
আপনারা যারা রোমান্টিক কবিতা পড়তে পছন্দ করেন তাদের জন্য আজকে আমাদের ওয়েবসাইটের রোমান্টিক কবিতার কালেকশন নিয়ে আসা হয়েছে। আপনাদের ভেতরে অনেকে আছেন যারা রোমান্টিক কবিতা পড়তে গিয়ে দুই একটি কবিতা পড়ে ভালো লাগে না এবং আরো কবিতা পড়ার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। আর সেজন্য আপনাদের উদ্দেশ্যে আজকে আমরা ১৮ এর অধিক কবিতা সংগ্রহ করেছে যেগুলো রোমান্টিক এবং যেগুলো সব সময় বেশি সময় পঠিত হয়ে থাকে।
তাই কবিতা পড়ার ক্ষেত্রে আমাদের ওয়েবসাইটের কবিতাগুলো আপনারা পড়ুন এবং এগুলো যদি প্রিয় জনকে উপহার দিতে চান তাহলে কপি করে নিয়ে তাদেরকে উপহার দিয়ে দেন। অথবা আপনারা যদি চান তাহলে মেসেঞ্জার অথবা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভয়েস রেকর্ডিং এর মাধ্যমে সুন্দর একটি কবিতা যদি পাঠ করে তাদেরকে শোনাতে পারেন তাহলে দেখবেন যে সেই মানুষটি সবচেয়ে বেশি খুশি হবে। নিচে আপনাদের জন্য ১৮ এর অধিক কবিতা প্রদান করা হলো যেগুলোর মধ্য থেকে আপনাদের যে কোন একটি কবিতা অবশ্যই পছন্দ হবে।
কবিতা মানুষের জীবনকে খুব সুন্দরভাবে আলোচনা করে থাকে এবং কবিতার স্বল্প শব্দ ও বাক্যগুলো আমাদের ভেতরে গভীর জীবন বোধের দিকগুলো স্পষ্ট করে। প্রকৃতপক্ষে সাহিত্যের একটি অন্যতম ধারা হলো কবিতা এবং এই কবিতা যদি আপনারা পাঠ করতে পারেন তাহলে দেখবেন যে একটা লেখক কত সুন্দরভাবে মনের মাধুরী মিশিয়ে কয়েকটি শব্দ ব্যবহার করার ভিত্তিতে মানুষের জীবনকে উপস্থাপন করেছে একজন পাঠকের কাছে। তাই কবিতা, সাহিত্যের একটি অন্যতম উপাদান অথবা ধারা হিসেবে এটা যদি আপনারা পড়তে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে এখান থেকে সাহিত্যের আসল রস আস্বাদন করতে পারছেন।
তাছাড়া উপন্যাসে অথবা লিখিত কোন বক্তব্যে আপনারা যখন কোন সাহিত্য পড়তে যাবেন তখন সেটা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ থাকবে বলে সেটা যে কোন মানুষ বুঝতে পারবে। কিন্তু আপনি যদি প্রকৃতপক্ষে একজন সাহিত্য প্রেমী হয়ে থাকেন তাহলে অল্প কিছু শব্দের মাধ্যমে জীবনের আসল অর্থ এবং লেখক তার মনের ভেতরে কি কি চিন্তাভাবনার মাধ্যমে এটি লিখেছে তা বুঝতে পারবেন। বিশেষ করে রোমান্টিক কবিতা একজন রোমান্টিক মানুষকে অথবা মনের মানুষকে খুব সুন্দরভাবে সংজ্ঞায়িত করতে পারে যা অন্য কোথাও আমরা পাইনা। সাহিত্যের আদি নিদর্শন হিসেবে কবিতা সেই সময় থেকে যেমন চলে আসছে তেমনি ভাবে বর্তমান সময়ও এটার আবেদন হারায়নি।
বাসর রাতের গান
তোমার বাসরে হানা দেবো বলে পেতেছি অনেক ফাঁদ
তোমার দুগাল চুমোয় ভরাবো মনে ছিলো তার সাধ
ঠোঁটে ছড়ানো গোলাপের রেণু মৌ মৌ তার ঘ্রাণ
একটি মোহনায় মিলে গেছে দুটি দূর অজানার প্রাণ।
প্রাণের সাথে প্রাণ মিলে যে বেজেছে বাঁশির সুর
মনের কালিমা মুছে গেছে আজ বাধা হলো সব দূর
দূরের অতিথি আরো কাছে আসে বন্ধু তোমার সাথে
দিলের কথক গান গায় আজ হাত রেখে তার হাতে।
তারা ফোটে আজ তোমার খোপায় তারা ফুল মালা গেঁথে
বনের কলিরা ফোটে দেখো আজ তোমার গন্ধ পেতে
বনের পাখিরা কণ্ঠ সাধে না তোমার কণ্ঠ শুনে
সুরে সুরে দেখো প্রেমের মিতালি স্বপ্ন ছন্দ বুনে।
ছন্দ বিনুনি দোল খায় পিঠে টোল খায় চাঁদ গালে
হৃদয়ের কথা নিঃশ্বাসে বাজে হৃদয়ের তালে তালে
সেই তালে দেখো ঝরনাও হল তোমার পায়ের নূপুর
অলস সকালে প্রাণ ফিরে পায় পদ্ম ফোটানো পুকুর।
পুকুরের পানি তোমার ছোঁয়াতে ঢেউ তোলে তালে তালে
দখিনা বাতাসে মেঘ উড়ে যায় আকাশের পালে পালে
