
বিয়ে হলো প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে একটি শ্রেষ্ঠ নেয়ামত এবং এর মাধ্যমে একজন মানুষকে আপনার জীবনের জীবন সঙ্গিনী হিসেবে নির্ধারণ করা হবে বলে আপনি সেখান থেকে বরকত এবং ফজিলত উভয় পেয়ে যাবেন। তাই একজন সন্তান অথবা একজন মেয়ে যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকে তাহলে তার বিয়ের ব্যবস্থা অবশ্যই করতে হবে। কিন্তু বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থার ভিত্তিতে কোন মানুষের যদি বিয়ে করতে দেরি হয় অথবা বিয়ে করার জন্য মনের মত সঙ্গিনী অথবা সঙ্গী খুঁজে না পাই তাহলে অবশ্যই মহান আল্লাহ পাকের কাছে বিয়ের হওয়ার জন্য আমল করতে পারেন।
মহান আল্লাহ পাক শ্রেষ্ঠ নিয়ামত দানকারী এবং মহান আল্লাহ পাক প্রত্যেকটি মানুষের কথা ভালোমতো শোনেন বলে আপনি যদি তাঁর কাজে ভাল মতো কিছু চান তাহলে তিনি আপনাকে কখনোই খালি হাতে ফিরিয়ে দেবেন না। তাই বিয়ে করতে দেরি হচ্ছে অথবা বিয়ে করার জন্য আপনি যদি চেষ্টা করতে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমল করার ভিত্তিতে দ্রুত বিয়ে হওয়ার ব্যবস্থা হয়ে যাবে।
বর্তমান সময়ের যে সামাজিক পরিস্থিতি তাতে করে একজন মানুষের বিয়ে হওয়া বিষয়গুলো আটকে যাচ্ছে। বর্তমান সময়ে ফ্রি মিক্সিং এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিয়ের মত বিষয়গুলো খুব কঠিন করে দেয়া হচ্ছে বলে একজন পুরুষ চাইলেও তারা নির্দিষ্ট বয়সের ভিতরে বিয়ে করতে পারছে না। আবার অনেক নারী আছে যারা উচ্চশিক্ষার নামে এবং সাবলম্বীতার নামে বিয়ে করতে দেরি করছে এবং পরবর্তীতে কোন কুল না পেয়ে বিয়ের জন্য আগাতে গেলে কোন ব্যবস্থাই করতে পারছে না। সকল বয়সী মানুষ এবং বিয়ে করতে আগ্রহী মানুষ যদি মহান আল্লাহ পাকের সান্নিধ্য পেতে চান এবং আল্লাহ পাকের সাহায্য পেতে চান তাহলে অবশ্যই নিচের দেখানো আমল গুলো করলে আল্লাহ পাক আপনাদেরকে অবশ্যই এ বিষয়ে সাহায্য করবেন।
বিয়ে করার মধ্য দিয়ে আপনি একজন জীবনের সঙ্গী পাবেন যে সঙ্গীকে সাথে করে আমৃত্যু একসঙ্গে থাকার সুযোগ পাবেন। তাছাড়া সেই সঙ্গে যদি আপনার জীবনে বরকতময় হয় তাহলে আপনার জীবন কানায় কানায় প্রশান্তিতে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। তাই বিয়ে করবেন এবং অর্ধেক দিন পূরণ করার মধ্য দিয়ে আপনি আপনার জীবনকে খুব সুন্দর ভাবে পরিচালনা করার উদ্দেশ্যে এগিয়ে যেতে পারেন। যারা দ্রুত বিয়ে হওয়া নিয়ে ভাবছেন তাদেরকে বলব যে, যুবকেরা যদি ডান হাত দিয়ে বাম হাতের কবজি চেপে ধরে এবং যুবতীরা যদি বাম হাত দিয়ে ডান হাতের কবজি চেপে ধরে প্রত্যেকদিন ফজরের নামাজের পূর্বে সূর্যদের আগে আমল করে তাহলে এই আমল অবশ্যই কবুল হবে।
এক্ষেত্রে উপরের দেখানো নিয়ম অনুসরণ করে আপনারা সূর্যোদয়ের আগে ৪০ বার হিসাবে 40 দিন পর্যন্ত ইয়া ফাত্তাহু পাঠ করবেন। ইয়া ফাত্তাহু শব্দটির অর্থ হলো হে উন্মুক্ত কারী অথবা প্রস্তুতকারী। তাছাড়া বেশি বেশি করে ইস্তেখার পাঠ করার মধ্য দিয়েও আপনারা বিয়ে করতে পারবেন এবং আপনারা যদি আরও একটি কার্যকারী আমল সম্পর্কে জানতে চান তাহলে বলব যে সূরা ফোরকানের 74 নাম্বার আয়াত খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুকে এক বড় ভাইয়ের পোস্ট দেখে আমরা সেই আয়াতটি সংগ্রহ করে আপনাদের উদ্দেশ্যে প্রদান করলাম এবং এটা আপনারা আমল থেকে জিকির পর্যায়ে যদি নিয়ে যেতে পারেন তাহলে আল্লাহ পাক আপনাদের অবশ্যই উত্তম ব্যক্তিকে আপনার জীবনের সঙ্গী অথবা সঙ্গীনী হিসেবে প্রতিদান করবেন।
সূরা ফুরকানের ৭৪ নম্বর আয়াত-
রব্বানা হাবলানা মিন আযওয়াজিনা ওয়া যুররিয়্যাতিনা ক্বুররাতা আইউন ওয়া জায়ালনা লিল মুত্তাক্বিনা ইমামা
Leave a Reply