শক্তি ফাউন্ডেশন ক্রেডিট অফিসারের কাজ কি

শক্তি ফাউন্ডেশন ক্রেডিট অফিসারের কাজ কি

শক্তি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য এনজিও এবং মাইক্রো ফাইনান্স এর মাধ্যমে এরা দেশের ভেতরে লোন ব্যবস্থা চালু রেখেছে বলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রত্যেকটি মানুষ খুব সহজ শর্তে লোন গ্রহণ করে তাদের আর্থিক অবস্থা নিরসন করতে পারে। তাই আপনি যখন শক্তি ফাউন্ডেশন এর ক্রেডিট অফিসার পদ এর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখবেন তখন হয়তো আপনার কাছে এটা প্রশ্ন আসতে পারে যে আপনি

ক্রেডিট অফিসার পদে যদি যোগদান করে থাকেন তাহলে কি কি কাজ করবেন অথবা এক্ষেত্রে আপনাকে কোন কোন দায়িত্ব পালন করা লাগতে পারে। তাই আপনাদের প্রশ্নের উত্তর প্রদান করার জন্য এই পোস্টের মাধ্যমে যারা শক্তি ফাউন্ডেশন এর ক্রেডিট অফিসার পদে যোগদান করবেন অথবা এখানে যদি আপনার চাকরি হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে নিম্নলিখিত কাজগুলো করা লাগবে। তাই কাজগুলো করার ক্ষেত্রে আপনাদের যে সকল এবিলিটি অথবা যে ধরনের দক্ষতাকে কাজে লাগাতে হবে তা নিচের আমরা জানিয়ে দিলাম।

সাধারণত ক্রেডিট অফিসার অথবা কেন্দ্র ব্যবস্থাপকের কাজ কম বেশি একই রকমের এবং এই ক্ষেত্রে আপনাদেরকে একই দায়িত্ব পালন করা লাগে। তবে প্রতিষ্ঠান অনুযায়ী এই পোষ্টের নাম আলাদা হয়ে থাকলেও কাজগুলো একই পর্যায়ের হয়ে থাকার কারণে আপনাদেরকে গ্রাম পর্যায়ে অথবা তাদের পোস্টিং করা বিভিন্ন অফিসে গিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ক্রেডিট অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে আপনাকে এই ক্ষেত্রে ক্যাশ সাধারণ জনসাধারণের মধ্যে লোন প্রদান করার মাধ্যমে বিতরণ করতে হবে এবং এই লোন বিতরণ করার পর সেই গ্যাস উত্তোলনের জন্য সাপ্তাহিক ভিত্তিতে অথবা মাসিক চুক্তিতে গ্রহণ করে অফিসকে বুঝিয়ে দিতে হবে।

সাধারণ দৃষ্টিকোণ থেকে এটা যদি আমরা বলতে চাই তাহলে বলতে পারি যে একজন ক্রেডিট অফিসার হিসেবে আপনি যদি যোগদান করেন তাহলে আপনাকে কিস্তির মাস্টার হিসেবে কাজ করা লাগবে। এক্ষেত্রে দেখা যায় যে গ্রাম অঞ্চলে সপ্তাহের একটা নির্দিষ্ট দিনে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোকজন আসে এবং তারা কোন কোন ব্যক্তি লোন নিতে আগ্রহী তাদেরকে নির্বাচন করে থাকে। প্রত্যেকটি কেন্দ্রের একজন করে গ্রুপ মেম্বার থেকে থাকে এবং এই গ্রুপ সদস্য বা সভানেত্রী হিসেবে যিনি দায়িত্ব পালন করে থাকেন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়ে থাকে যে আসলে সেই ব্যক্তির লোন পাওয়ার যোগ্য কিনা অথবা তার লোন পরিশোধের সক্ষমতা আছে কিনা।

যদি লোন পরিশোধের সক্ষমতা থেকে থাকে এবং সেই লোক যদি পালিয়ে না যাই তাহলে একজন ক্রেডিট অফিসার অবশ্যই সেই ব্যক্তিকে লোন প্রদান করবে এবং অফিসিয়াল নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে যে লোনের মাত্রা রয়েছে সেই পরিমাণ টাকা প্রদান করতে সক্ষম হবে। এক্ষেত্রে সকল

ধরনের রিস্ক আপনাদেরকে নিতে হবে এবং আপনারা যাকে টাকা প্রদান করছেন সেই ব্যক্তি যেন সাপ্তাহিক নির্দিষ্ট দিনে টাকা কেন্দ্র প্রদান করতে আসে সে বিষয়গুলো অবগত করতে হবে। অর্থাৎ গ্রাহকদের যে টাকা প্রদান করছেন সেই টাকা আপনাদেরকে মোটামুটি ভাবে ৪৪ সপ্তাহে গ্রহণ করতে হবে এবং এক্ষেত্রে আপনারা প্রত্যেক সাপ্তাহিক কেন্দ্রীয় উপস্থিত হলে তারা আপনাদেরকে টাকা এসে দিয়ে যাবে।

কিন্তু অনেক সময় গ্রাহক পালিয়ে যাওয়া অথবা অধিক টাকা উত্তোলন করার পর সেই টাকা পরিষদে অক্ষমতা প্রকাশ করলে তার জন্য অফিসিয়াল ভাবে আপনাদেরকে অনেক চাপ প্রদান করা হয়ে থাকে। যেহেতু এটা টাকার বিষয় এবং একটা কিস্তি যদি না দিতে পারে তাহলে অনেকেই মোটা অংকের টাকা নিজেদের পকেট থেকে দেন এবং অনেকের বেতন নিয়ে টানাটানি পড়ে যায়। তাই ক্রেডিট অফিসার পদে

আপনি যদি যোগদান করে থাকেন তাহলে সকল ধরনের মানসিকতাকে আপনাকে মেনে নিতে হবে এবং এক্ষেত্রে আপনাদের অফিসের যেমন চাপ প্রদান করা হবে তেমনি ভাবে আপনারা গ্রাহকদের টাকা প্রদান করে সুষ্ঠুভাবে সে টাকা উত্তোলন করে অফিসকে বুঝিয়ে দেওয়াটাই আপনার কাজ হবে। তাই ক্রেডিট অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই এই ধরনের চাপ যদি নিতে পারেন তাহলে অবশ্যই যোগদান করবেন এবং আপনার যদি কোন কিছু করার রাস্তা না থাকে তাহলে এই চাকরিতে জয়েন করতে পারেন।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*