হঠাৎ একি পাল খুলে হয় তোমার মাথার উড়–নি
পাপড়িরা মেলে ডানা কেনো আজ; নির্বাক ফুলকুড়–নি।
নিঃশ্বাসে ছোটে ফুলের গন্ধ জান্নাতি হুর সম্মুখে
চোখের পাতায় কথা কয় আজ সুখদ ছড়ানো সুখে
মুখ তুলে চায় নিষ্পাপ হাসি চোখ তুলে চোখে চোখে
এ ভাষার মানে বুঝিনি তো আগে মন কাঁদে শোকে শোকে।
শোকের পানিতে সুখ ভাসে শুধু শীতল পাটিতে নেমে
চাহনির খেলা খেলে যায় শুধু পলকেই থেমে থেমে
দুজনার মন অজানা তিথিতে মিশে যায় মোহনায়
প্রকৃতির রূপে রূপ ঢেলে দেয় নয় শুধু গহনায় ।
কাছের অতিথি আরো কাছে আসে দুজনায় ভালোবেসে
রাত হাসে শুধু পূর্ণিমা রাতে দুজনার কাছে এসে।
স্বপ্ন গেলাসের সুখস্মৃতি
তোমার প্রেমের আঁচল দিয়ে ভরাও তুমি প্রেমের ভরা মাঠ
তোমার মনের মিষ্টি কথায় করো তুমি আমার হৃদয় পাঠ
বাদলা আকাশে ময়ূরের পাখা তোমার খোপাায় গুঁজে
নিঝঝুম রাতে তার ছোঁয়া নেই দুই চোখ বুজে বুঁজে।
রূপালি চাঁদের জোছনার ঢল তোমার দুগালে নামে
কেশর দোলানো দখিনা বাতাস কালো চুলে আজ থামে
জোছনার নদী উথলিয়া ওঠে ভরা নদী ফোঁসে রাতে
হৃদয়ের কথা মাঝিকেই বলে বৈঠার মোলাকাতে
এপােেরর সাথে মিতালি এবার ওপারের স্মৃতিকথা
দুই হৃদয়ের প্রথম পাঠেতে স¤প্রীতি বাড়ে যথা।
মনের গহীনে মন ঢুকে গেলে ণ কাঁপে থিরথির
আতশি মনের পিঠ বেয়ে নামে সুখস্মৃতি তিরতির
স্বপ্নের গেলাস চুমুকে উজাড় তৃপ্তিতে ফেলে শ্বাস
দুটি মন আজ এক হয়ে গেছে শাশ্বত বিশ্বাস।
প্রেমের পথের প্রেমিকবেলা
খোপায় তোমার লুকিয়ে ছিলো নীলাভ ঢেউয়ের রাশি
অধরের মাঝে ফোটালে তুমি লাল গোলাপের চুম
তোমার উদার বুকের মাঝে অবিরাম দেই ঘুম
ডাগর দুখানি চোখের পাতা বলে দেয় ভালোবাসি।
কোন আকাশের তারায় তোমার নাকের ফুলটি দিলে
কোন ভ্রমরের পালকে সাজালে টানাটানা দুই ভুরু
নীলের গালিচা দুই পায়ে দলে পথ চলা হল শুরু
কার বাগানের কাঁচা হলুদে শরীর রাঙায়ে নিলে।
রূপার পানিতে ভিজায়ে আঁচল ঢেউ তুলে ডুব দিলে
উথলিয়া ওঠা ঢেউগুলো বলো কার মনে দেয় দোলা
হলুদ আঁচল বাতাসে দোলায় ভেজা চুল রয় খোলা
সবুজ আঁচলে লাল শাপলা ফিক করে হাসে বিলে।
তোমার পথের চিহ্নে চলেছি আঁধারের পথ কত
বিলের কোমর পানিতে নেমে শাপলা শালুক তুলে
বাড়িয়ে দিয়েছি তোমার প্রতি অচেনা মনের ভুলে
গভীর রজনী কাটিয়ে দিয়েছি জোছনায় অবিরত।
প্রেমের পথের প্রেমিকবেলায় স্মৃতির সাগরে হেঁটে
রাখবে কেমনে ফুলের বাগানে সুরভী খিলান এঁটে
আজকে তোমার নরম দুগাল আমার দুহাতে তুলে
তোমার ডাগর দুচোখ পানে চেয়ে গেছি সব ভুলে।
তাই কবিতা পাঠ করা যদি আপনার নেশা হয়ে থাকে এবং কবিতা পাঠ করতে যদি আপনার ভালো হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের জন্য ১৮ এর অধিক যে সকল কবিতা প্রদান করা হয়েছে সেগুলো পড়ে নেবেন। কবিতা পাঠ করলে আপনি শুদ্ধ সাহিত্যের চর্চা করতে পারবেন এবং এই চর্চার মাধ্যমে নিজের ভেতরের যে চিন্তা ধারা অথবা মনোনশীলতা রয়েছে সেগুলো খুব সুন্দর ভাবে প্রকাশ পাবে।
যেহেতু আমাদের ওয়েবসাইট ইতিমধ্যে ভিজিট করেছেন এবং কবিতা পাঠ করার জন্য এসেছেন সেহেতু এখানকার রোমান্টিক কবিতাগুলো আপনাদের মনে আনন্দের খোরাক এবং কোন বিশেষ মানুষকে খুব সুন্দরভাবে সংগৃহীত করার জন্য সাহায্য করবে। তাছাড়া মনের মানুষকে খুব সুন্দর ভাবে সংজ্ঞায়িত করার জন্য কবিতা আপনাদেরকে এতটাই সাহায্য করবে যা আপনি কোন মানুষের কাছে অন্য কোনো বিষয় উপস্থাপন করার মাধ্যমে পারবেন না। তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের দেওয়ার রোমান্টিক কবিতা গুলো পড়ে নিন।
Leave a Reply