খেজুর আমাদের অনেক পছন্দের একটি খাবার। খেজুর যেমন খেতে অনেক সুস্বাদু হয় ঠিক তেমনই খেজুর খাওয়া সুন্নত। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পছন্দের খাবার ছিল খেজুর। নিয়মিত খেজুর খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি। নানা পুষ্টি গুনে সমৃদ্ধ এ ফল হার শক্তসহ শরীরের নানা কাজে লাগে। রমজান মাসে ইফতার ছাড়াও মুখরোচক বলববর্ধক খাবার হিসেবে খাওয়া হয় খেজুর।
খেজুরে থাকা ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও কাজ করে থাকে খুবই ভালো। খেজুরে উপস্থিত পটাশিয়াম অতিরিক্ত রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে থাকে। অনেক হাই ব্লাড প্রেসারে কি খাবেন বুঝে উঠতে পারেন না এই সমস্যায় নির্ভাবনায় খেজুর খান। খেজুরে আছে ফাইবার। যা আপনার হৃদযন্ত্রকে শক্তিশালী করে এবং ভালো রাখে। এছাড়াও খেজুরে যে পটাশিয়াম রয়েছে যা হার্ট এটাকের ঝুঁকি অনেকাংশে এড়াতে পারে। তাই যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তাদের সুস্থ রাখতে প্রতিদিন খেজুর খাওয়া প্রয়োজন।
আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন খেজুর বেশি খেলে কি হয়। চলুন আমরা আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে খেজুর বেশি খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্যগুলো।
নিয়মিত খেজুর খাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতা
স্নায়ু সতেজ রাখে: খেজুরে স্নায়ুতন্ত্র সুস্থ রাখার জন্য সমস্ত ভিটামিন গুলো এর মধ্যে পরিপূর্ণ রয়েছে। তাই আপনারা যদি নিয়মিত খেজুর খান তাহলে আপনার স্নায়ুতন্ত্র স্বাভাবিকভাবেই সুস্থ থাকবে। এ ভিটামিন গুলি স্নায়ুতন্ত্রকে আরো উন্নত করে তোলে। শুধু তাই নয় এতে উপস্থিত পটাশিয়াম মস্তিষ্ককে ধারালো রাখে এবং স্নায়ুতন্ত্রের উন্নতির জন্য বিশেষভাবে কাজ করে থাকে।
বাতের ব্যথা দূর করে: আপনারা যারা দীর্ঘদিন বাতের ব্যথায় ভুগছেন তাদের জন্য খেজুর খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। খেজুরে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। ম্যাগনেসিয়াম আন্টি-ইনফ্লামেন্টরি রয়েছে যা হৃদরোগ নিওপ্লাজিয়া এবং আলজাইমার্স জাতীয় রোগ রক্তের সাহায্য করে থাকে। তাই আমাদের নিয়মিত খেজুর খাওয়া অত্যন্তই প্রয়োজন।
হার্ট অ্যাটাক রোধ করে: আপনারা যারা দীর্ঘদিন হাট এর সমস্যায় ভুগছেন তাদের নিয়মিত খেজুর খাওয়া প্রয়োজন। আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন এর একটি গবেষণা অনুসারে কোন ব্যক্তি একদিনে 100 মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণ করলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি নয় পার্সেন্ট কমে যায়। তাই যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তাদের খেজুর খাওয়া প্রয়োজন।
গর্ভবতীদের জন্য উপকারী খেজুর:
গর্ভবতী মায়েদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী একটি ফল হচ্ছে খেজুর। একটি গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিন নিয়মিতভাবে খেজুর খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। আইরন সমৃদ্ধ খেজুর মা এবং বাচ্চা উভয়ের জন্য খুব দরকারি। খেজুরে উপস্থিত পুষ্টিকর উপাদান জরায়ুর পেশী শক্তিশালী করতেও কাজ করে ভালোই। এছাড়াও মায়ের দুধে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে থাকে এই খেজুর। একটি গর্ভবতী মায়ের সন্তান প্রসবের পরে রক্তক্ষরণের সময় শরীরের রক্তের অভাব মেটায় খেজুর। তাই গর্ভবতী মায়েদের জন্য অবশ্যই নিয়মিত খেজুর খেতে হবে।
রক্তস্বল্পতা দূর করে: লোহিত রক্তকণিকা এবং আয়রনের ঘাটতির কারণে অনেকে রক্তস্বল্পতায় ভোগে থাকেন তাদের জন্য খুবই উপকারী খাবার হলো খেজুর।
খেজুর বেশি খেলে কি হয়
খেজুরের নানা রকমের উপকারিতা থাকলেও সকাল বিকাল খেজুর খাওয়া উচিত নয়। অতিরিক্ত যে কোন খাবারে বিপদের কারণ হতে পারে তাই দিনে চার থেকে পাঁচটি খেজুর খেতে হবে এতে স্বাস্থ্য উপকারিতা মিলবে। চার থেকে পাঁচটি বা ১০০ গ্রাম খেজুরেই মিলবে প্রায় ২৭৭ ক্যালরি। প্রচন্ড মিষ্টি হওয়ার কারণে এর ফল যদি বেশি খেতে থাকেন তাহলে ওজন কমার বদলে দ্রুত বাড়তেও সময় লাগবে। ফলের সালাত বা ডেজার্টে কাটা খেজুর যোগ করতে পারেন। এছাড়াও এক গ্লাস উষ্ণ দুধের সঙ্গেও খেজুরের টুকরো মিশিয়ে খেতে পারেন। টক দই কাস্টার্ড চাটনি তবে মিশিয়ে খেজুর খেতে পারেন।
আশা করি আপনারা আমাদের আর্টিক্যাল থেকে জানাতে পেরেছেন খেজুর বেশি খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে এবং খেজুরের উপকারিতা সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্যগুলো।
Leave a Reply