বর্তমান সময়ে মানুষের নয়টা ছয়টা অফিস করার চাইতে ফ্রিল্যান্সিং করার প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। অর্থাৎ ঘরে বসে যদি আপনি কাজ করার মাধ্যমে চাকরির চাইতে বেশি বেতন পেয়ে থাকেন অথবা কাজ করার মাধ্যমে স্বস্তির ভাবে সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা পেয়ে যান তাহলে ফ্রিল্যান্সিং করাটাই ভালো বলে মনে করে থাকেন। তবে ফ্রিল্যান্সিং মানে কি এটা
অনেকেই জানেন না অথবা ফ্রিল্যান্সিং এর ভেতরে আসলে কোন কোন কাজগুলো অন্তর্ভুক্ত সেটা অনেকে জানেন না। তাই আমরা এখানে আপনাদের উদ্দেশ্যে ফ্রিল্যান্সিং মানে কি সে প্রসঙ্গে আলোচনা করব। দৈনন্দিন জীবনে ফ্রিল্যান্সিং যদি করতে চান অথবা ফ্রিল্যান্সিং করার প্রতি যদি আপনাদের সময় ও আগ্রহ থেকে থাকে তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের কমেন্ট বক্সে আপনাদের ইচ্ছার কথাগুলো লিখে জানিয়ে দিতে পারেন।
বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে যে অনেক মানুষ ঘরে বসে কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ইন্টারনেট ভিত্তিক কাজ করার ভিত্তিতে টাকা অথবা ডলার ইনকাম করতে পারছেন। তাই আপনার যদি এরকম ধরনের ইচ্ছা থাকে এবং ঘরে বসে যদি ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে নিজেকে সাবলম্বী করতে চান তাহলে তা করতে পারেন। কারণ বর্তমান সময়ের সরকারি চাকরির যে সার্কুলারগুলো প্রদান করা হয় তাতে
করে অনেক বেকারের সংখ্যা থাকার কারণে প্রচুর পরিমাণে প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হয়।আবার আপনি যে কোন ধরনের বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরিতে যাবেন সেখানে এত পরিমান চাপ দেওয়া হবে যে চাকরি ছেড়ে পালিয়ে আসার মত অবস্থা হয়ে যায় অনেকের জন্য। অথচ ঘরে বসে যদি নিজের ইচ্ছামতো কাজ করার ভিত্তিতে টাকা ইনকাম করার সুযোগ থাকে তাহলে সকলেই তো চাইবে এমন ধরনের সুযোগ যেন সকলের জীবনে আসুক।
তাই ফ্রিল্যান্সিং বলতে গেলে কি বুঝায় সে প্রসঙ্গে বলবো যে নির্দিষ্ট একটা ক্যাটাগরিতে আপনি যখন অনলাইনের মাধ্যমে অথবা ইন্টারনেট কানেকশন এর মাধ্যমে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন তখন সেটাই হবে ফ্রিল্যান্সিং। এক্ষেত্রে আপনি যদি সার্ভে করতে পারেন তাহলে সেটাও এক ধরনের যেমন ফ্রিল্যান্সিং তেমনি ভাবে আপনি যদি ব্লগিং ভিডিও আপলোড করেন তাহলে সেটাও হবে এক ধরনের ফ্রিল্যান্সিং। আবার আপনি যদি ওয়েবসাইট বিল্ডআপ করার পরে সেখানে বিভিন্ন ধরনের মানসম্মত পোস্ট প্রদান করার মাধ্যমে অন্যের উপকার করতে চান এবং এডসেন্সের মাধ্যমে যদি ইনকাম করতে চান তাহলে সেটাও হবে এক ধরনের ফ্রিল্যান্সিং।
ফ্রিল্যান্সিং কাজের ধরন অনেক বেশি এবং এর মাধ্যমে আপনি যদি কাজের উন্নতি করতে পারেন তাহলে ঘরে বসে বিদেশী সংস্থার সঙ্গে কাজ করার ও সুযোগ থাকবে। যেহেতু বর্তমান সময়ে মানুষজন অনলাইন ভিত্তিক অথবা অনলাইন নির্ভর হয়ে যাচ্ছে সেহেতু এ ফ্রিল্যান্সিং এর চাহিদা দিনের পর দিন বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে।
অর্থাৎ কোন ধরনের মানসিক চাপ না নিয়ে ঘরে বসে যদি টাকা ইনকামের সুযোগ থাকে তাহলে এটা তো প্রত্যেকের জন্যই খুব ভালো হয়। তাই ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে বর্তমান সময়ে অনেকে নিজেকে স্বাবলম্বীক হিসেবে গড়ে তুলছে।তবে সকল কাজের ক্ষেত্রে ধৈর্য ও টাকা ইনকামের ক্ষেত্রে পরিশ্রম বিষয়টা মাথায় রেখে আমরা যদি সময় প্রদান করতে পারি এবং নিজেদের দক্ষতার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারি তাহলে আমরা সফল হতে পারব।
Leave a Reply