অনলাইন ভিত্তিক প্রত্যেকটি কাজ ফ্রিল্যান্সিং হিসেবে নিবেদিত। অর্থাৎ আপনি ঘরে বসে ল্যাপটপের সাহায্যে কাজের দক্ষতা দ্বারা যখন টাকা ইনকাম করবেন এবং এ সকল কাজের ক্ষেত্রে গুগল ও বিদেশের বিভিন্ন কোম্পানি যখন জড়িত থাকবে এবং তাদের মাধ্যমে আপনাদের যখন টাকা প্রদান করা হবে তখন সেটা ফ্রিল্যান্সিং কাজ হবে। বর্তমান সময়ে দক্ষতার এবং অভিজ্ঞতার প্রাধান্য দেওয়া হয়ে থাকে বলে নিজের দেশের কর্মচারীদের দিয়ে কাজ করানোর পাশাপাশি বিভিন্ন কোম্পানি দেশের বাইরের কর্মীদের দিয়ে কাজ করিয়ে নিয়ে থাকেন। তাই আমাদের দেশে যখন আমরা বিদেশের কোন কাজ করে থাকি অথবা গুগলের এডসেন্সের মাধ্যমে যখন কোন ধরনের কাজ করে থাকে তখন সেটা ফ্রিল্যান্সিং হিসেবে আমরা জানি এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে পারি।
ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে আপনি যদি কোন একটি কাজ করতে চান তাহলে ওয়েবসাইট বা লিখিত ব্লগিং তৈরি করার মাধ্যমে এই কাজগুলো করতে পারেন। অর্থাৎ মানুষ কি বিষয়ে সার্চ করছে এবং দৈনন্দিন জীবনে কি কি বিষয়ে সার্চ সবচাইতে বেশি হচ্ছে এ বিষয়গুলো যদি আপনি উপলব্ধি করতে পারেন তাহলে সেই সম্পর্কিত তথ্যবহুল পোস্ট আপনি নিজের ওয়েবসাইটে করতে পারেন। গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভাল হয়ে গেলে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করা ভিজিটরের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে আপনার এই ইনকামগুলো হবে এবং এটার মাধ্যমে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে পারবেন। তবে বর্তমান সময়ে প্রতিযোগীর সংখ্যা বেশি থাকার কারণে এবং অন্যান্য টেকনিক্যাল বিষয় না জানার থাকার কারণে অনেকের কাছে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করাটা একটু কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে।
বিভিন্ন কোম্পানির হয়ে আপনারা যদি কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে বলব যে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজগুলো করতে পারলে সবচাইতে ভালো হবে। আপনার ভেতরে যে সৃজনশীলতা রয়েছে তার মাধ্যমে বিভিন্ন ডিজাইন যখন আপনি করতে পারবেন অথবা গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে যখন বিভিন্ন কোম্পানির প্রয়োজন অনুযায়ী কাজগুলো করে দিতে পারবেন তখন তারা কাজের প্রতি খুশি হয়ে আপনাকে যে পেমেন্ট প্রদান করবে সেটা ফ্রিল্যান্সিং পর্যায়ের একটি কাজ। বিভিন্ন ধরনের ভিডিও এডিটিং অথবা ফটোশপের কাজগুলো আপনারা দক্ষতার মাধ্যমে যখন করে বিদেশি কোম্পানির কাছে প্রদান করবেন তখন তারা আপনার থেকে এই কাজগুলো গ্রহণ করবে এবং কাজের ভিত্তিতে অথবা মাসিক চুক্তিতে বেতন প্রদান করবে।
তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের কাজ বর্তমান সময় করা যাচ্ছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি কাজের বিনিময়ে টাকা এই সিস্টেমে কাজ করতে পারেন। অর্থাৎ সার্ভেয়ারের কাজ অথবা বিভিন্ন ধরনের লেখালেখির কাজ অথবা বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট কাজগুলো করে দেওয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের হয়ে অথবা বিভিন্ন কোম্পানির হয়ে এগুলো করে দেওয়ার সুযোগ থাকছে। অর্থাৎ বিশ্বায়নের এই যুগে ঘরে বসে আপনারা যখন অন্য দেশের কোন কাজ করে দেবেন অথবা নিজ উদ্যোগে যখন কোন কাজ সম্পন্ন করবেন এবং এই ক্ষেত্রে আপনার পারফরম্যান্স অনুযায়ী গুগল থেকে শুরু করে বিভিন্ন কোম্পানি যখন বেতন দিবে তখন সেই কাজটা ফ্রিল্যান্সিং হবে। তাই বর্তমান বাজারে চাকরির ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে প্রতিযোগিতা থাকাই অনেক যুবক ফ্রিল্যান্সিংয়ের পথ বেছে নিচ্ছেন।
নিজেদের দক্ষতা থেকে শুরু করে অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভর করে অনেকেই যেমন খুব দ্রুত লাখপতি হতে পারছেন তেমনি ভাবে অনেকে আছেন যারা ফ্রিল্যান্সিং এর সঙ্গে দিনের পর দিন লেগে থাকার পরেও খুব একটা আয়ের মুখ দেখতে পারছেন না। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কর্নার নামক প্রতিষ্ঠান তৈরি হচ্ছে যেখানে বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং প্রদান করার মাধ্যমে বিশ্বে চাহিদা রয়েছে এমন সকল কাজের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। তাই ছাত্র অবস্থায় আপনার মূল্যবান সময়কে নষ্ট না করে হয় চাকরির জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন অথবা ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করে নিজেদের দক্ষতা দিনে দিনে বৃদ্ধি করতে পারলে আপনার পড়ালেখা শেষ হতে হতে আপনি প্রত্যেকটা কাজ শিখে নিতে পারবেন এবং নিজেকে তখন আর বেকার লাগবেনা।
Leave a Reply