অর্থনীতির জনক কে

অর্থনীতির জনক কে

একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বা দেশজ উৎপাদন, মোট জাতীয় উৎপাদন, প্রত্যেক নাগরিকের ব্যক্তিগত আয় এবং জাতীয় আয়ের প্রকৃতি উক্ত দেশের অর্থনীতির প্রতিচ্ছবি তুলে ধরে। কৃষি শিল্প সেবা এবং অন্যান্য খাতে উৎপাদনের অবস্থা বিদেশ থেকে কর্মজীবী মানুষের প্রেরিত অর্থের পরিমাণ ও প্রভাব এসব কিছু বিবেচনা নিয়ে দেশের অর্থনীতির অবস্থা জানা সম্ভব। তাই প্রাচীনকাল থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতি কৃষিভিত্তিক। তবে বর্তমানে শিল্পায়নের অগ্রগতিতে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে শিল্প খাতের গুরুত্ব এবং অবদান ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অর্থনীতি একটি দেশের রাজনীতি সমরনীতি শিক্ষা শিল্প সবকিছুকেই পরিচালিত করে।

এখন আমাদের দেখাতে হবে অর্থনীতির জনক কে। আপনারা যারা আমাদের ওয়েবসাইটটি এখনো ভিজিট করেননি তারা আমাদের ওয়েবসাইটটি অবশ্যই ভিজিট করবেন। আমাদের ওয়েবসাইটে অর্থনীতি, রাজনীতি, সমসাময়িক বিশ্ব, যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করে থাকি। তাই আপনাদের জীবন চলার পথে অর্থাৎ দৈনন্দিন জীবনে যে ধরনের তথ্য প্রয়োজন আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে দেখে নিতে পারবেন। আবার আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলি বা প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করেও নেওয়া যায়।

আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নের উত্তরগুলি বা আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য গুলি ডাউনলোড করে নিতে কোন ধরনের এক্সট্রা চার্জের প্রয়োজন হয় না। তাই আপনারা চাইলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনার প্রয়োজনীয় যে কোন তথ্য অন্যান্য চার্জ ছাড়াই বিনা বাধায় বা কোন ঝামেলা ছাড়াই ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। এখন আমাদের এখানে দেখতে হবে অর্থনীতির জনক কে। শুধু অর্থনীতির জনক বলতে একজনকে বোঝায় এবং আবার যদি বলা হয় আধুনিক অর্থনীতির জনক কে সেটি আর একজনকে বোঝানো হয়। আবার এটাও বলা যেতে পারে যে খ্রিস্টপূর্বাব্দে অর্থনীতির জনক কে ছিলেন।

তাই এখানে তিন ধরনের প্রশ্নের উত্তর হতে পারে।
অর্থনীতির জনক অ্যাডাম স্মিথ।
অ্যাডাম স্মিথ ১৯৭৬ সালের তার লেখা An inquiry into the nature and causes of the wealth of nation. এই বইয়ে তিনি অর্থনীতির মূল বিষয় গুলোর ধারণা দেন। এই বই প্রকাশের পর বিশ্বজুড়ে তার প্রশংসা ছড়িয়ে পড়ে।

আধুনিক অর্থনীতির জনক কে ?
পল এন্থনী স্যামুয়েলসন (জন্ম ১৫ই মে ১৯১৫) তিনি একজন বিখ্যাত মার্কিন অর্থনীতিবিদ। তিনি ১৯৭০ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পান।

এছাড়াও অর্থনীতির জনকের কথা বললে প্রাচীন ভারতীয় অর্থনীতিবিদ কে বোঝানো যেতে পারে তিনি কৌটিল্য। যিনি চাণক্য নামেও পরিচিত। তার জন্ম খ্রিস্টপূর্বাব্দ ৩৭০ অব্দে। তিনি তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ছিলেন। তার আসল নাম বিষ্ণু গুপ্ত। তিনি পরে রাজা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের প্রধান উপদেষ্টা হন। খ্রিস্টপূর্বাব্দের অর্থনীতির জনক হিসেবে তাকেও বলা যেতে পারে। কারণ অর্থনীতি এবং দেশনীতি সমরনীতি ইত্যাদিতে কৌটিল্য অর্থাৎ চাণক্যের নাম আমাদের এই উপমহাদেশে অর্থাৎ বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত আছেন।

এখানে আমরা অর্থনীতির তিন সময়কার জনকের নাম প্রকাশ করলাম। তবে অর্থনীতির জনক বলতে অ্যডাম স্মিথকে বোঝায়। এবং আধুনিক অর্থনীতির জনক বলতে পল স্যামুয়েলসন এর নাম বোঝায়। যে দেশ অর্থনীতিতে শক্তিশালী পৃথিবীতে সেই দেশে শক্তি নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করে। তাই আমরা অর্থনীতিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় স্থান দিয়েছি। তাই মানুষের জীবনে অর্থনীতির ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়। একটি দেশের অর্থনীতি যত মজবুত সেই দেশ তত শক্তিশালী বিবেচনা করা হয়। সেই দিক থেকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে একই ভূমিকা দেখা যায়। যারা অর্থনৈতিক দিক থেকে শক্তিশালী তারা সমাজ রাষ্ট্র, দেশ পরিচালনায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে বা তাদেরকেই সর্ব প্রথমে স্থান দেওয়া হয়।

এ ধরনের সকল তথ্য আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে পেয়ে থাকবেন তাই আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি বারবার ভিজিট করুন এবং এখান থেকে আপনার প্রয়োজনীয় যে কোন তথ্য নিতে পারেন বা দেখতে পারেন। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করলে আমাদের আরও তথ্য বেশি বেশি তথ্য সঠিক তথ্য উপস্থাপন করতে আমরা উৎসাহ বোধ করব। এবং সকল তথ্য প্রকাশ করে আপনাদের পাশে থাকবো।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*