আপনারা যারা সন্তানের আকিকা দেওয়ার জন্য নিয়মকানুন জানতে চাচ্ছেন এবং এটি সম্পর্কে হাদিস জানতে চাচ্ছেন তাদের জন্য হাদিস উল্লেখ করা সহ আকিকা করার সময় কোন দোয়া পাঠ করতে হয় তা এই পোষ্টের মাধ্যমে জানিয়ে দেব। সন্তান জন্মগ্রহণ করার সাত দিনের ভেতরে আকীকা করা সুন্নত এবং এক্ষেত্রে আমাদের দেশের এখন প্রত্যেকটি পিতা-মাতা আকিকা দিয়ে থাকেন। তবে অতীতে অনেক পিতা-মাতা রয়েছেন যারা নিজেদের আর্থিক সমস্যার কারণে পরবর্তীতে দিয়ে থাকেন। আবার অনেকেই আছেন যারা কোরবানির পশুর দুই ভাগের সঙ্গে সন্তানের যে আকিকা দিবেন সেই আকিকার নির্দিষ্ট ভাগ অনুসারে একটি পুরোপুরিভাবে গরু অথবা ও অথবা দুম্বা কিনে থাকেন।
তবে যাই হোক যারা আকিকা দিবেন তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী যদি সন্তানের আকিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে সাত দিনের ভেতরে এই কাজটি সম্পন্ন করেন এবং প্রত্যেকটি নিয়ম-কানুন অনুসরণ করে করেন তাহলে দেখা যাবে যে সেটা আপনার সন্তানের জন্য কল্যাণ করা হবে। সাত দিনের ভেতরে যে আকিকা দিবেন সেটা হবে সুন্নত পালন করা এবং পরবর্তীতে আপনারা যেটা দিবেন অথবা আর্থিক সমস্যার কারণে পরবর্তীতে যদি আকিকা দিয়ে থাকেন তাহলে সেটাও বৈধ হবে। তবে আকিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে চেষ্টা করবেন সন্তান জন্মগ্রহণ করার সাত দিনের ভেতরে দেওয়ার।
এতে করে দেখা যাবে যে অনেক মানুষ একত্রিত হতে পারবে এবং আপনার সন্তানকে দোয়া করার পাশাপাশি খুব সুন্দর ভাবে পারিবারিকভাবে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়ে যাবে। তবে যাই হোক না কেন আপনারা যারা আকিকার নিয়ম কানুন সম্পর্কে অবগত হতে চান তাদেরকে বলবো যে আকিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে সন্তান জন্মগ্রহণ করার কয়েক দিনের ভেতরেই আপনারা আকিকার পশু নির্বাচন করবেন। পশু নির্বাচনের ক্ষেত্রে আপনাদেরকে বলব যে কোরবানির পশুর ঠিক যেভাবে আপনারা নির্ধারণ করে থাকেন ঠিক একই নিয়ম অনুসরণ করে আপনাদেরকে তা করতে হবে।
যদি ছেলে সন্তান হয় তাহলে তার জন্য দুইটা ছাগল এবং যদি মেয়ে সন্তান হয় তার জন্য একটি ছাগল দিয়ে আকিকা করতে হবে। যদি আপনারা গরু দিয়ে সেখানে সাতটি ভাগের মাধ্যমে করতে চান তাহলে তাও করতে পারেন। তবে যদি সুন্নত পালন করতে চান তাহলে ছাগল দিয়ে আকিকা করা সবচাইতে ভালো। গরু দিয়ে করলে যে আপনাদের আকিকা হবে না বিষয়টা এরকম নয়।
তাই আকিকা করার ক্ষেত্রে আপনারা পশু নির্বাচন করবেন এবং সাত দিনের মাথায় সন্তানের চুলগুলো কামিয়ে দিতে হবে এবং একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তি দ্বারা এবং যদি পারেন তাহলে মসজিদের ইমাম দ্বারা অথবা পরহেজগার ব্যক্তি দ্বারা এই আকিকার পশু জবাই করতে পারবেন। আগেকার পশু জবাই করার ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট দোয়া আছে এবং এই দোয়ার ভেতরে সন্তানের নাম অথবা তার পিতার নাম উল্লেখ করতে হয়।
এক্ষেত্রে আপনারা যদি বুঝতে না পারেন তাহলে দোয়া জেনে নেওয়ার উদ্দেশ্যে একজন ইমামের সঙ্গে পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন। যদি সন্তানের পিতা হয়ে আকিকার দিতে চান অথবা আকিকার পশু জবাই করতে চান তাহলে তা করতে পারবেন। যাইহোক প্রত্যেকটি কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করে এই পশুর মাংস সকলের মাঝে সমান হয়ে বন্টন করতে হবে।এতে করে আপনারা মহান আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি যেমন অর্জন করতে পারবেন তেমনি ভাবে সন্তানের জীবন কল্যাণকর হয়ে যাবে।
Leave a Reply