আমলাতন্ত্রের জনক কে

আমলাতন্ত্রের জনক কে

অনেক প্রাচীনকাল থেকেই পৃথিবীতে রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়। অর্থাৎ প্রাচীনকালে প্রথমে গ্রিসে কিছু নগর রাষ্ট্র গঠিত হয়। মানুষ সমাজবদ্ধ জীব, সমাজবদ্ধ হয়ে বা দলবদ্ধ হয়ে বাস করতেই মানুষ বেশি ভালবাসত অথবা নিজের প্রয়োজনেই মানুষ প্রাচীনকাল থেকে দলবদ্ধ হয়ে বা সামাজিক হয়ে জীবন যাপন করত। কতকগুলি সমাজ নিয়ে একটি নগর গঠিত হতো। আর একটি নগরকে কেন্দ্র করে যে সমাজ ব্যবস্থা গুলি প্রচলিত ছিল তাই হল নগর রাষ্ট্র। আর তখন থেকেই রাষ্ট্রকে পরিচালনার জন্য কিছু আমরা বা রাজ-কর্মচারী নিযুক্ত হয়। আর রাজার কাজ দেখাশোনা করার জন্য যে কর্মচারী কর্মকর্তা নিযুক্ত ছিল সেগুলোই হচ্ছে আমলা। আর আমলাদের কে নিয়ে যে রাষ্ট্র গঠিত হতো সেটিই হচ্ছে আমলাতন্ত্র। অর্থাৎ রাষ্ট্র পরিচালনা হয় দুই রকম কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়ে।

এক গুলি হল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ আর এক গুলি হল অর্থাৎ সরকারের নিযুক্ত কর্মচারী গুলি হল আমলা। আজ আমাদের দেখাতে হবে আমলাতন্ত্রের জনক কে। আপনারা যারা আমাদের ওয়েবসাইটটি এখনো ভিজিট করেননি তারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। আমাদের ওয়েবসাইটে শিক্ষা চিকিৎসা স্বাস্থ্য পুষ্টিবিজ্ঞান ভূগোল অর্থনীতি শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় বিজ্ঞান ইত্যাদি তথ্য অত্যন্ত সুন্দর সহজ সরল এবং সাবলীল ভাষায় প্রকাশ করা থাকে। তাই এগুলো থেকে আপনাদের যে তথ্যগুলি প্রয়োজন তা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে অবশ্যই আপনারা দেখে নিতে পারবেন। আমাদের ওয়েবসাইটের ভাষা অত্যন্ত সহজ সরল ও সাবলীল হওয়ায় অত্যন্ত দুর্বল অর্থাৎ অতি দুর্বল ব্যক্তি ও বুঝে নিতে পারে অতি সহজেই।

আবার আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নের উত্তর গুলি ডাউনলোড করে নেওয়া যায়। আপনাদের যদি কারো প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করে নিতে হয় তাহলেও তা আপনারা পারবেন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নের উত্তর বা তথ্য ডাউনলোড করে নিতে কোন ধরনের এক্সট্রা পয়সা খরচ হয় না। আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা রাষ্ট্রকে সার্বজনীন কল্যাণ সাধনকারী এবং মানুষের স্বাধীনতা ও ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য অপরিহার্য প্রতিষ্ঠান বলে ব্যাখ্যা করছেন।

রাষ্ট্র হল নাগরিত্বের জন্য নাগরিকের সুখ ও শান্তি বিধান করার জন্য রাষ্ট্রকে অনেক কাজ করতে হয়। রাষ্ট্রের এই কাজগুলো অপরিহার্য এবং কতগুলো ঐচ্ছিক। আর এই কাজগুলো করার জন্যই রাষ্ট্রের আমলার প্রয়োজন হয়। আবার রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকদেরও বেশ কিছু দায়িত্ব এবং কর্তব্য পালন করতে হয়। এখন আমরা দেখতে পারি রাষ্ট্রের আমলাতন্ত্রের জনক কে হতে পারে।

আমলাদের দেশ ও সরকারের অংশ হিসেবে ধরা হয়। আমলা সরকারের অংশ হলেও একটি দেশের সরকার যদি পরিবর্তিত হয় তবে আমলারা কিন্তু পরিবর্তিত হয় না। আমলা সরকারের অনির্বাচিত অংশ আর সরকার হলো নির্বাচিত অংশ তাই নির্বাচিত সরকার পরিবর্তিত হলেও আমলা অপরিবর্তিত রয়ে যায়। তাহলে চলুন দেখা যাক আমলা তন্ত্রের জনক কে ম্যাক্স ওয়েভারকে আমলাতন্ত্রের জনক বলা হয়। বর্তমান রাষ্ট্রে আমলা ছাড়া রাষ্ট্রের কাজগুলি চলেনা। তাই বর্তমান রাষ্ট্রগুলি অবশ্যই আমলাতন্ত্র নির্ভর হয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক নেতাদের অভাবেও একটি দেশ পরিচালনা হতে পারে কিন্তু আমলা দের অভাবে দেশ পরিচালনা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তাই একটা দেশের জন্য অত্যন্ত জরুরি আমলারা। রাষ্ট্রের সকল কাজ এবং নীতি নির্ধারক অর্থাৎ আইন তৈরির কাজেও এই আমলারাই বিশেষভাবে সহযোগিতা করে।

এবং দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রেও আমলাদের নির্দেশনা মোতাবেক নেতারা দেশ পরিচালনা করে থাকে। নেতারা নির্দেশদদাতা হলেও আসল কাজটি আমরাই করে থাকে। তাই আমরা দেখতে পাই যে কোন দেশের আমলাদের প্রতি জ্ঞানী শিক্ষিত বিবেকবান নিরপেক্ষ হতে হয়। এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের পরিচালনার জন্য আমরা বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে। একটি দেশের সৎ আমলা অবশ্যই সম্পদ। দেশপ্রেমবোধ যে সব আমাদের মধ্যে রয়েছে তারা অবশ্যই যেকোনো দেশের জন্য একটি বড় সম্পদ। তাই আমরা বলতে পারি এ ধরনের তথ্য পাওয়ার জন্য আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি বার বার ভিজিট করুন।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*