প্রধানমন্ত্রীর অধীনস্থ একটি দপ্তর হিসেবে কন্ট্রোলার জেনারেল ডিফেন্স ফাইন্যান্স বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে এবং আপনাদের উদ্দেশ্যে এই পোষ্টের মাধ্যমে তাদের আসলে কি কি কাজ করা লাগে সে বিষয়ে ধারণা প্রদান করব। কারণ বিভিন্ন সময়ে কন্ট্রোলার জেনারেল ডিফেন্স ফাইন্যান্স এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়ে থাকে এবং সেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আপনারা সরকারি চাকরি বলে আবেদন করে থাকলেও এখানকার কর্মকান্ড সম্পর্কে অথবা এদের কার্যাবলী সম্পর্কে ধারণা রাখেন না।
তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে এই অধিদপ্তরের কি কি কাজে রয়েছে তা যদি জানিয়ে দিতে পারি তাহলে আপনারা অবশ্যই সে বিষয়ে অবগত হতে পারবেন এবং আপনাদের মনের ভিতরে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। আমরা মনে করি যে এই পোষ্টের মাধ্যমে কন্ট্রোলার জেনারেল ডিফেন্স ফাইন্যান্স এর কার্যাবলী সম্পর্কে আপনারা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে চলেছেন।১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এই সংস্থা এবং এই সংস্থাকে সংক্ষেপে সিজিডিএফ বলা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের যে মহান হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় রয়েছে তার একটি শাখা হিসেবে কাজ করে এবং এ বিভাগে যে সকল কর্মকর্তা বৃন্দ রয়েছেন তারা অবশ্যই সরকারের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়ে থাকে বলে প্রত্যেকটি নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন তাদেরকে মেনে চলতে হয়। তবে যাই হোক এই অধিদপ্তরের কাজ সম্পর্কে যারা জানতে এসেছেন তাদেরকে বলব যে এটা হল বাংলাদেশ মহনিয়ন্ত্রক প্রতিরক্ষা অর্থ বিষয়ক একটা অধিদপ্তর এবং এখানে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো অর্থাৎ লেনদেন ও আর্থিক বিষয়গুলো খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয় এবং অন্যান্য ধরনের কাজ এখানে চালু থাকে।
বাংলাদেশকে সামগ্রিক দিক থেকে যাদের সুরক্ষা প্রদান করতে পারে তার জন্য বিভিন্ন ধরনের ডিফেন্স এখানে তৈরি করা হয়েছে এবং আমরা জানি যে বাংলাদেশের যেমন সেনাবাহিনী রয়েছে তেমনি ভাবে নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী রয়েছে। তাই এই সকল প্রতিরক্ষা কর্মীদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা এবং প্রত্যেক মাসে বেতন থেকে শুরু করে অন্যান্য যে সকল ভাতা প্রদান করা হয় তার প্রত্যেকটি ব্যয় নির্দিষ্ট একটা কলামে লিপিবদ্ধ করতে হয় অথবা প্রত্যেকটি ব্যয়ের একটি ব্যালেন্স শিট থেকে থাকে।
তাই কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এই কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা হয়ে থাকে বলে তারা প্রত্যেক মাস শেষে বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকে।প্রকৃতপক্ষে সামরিক বাহিনীতে যে সকল কর্মকর্তারা জয়েন করে আছেন এবং সেবা প্রদান করে আসছেন এবং দেশের সেবায় নিয়োজিত আছেন তারা যে ধরনের সেবা পাচ্ছেন তা সরাসরি কন্ট্রোলার জেনারেল ডিফেন্স ফাইন্যান্স এর মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে।
অর্থাৎ তারা যেমন আমাদের দেশের জন্য বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা প্রদান করে আসছে তেমনি ভাবে সামরিক বা প্রতিরক্ষা খাতে সরকার বিভিন্ন ধরনের ব্যয় করে থাকেন যাতে করে তাদের ভেতরে প্রত্যেকটি কর্মে উন্নতি ঘটে এবং তারা সুষ্ঠুভাবে দেশের নিরাপত্তা প্রদান করতে পারে। তাছাড়া তাদের সামরিক অস্ত্র কেনা থেকে শুরু করে আরো যে সকল ব্যয় রয়েছে সে সকল ব্যয়ের সঠিক হিসাব এবং প্রত্যেক বছরে যে ধরনের ব্যয় হয়ে থাকে তার বাজেট রোপন করাটাই কন্ট্রোলার জেনারেল ডিফেন্স ফাইন্যান্স এর কাজ।
এছাড়াও বাজেট যখন তৈরি করা হবে তখন সেই বাজেট সুষ্ঠুভাবে তৈরি করা হচ্ছে কিনা অথবা এই বাজেটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা হচ্ছে কিনা সে বিষয়গুলো কর্তৃপক্ষ দেখিয়ে থাকেন। অর্থাৎ বাংলাদেশের যে সামরিক বা প্রতিরক্ষা বাহিনী রয়েছে তাদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা অথবা বেতন সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকে তার জন্য সরকারের যে পরিমাণ ব্যয় হয়ে থাকে
সেই হিসাব এবং অন্যান্য দিক থেকে তাদের কর্মকান্ডে উন্নতি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের বাজেট গ্রহণ করা হয়। তাছাড়া বিভিন্ন পদক্ষেপে বাস্তবায়ন করার জন্য এই বাজেটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা হচ্ছে কিনা তার প্রত্যেকটি বিষয় কন্ট্রোলার জেনারেল ডিফেন্স ফাইন্যান্স দেখে থাকেন।
Leave a Reply