আবহমান বাংলার ছবি জীবনানন্দ দাশের কবিতায় কিভাবে চিত্রিত হয়েছে

আবহমান বাংলার ছবি জীবনানন্দ দাশের কবিতায় কিভাবে চিত্রিত হয়েছে

কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতায় খুব সুন্দর ভাবে আবহমান বাংলার ছবিগুলো ফুটিয়ে তোলা

হয়েছে। বিভিন্ন পরীক্ষায় অথবা বিভিন্ন লেখনীতে জানতে চাওয়া হয় যে আবহমান বাংলার ছবি জীবনানন্দ দাশের কবিতায় কিভাবে চিত্রিত হয়েছেন। আর তাই আজকের এই আয়োজনে আমরা আপনাদেরকে জীবনানন্দ দাশের কবিতা কিভাবে আবহমান গ্রাম বাংলার চিত্রগুলো চিত্রায়িত করেছে তা জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। আপনি যদি সঠিক প্রশ্নের উত্তর পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোস্টের মাধ্যমে আবহমান গ্রাম বাংলার ছবি কিভাবে চিত্রায়িত করেছেন তা জেনে নিতে পারেন।

তিনি তার প্রত্যেকটা কবিতাই গ্রাম বাংলার ছবি এত সুন্দর ভাবে চিত্রিত করেছেন যে অন্য কবিরা তা করেননি। গ্রামে বসবাসকারী একজন ব্যক্তি দীর্ঘ সময় শহরে বাস করার পর যদি জীবনানন্দ দাশের কবিতা গুলো পড়ে তাহলে মনে হবে যে গ্রাম বাংলার ছবিগুলো চোখের সামনে ভেসে উঠেছে এবং শৈশব স্মৃতি আরো ভালোভাবে প্রকৃতির সঙ্গে নির্জনতার যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে সেগুলো ফুটে উঠেছে। জীবনানন্দ দাশের কবিতার ভাষা অনুসারে তাকে বলা হয় তিমির ধরনের কবি অথবা নির্জনতার কবি এবং রূপসী বাংলার কবি।

তিনি প্রকৃতির উপযুক্ত একটি ফসল হিসেবে নিজেকে প্রতিপালন করেছেন বিভিন্ন কবিতার ভিতরে। কবিতার মাধ্যমে নিজেকে প্রকৃতির কাছে সঁপে দিয়েছেন এবং প্রকৃতির কোলে শুয়ে থেকেছেন। প্রকৃতির মাঝে যে সূর্য উঠে সেই সূর্যের আলো পরম মমতায় গায়ের সঙ্গে মেখে নিয়েছেন। সূর্যের আলোয় নেচেছেন এবং গেছেন ভাসানের গান। তাছাড়া কবিতার মাধ্যমে তিনি উপভোগ করেছেন মাথুর পালার শৈল্পিকতা।

তিনি প্রকৃতির সঙ্গে কতটা যে একাত্মতা ঘোষণা করেছে তা যদি আমরা তার কবিতা না করি তাহলে বুঝতে পারব না। গাছের নরম বিছানায় যেমন তিনি ঘুমিয়েছেন তেমনি শীতের সকালের শিশিরের নরম জলে পা ভিজিয়েছেন। তাছাড়া প্রকৃতির নির্জনতাকে তিনি এত সুন্দর ভাবে উপভোগ করেছেন যে প্রকৃতির প্রত্যেকটি উপাদান তার চোখের সামনে ফুটে উঠেছে। প্রকৃতির এই নির্জনতার মাঝে তিনি নিজেকে খুঁজে পেয়েছেন এবং নিজেকে নতুন ভাবে আবিষ্কার করেছেন। প্রকৃতির মধ্যে যে সকল পাখির বসবাস রয়েছে সেগুলো কিভাবে প্রকৃতিকে প্রাণ উজ্জ্বল করে তুলেছে তা তার কবিতায় আমরা বুঝতে পারি।

তিনি তার সর্বোচ্চ দৃষ্টিশক্তি দিয়ে এবং সর্বোচ্চ যোগ্যতা নিয়ে প্রকৃতিকে এঁকেছেন তার নিজের মানসপটে। গতানুগতিক যে সকল লেখক রয়েছেন তারা তাদের মানষে প্রকৃতির মাঝে যে সৌন্দর্য রয়েছে তাতে মুকুট পড়ানোর পরেই কেবল কবিতার প্রতিফলন ঘটিয়ে থাকেন। অর্থাৎ গ্রাম বাংলার আবহমান চিত্র এবং গ্রাম বাংলার আবহমান প্রকৃতির সঙ্গে যে সকল একাত্মতা তিনি কবিতার মাধ্যমে এবং শব্দের মাধ্যমে প্রদান করেছেন তা একেবারে অনবদ্য। তাই আমরা যদি বলতে চাই জীবনানন্দ দাস তার কবিতায় কিভাবে গ্রাম বাংলার আবহমান চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন তাহলে বলবো এটাই একেবারে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

তিনি তার কবিতায় নিজের যে প্রতিভা স্বাক্ষর করেছেন তার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি প্রকৃতি কথা সুন্দর এবং প্রকৃতির প্রতি এক ধরনের ভালোবাসা তার কবিতা পড়লে এমনিতেই সৃষ্টি হয়ে যায়। আর সেই জন্য কবি তার কবিতার ভাষায় বলেছেন যে তিনি বাংলার প্রকৃতির দেখে যে শান্তি পেয়েছেন তাতে পৃথিবীর অন্য কোন সৌন্দর্য দেখতে চান না।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*