
ঈমান ও ইসলাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিভাষ। অর্থাৎ ঈমান অর্থ বিশ্বাস আর এই ইসলামের মূল অর্থ হলো ইসলামের থাকতে হবে। এছাড়া প্রতি আন্তরিক বিশ্বাস মৌখিক স্বীকৃতি ও তদন্তি আমল করাকে আসলে ইমান বলা হয়। অন্য দিক থেকে যদি বলা যায় তাহলে ইসলাম অর্থ আত্মসমর্পণ আনুগত্য ইত্যাদি। ইসলাম ও ঈমান দুটির মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে।
কারণ ইসলাম ধর্ম পালন করতে হলে অবশ্যই ইসলামের প্রতি ঈমান থাকতে হবে তবেই সে ইসলাম ধর্ম পালন করতে পারবে। মহান আল্লাহর যাবতীয় আদেশ নিষেধ বিনা দ্বিধায় মেনে নেওয়ার মাধ্যমে তার প্রতি পূর্ণাঙ্গ রূপে আত্মসমর্পণ করার নামই হলো ইসলাম। তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে ঈমান এবং ইসলাম একে অপরের প্রতি নিবিড় ভাবে যুক্ত। কারণ ইসলামের প্রতি ঈমান না থাকলে সে কখনোই ইসলাম ধর্ম পালন করতে পারবে না।
ঈমান ও ইসলামের মধ্যে যদি অত্যন্ত সম্পর্ক বিদ্যমান নাই থাকে তাহলে সে কখনোই ইসলামিক হতে পারে না। তাই বলা যায় যে ইসলাম এবং ঈমান এদের একটি ব্যতীত অন্যটি কখনও কল্পনা করা যাবে না। এদের একটি অপরটির ওপর গভীরভাবে নির্ভরশীল এ কথাটা আমরা নির্দ্বিধায় বলতে পারি। ইসলাম ও ইমান সম্পর্ক দুটি এমন যে গাছের মূল ও শাখা প্রশাখার মত। ঈমান হলো গাছের শিকড় ভ্রমূল আর ইসলাম তার শাখা।
এভাবে আমরা কল্পনা করতে পারি বা ধরে নিতে পারি। মূল না থাকলে যেমন শাখা প্রশাখা হয় না আর শাখা প্রশাখা না থাকলে মূল বাষিকর মূল্যহীন। সেরকম ভাবেই ঈমান এবং ইসলাম একটি অন্যটি ব্যতীত কখনোই পূর্ণাঙ্গ হতে পারে না। তাই এমন মানুষের অন্তরে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস অনুরাগ তার সন্তুষ্টি লাভের বাসনা বিষয়টি সৃষ্টি করে। আর তাতে ইবাদত এবং আনুগত্যের মাধ্যমে সজীব এবং সতিছে পরিপূর্ণ সৌন্দর্যের বিকশিত হয় ইসলাম।
এই কারণে বলা যেতে পারে যে ইসলাম হল ঈমানের বহিঃপ্রকাশ। আমার ঈমান হলো অন্তরের সাথে সম্পৃক্ত আর ইসলাম বাহ্যিক আচার-আচরণ এবং কার্যাবলীর সাথে সম্পৃক্ত এ কথাও আমরা অন্যভাবে ঘুরিয়ে বললেন বলা যেতে পারে। যেমন আমরা একটি উদাহরণ দিতে পারি আল্লাহর রাসূল ফেরেস্তা ইত্যাদি বিষয়ে বিশ্বাস করাই হলো ঈমান আর সালাত যাকাত হজ ইত্যাদি বিষয়ে পালন করা হলো ইসলাম। তাহলে আমরা এ কথায় উপনীত হতে পারি যে প্রকৃতপক্ষে ঈমান ও ইসলাম একটি অপরটির পরিপূরক হিসেবে প্রতিপালিত হয়।
দুনিয়া এবং আখিরাতের ফলতা লাভ করতে হলে অবশ্যই ঈমান ও ইসলাম উভয়টিকে সম্পূর্ণভাবে বা পরিপূর্ণভাবে স্বীয় জীবনে অর্থাৎ নিজ জীবনে আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি বা করতে হবে। তাহলে মূল বিষয়টি হলো ঈমান অর্থ বিশ্বাস আর এই বিশ্বাস আসলে ইসলামের প্রতি।
একজন মুসলিমকে ঈমানের কতগুলো মৌলিক বিষয়ে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে হয়। আর এগুলো হলো কুরআন এবং হাদিস দ্বারা অকাট্যভাবে প্রমাণিত। এ বিষয়গুলোতে বিশ্বাস ব্যতীত কেউই মুমিন বা মুসলিম হতে পারবে না। তাহলে আজকে আপনারা যারা আমাদের এই পোস্টটিতে এসেছেন ঈমান শব্দের অর্থ কি তা অবশ্যই আপনাদেরকে এখন আমরা বলে দিতে পারব।
বা আপনারা এতক্ষণ আলোচনার পর অবশ্যই বুঝে নিতে পারলেন যে ঈমান শব্দটির অর্থ কি। ঈমান শব্দটি আমরুল মূল ধাতু থেকে নির্গত হয়েছে যার অর্থ বিশ্বাস করা আস্তে আস্তে স্থাপন স্বীকৃতি দেওয়া নির্ভর করা মেনে নেওয়া ইত্যাদি বলা হয়। তাই ইসলামী পরিভাষায় শরীয়তের যাবতীয় বিধি-বিধান অন্তরে বিশ্বাস করা মুখে স্বীকার করা এবং সেই অনুযায়ী আমল করাকে ঈমান বলা যায়।
ঈমানের পরিচয় সম্পর্কে আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ বলেছেন যে ঈমান অর্থ হচ্ছে আল্লাহ তার ফেরেশতাকুল কিতাব কুল রাসূলগণ পরকাল এবং ভাগ্যের ভালো মন্দের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করাকে বলা হয়। প্রকৃতপক্ষে আসলে ইসলামের মূল বিষয়গুলোর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাসকে বলা হয় ঈমান। ঈমানের মৌলিক বিষয়গুলো আল্লাহর বাণী আল-কোরআন ও রাসুলুল্লাহ এর পবিত্র হাদীসে বিস্তৃতভাবেই বর্ণনা করা হয়েছে।
Leave a Reply