জীববিজ্ঞানের জনক কে

জীববিজ্ঞানের জনক কে

জীববিজ্ঞান একটি প্রাচীন বিজ্ঞান। জীব বিজ্ঞান গঠিত হয়েছে দুইটি গ্রিক শব্দ নিয়ে, একটি bios অর্থাৎ জীবন এবং আরেকটি logos অর্থাৎ জ্ঞান এই দুইটি সংযোগের মাধ্যমে। চিকিৎসা ও কৃষি সংক্রান্ত ব্যাপারে জীববিজ্ঞান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সে কারণে আমরা বলতে পারি সভ্যতার একেবারে আদিকাল থেকে গ্রিস, মিশর, মধ্যপ্রাচ্য, ভারত বর্ষ ও চীন সহ বিভিন্ন অঞ্চলের সভ্যতায় জীব বিজ্ঞানের অনেক অবদান রয়েছে। যদিও সেসব চর্চা থেকে আধুনিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির বিচারে জীববিজ্ঞান বলা যায় না তবুও জ্ঞানের এই শাখা বিকাশের জন্য অনেক তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। এ পর্যায়ে আমাদের এখন দেখাতে হবে জীব বিজ্ঞানের জনক কে। জীবের যে দুটি ধরন আমরা চার পাশে থাকে দেখতে পাই সেগুলোর মধ্যে একটা হল উদ্ভিদ আর একটা প্রাণী।

অর্থাৎ জীব বিজ্ঞানের মূল দুটি শাখা একটা হল উদ্ভিদবিজ্ঞান আরেকটি প্রাণিবিজ্ঞান। দুটি মিলে একটি জীববিজ্ঞান গঠিত হয়েছে। বিশদভাবে যে বিজ্ঞানের শাখা দুইটি উঁচু শ্রেণীতে অর্থাৎ উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে এর দুইটি শাখায় আলাদা আলাদা ভাবে প্রকাশিত। তবে জীব বিজ্ঞান আজ এতটাই বিস্তৃতি লাভ করেছে যে শুধু দুইটি শাখায় ভাগ করে এখন আর চলে না, এর আরো অনেক শাখা রয়েছে। এমন অনেক জীব আছে যা উদ্ভিদ এবং প্রাণী কোনোটিই নয় আবার দুইটির মতোই আচরণ করে তাই এদেরকে একটি শ্রেণীবিভাগ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ব্যাকটেরিয়া ছত্রাক এইসব পরে। আবার কখনো কখনো প্রাণী উদ্ভিদ ব্যাকটেরিয়া ছত্রাক ভাইরাস প্রভৃতি কোন সাধারণ বৈশিষ্ট্যকে একসাথে বিশ্লেষণ করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে তখন আর জীব বিজ্ঞানের ধরন ভিত্তিক শাখা যুতসই হয় না।

আমাদের জ্ঞানের প্রতিটি বিষয়ে অন্তর্ভুক্ত শাখা গুলো কে ভৌত বা মৌলিক এবং ফলিত এই দুই ভাগে ভাগ করা থাকে। আর জীব বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও এর বাইরে কিছু করা হয়নি। ভৌত জীববিজ্ঞানের অনেকগুলি শাখা আছে, এদের মধ্যে যে বিষয়গুলি আলোচনা করা হয় সেগুলো আমরা এখন বলতে পারি, সেগুলো হল- অঙ্গসংস্থান, শ্রেণীবিন্যাস বিদ্যা বা ট্যাক্সোনমি, শারীরবিদ্যা, হিস্টোলজি, ভ্রূণবিদ্যা, কোষবিদ্যা বংশগতিবিদ্যা বা জেনেটিক্স বিবর্তনবিদ্যা, বাস্তুবিদ্যা এন্ড্রোকাইনোলজি, জীব ভূগোল এগুলো ভৌত জীববিজ্ঞান শাখায় আলোচনা করা হয়ে থাকে।

আবার ফলিত জীববিজ্ঞান শাখায় যেগুলো আলোচনা করা হয় সেগুলো হল-জীবাশ্ম বিজ্ঞান, জীব পরিসংখ্যানবিদ্যা, পরজীব বিদ্যা, মৎস্য বিজ্ঞান, কীটতত্ত্ব, অনুজীব বিজ্ঞান, কৃষিবিজ্ঞান, চিকিৎসা বিজ্ঞান, জিন প্রযুক্তি, প্রাণ রসায়ন, পরিবেশ বিজ্ঞান, সামুদ্রিক জীববিজ্ঞান, বনবিজ্ঞান, জীব প্রযুক্তি, ফার্মেসী, বন্যপ্রাণীবিদ্যা, বায়োইনফরমেটিক্স ইত্যাদি।

তাহলে দেখা যাচ্ছে জীববিজ্ঞানের মধ্যে অনেক বিষয় নিয়েই আলোচনা করা হয়। ক্ষুদ্র কোনো একটি বিষয় নিয়ে এই জীব বিজ্ঞানের মধ্যে আলোচনা করা হয় না। তাহলে দেখা যায় জীব বিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয় বিশদ। কোন একটা জীবের বা প্রাণীর বিষয় নিয়ে আলোচনা করলেই সেটি যে বিজ্ঞান হয়ে যায় না। তাহলে আমরা এখন দেখি এই যে বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে যেসব বিজ্ঞানীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে তারা কারা। আধুনিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে অনেক বিজ্ঞানীর ভূমিকাই রয়েছে।

জানা-অজানা অনেক বিজ্ঞানী জীববিজ্ঞানের অবদান রেখেছেন। বিজ্ঞানী কেরালাস লিনিয়াস, স্যার জগদীশচন্দ্র বসু, গ্রেগর জোহান মেন্ডেল, লিউয়েন হূক, ইত্যাদি বিজ্ঞানী নাম আমরা উল্লেখ করতে পারি। জীব বিজ্ঞানের এক একটি শাখা একেকজন বিজ্ঞানী জনক বলা হয়ে থাকে। তবে সমস্ত জীব বিজ্ঞানের জনক হিসেবে ধরা হয় অ্যারিস্টোটলকে। তাহলে আমরা বলতে পারি জীব বিজ্ঞানের জনক অ্যারিস্টোটল।

এখনো আপনারা যারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করেন নি তারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য ও সকল প্রশ্নের উত্তর প্রকাশ করে থাকি। তাই আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনারা আপনাদের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলি ডাউনলোড করেও নিতে পারবেন। আর প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করে নিতে আপনাদের আলাদা কোন অর্থের প্রয়োজন হবে না। তাই আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন এবং প্রয়োজনে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলি ডাউনলোড করে নিন।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*