বর্তমানের আপডেট অনুযায়ী আপনারা যদি প্রতিবন্ধী ভাতা কত টাকা প্রদান করে তা জানতে চান তাহলে আমরা আপনাদেরকে সেটা জানিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। যারা প্রকৃতপক্ষে প্রতিবন্ধী এবং বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে অক্ষম তাদেরকে সরকার সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে এ প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার জন্য আবেদন করার জন্য জানিয়ে দিয়েছেন। তাছাড়া আপনি যদি প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার জন্য মনোনীত হয়ে থাকেন তাহলে নির্দিষ্ট সময় পর পর মোবাইল ফোনের ব্যাংকিং এর মাধ্যমে এই টাকা চলে আসবে। তাই যারা প্রতিবন্ধী ভাতা পেতে চান তাদেরকে যথাযথ কাগজপত্র প্রদর্শন করার মাধ্যমে এটা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার সাধারণ জনগণদের সেবা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে যাতে করে কোন জনগণ কোন ধরনের ভোগান্তির শিকার না হয়। তাছাড়া বর্তমান সময়ে ডিজিটাল সেবা কেন্দ্র স্থাপন করার মধ্য দিয়ে আপনারা উপজেলা অথবা নির্দিষ্ট একটি স্থানে গিয়ে এই সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। আর এই ক্ষেত্রে যারা সমাজে প্রতিবন্ধী আছে এবং জন্মগতভাবে প্রতিবন্ধী হওয়ার পাশাপাশি যারা পরবর্তীতে কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রতিবন্ধী হয়ে গিয়েছেন তারা চাইলেই আবেদন করতে পারেন।
কিন্তু প্রতিবন্ধী হওয়ার ক্ষেত্রে আপনারা শুধু মনগড়া তথ্য দিলেই হবে না বরং আপনাদেরকে রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের দ্বারা প্রত্যয়ন পত্র গ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ একজন চিকিৎসক যদি এটা পরীক্ষা করে বুঝতে পারে আসলেই প্রতিবন্ধী এবং তার ভেতরে প্রতিবন্ধীর লক্ষণগুলো স্পষ্ট তখন সেই প্রত্যয়ন পত্র প্রদান করলে সেটা দিয়ে আবেদন করতে পারবেন।
কারণ অনেক মানুষ রয়েছে যারা প্রতিবন্ধী না হওয়ার পরও শুধু ভুয়া সার্টিফিকেট সংগ্রহ করার মাধ্যমে এগুলো গ্রহণ করে থাকেন। তাছাড়া পারিবারিকভাবে সচ্ছল এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা প্রতিবন্ধী টাকা গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে অন্য আরেকজন গরিব মানুষকে বঞ্চিত করে। সবকিছু মাথায় রেখে আপনারা যখন প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার জন্য আবেদন করবেন তখন সেটা খুবই ভালো হবে এবং যাচাই-বাছাই শেষে আপনাদের নির্ধারিত তারিখে টাকা প্রদান করা হবে।
আমাদের সমাজে কোন প্রতিবন্ধী যেন কারো কাছে বোঝা হয়ে না থাকে অথবা সরকারি উদ্যোগে যেন তাদের কিছুটা হলেও ভরণপোষণ করা যায় তার জন্য এই ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করা হয়েছে। একটা মানুষের পুরোপুরি ভরণপোষণ বহন করা সম্ভব না হলেও সরকারি উদ্যোগে এই ভাতা প্রদান করার মাধ্যমেই অনেকটাই সাহায্য করা সম্ভব। সরকারিভাবে যে সকল আয় হয়ে থাকে সেই সকল আয় থেকে প্রতিবন্ধীদের মধ্যে কিছুটা অংশ বিতরণ করার মধ্য দিয়ে এই ব্যয় করা হয়।
তাই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের যেহেতু হক রয়েছে এবং তারা যেহেতু বাস্তব জীবনে ভরণ প্রকাশন করার জন্য সরকারি ভাতা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করে থাকে সেহেতু এই টাকা প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর নির্দিষ্ট সময়ই পড়ে প্রদান করা হয়। আর এই ক্ষেত্রে আপনারা যারা প্রতিবন্ধী ভাতা সম্পর্কে জানতে এসেছেন তাদেরকে বলব যে প্রত্যেক মাসে ৭৫০ টাকা করে তিন মাস পরে ২২৫০ টাকা করে এই টাকা প্রদান করা হয়।
তবে বর্তমান অর্থবছরে অর্থাৎ ২০২৩ সালের আপডেট অনুযায়ী আমরা জানতে পেরেছি যে এই ভাতা যেন প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে একশো টাকা করে বৃদ্ধি করা হয়। আর যদি টাকার যোগাড় হয়ে থাকে তাহলে প্রত্যেক মাসে ৮৫০ টাকা করে পাবে এবং তিন মাস পর ২৫৫০ টাকা করে প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদান করা হবে। তাছাড়া বর্তমান সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এর যে সিস্টেম চালু করা হয়েছে তাতে করে একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির যদি মোবাইল ব্যাংকিং এর একাউন্ট ঠিকঠাক থাকে তাহলে সেই একাউন্টে টাকা পৌঁছে যাচ্ছে।
কিন্তু অনেকের কাছে পিন নাম্বার এবং অন্যান্য বিষয়গুলো উপস্থাপন করার মাধ্যমে এই টাকা দুষ্টচক্র হাতিয়ে নিচ্ছে। সকলকে এ বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য বলা হলো এবং কেউ আপনাকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচয় দিয়ে যদি পিন নাম্বার চেয়ে থাকে তাহলে সেটা কখনোই প্রদান করবেন না। সর্বোপরি, প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে স্বাগতম জানিয়ে এই পোস্ট এখানেই শেষ করছি।
Leave a Reply