জানতে চেষ্টা করবেন যে এটা কেন এসেছে অথবা কি ক্ষেত্রে এই শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
এখন আমরা আপনাদের এ বিষয় সম্পর্কে সহজ ভাবে বুঝিয়ে দিতে চাই তাহলে অবশ্যই আপনাদের বুঝতে খুব বেশি বেগ পেতে হবে না। আপনি যখন নো ফ্লাই জোন এই শব্দটির অর্থ জানতে চাইবেন তখন আপনাদেরকে অবশ্যই যুদ্ধ সংক্রান্ত বিষয়গুলো মাথায় রেখে এবং চিন্তা করে এটা বোঝার চেষ্টা করতে হবে। সাধারণত কোন নির্দিষ্ট এলাকার ওপর দিয়ে যখন কোন বিমান অথবা সামরিক বিমান উড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা থাকে তখন সেটাই নো ফ্লাই জোন হয়ে থাকে। অর্থাৎ কোন একটা দেশ অথবা কোন নির্দিষ্ট অঞ্চল যখন এই ধরনের ঘোষণা প্রদান করে তখন তার ওপর দিয়ে কোন ধরনের বিমান অথবা সামরিক বিমান চলাচল করতে পারবে না।
এই নিষেধাজ্ঞার পরেও যদি চলাচল করে তাহলে সেটা মিসাইল মারার মাধ্যমে উড়িয়ে দেওয়া হবে অথবা যে বিমান চলবে তা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই যখন নো ফ্লাই জোন শব্দটি আসবে তখন আপনাদের কাছে এই বিষয়গুলো ক্লিয়ার হয়ে যাবে এবং এই ক্ষেত্রে উড়ে যাওয়া তো দূরের কথা নির্দিষ্ট কোন এয়ারপোর্টে এটা ল্যান্ড করতে পারবে না। অর্থাৎ নির্দিষ্ট এলাকা ও নির্দিষ্ট অঞ্চলের মধ্যে যখন বিমান ও সামরিক বিমান চলাচল করা একেবারে নিষিদ্ধ অথবা উড়ে যাওয়া নিষিদ্ধ তখন সেটাকে নো ফ্লাই জোন হিসেবে আমরা ভেবে থাকবো।
আমরা মনে করি যে উপরের আলোচনার ভিত্তিতে আপনাদের কাছে এই শব্দগুচ্ছের পুরোপুরি অর্থ জেনে নেওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের মধ্যে যখন যুদ্ধ সংঘটিত হয় এবং সীমানা থেকে শুরু করে অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভর করে এই যুদ্ধ যখন দিনের পর দিন চলমান থাকে তখন অনেক দেশ অথবা অনেক অঞ্চল নিজেদের সুবিধার্থে নো ফ্লাই জন ঘোষণা করে থাকে।
যাতে করে তাদের দেশের উপর দিয়ে কোন কিছু উড়ে না যায় এবং সেটা যদি যায় তাহলে তারা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তাছাড়া সাধারণ জনগণের নিরাপত্তার জন্য এই ধরনের ঘোষণা করা হয় এবং এ বিষয়গুলো পরবর্তীতে জাতিসংঘে উপস্থাপনের মাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে দেওয়া হলে অন্যান্য রাষ্ট্রগুলো এ বিষয়ে সতর্ক ভূমিকা পালন করে। আপনাদের যদি এ প্রসঙ্গে আর কিছু জানার থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে প্রশ্ন করলে অবশ্যই আপনাদের সেই উত্তর দিয়ে দেওয়া হবে।
Leave a Reply