আমাদের সমাজে কাউকে নতুন বিয়ে করতে দেখলে বন্ধু-বান্ধবদের বলতে শোনা যায় যে, বন্ধু অবশ্যই তোকে বাসর রাতে বিড়াল মারতে হবে। যারা একটু চালাক ধরনের আছে অথবা যারা একটু বাস্তব বুদ্ধি জ্ঞান সম্পন্ন আছেন তারা হয়তো এটার সঠিক অর্থ বের করতে পারেন এবং যারা এটার অর্থ বের করতে পারেন না তারা এসে গুগলে সার্চ করেন। আর আপনাদের কথা ভেবে আজকে আমাদের ওয়েব সাইটে বাসর রাতে বিড়াল মারা কথাটির অর্থ কি এ সম্পর্কে সঠিক ধারণা প্রদান করব এবং আজকের এই পোস্ট থেকে আপনারা এই তথ্যটি জেনে নিতে পারবেন বলে আশা করছি।
আপনারা যখন আসলেই এই কথাটির অর্থ জানতে চান তখন আপনাদেরকে আমরা সঠিক তথ্য প্রদান করার মাধ্যমে এ বিষয়ে অবগত করব এবং আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোস্ট শেষ পর্যন্ত পড়বেন। তাহলে প্রকৃত অর্থে এটার অর্থ আপনারা জেনে নিতে পারবেন এবং কেউ আপনাকে এই অর্থ পড়লে আপনিও তাকে হয়তো বুঝিয়ে দিতে পারবেন।
আমাদের সমাজে বিয়ের মত একটি সুন্দর অনুষ্ঠান বিভিন্ন মানুষের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে এবং এক্ষেত্রে একজন পুরুষকে সবসময় বলে দিতে হয় যে অবশ্যই সে যেন বাসর রাতের বিড়াল মারে এবং এই বিড়াল মারার মধ্যে সংসারে শান্তি আসবে। প্রকৃতপক্ষে এই বিড়াল মারা অর্থে কি অর্থ বোঝানো হয় তা অনেকেই বুঝতে পারেন না এবং অনেকেই নেতিবাচক অর্থে গ্রহণ করে থাকেন এবং অনেকেই ইতিবাচক অর্থে গ্রহণ করে থাকেন। তাই আপনি যখন এটার অর্থ জানতে এসেছেন তখন আপনাদের উদ্দেশ্যে সঠিক ধারণা প্রদান করব যাতে করে আপনারা এ বিষয়ে সঠিক তথ্য জেনে নিয়ে নিজের ভেতরের কনফিউশন গুলো দূর করতে পারেন।
খুব তেতো হলেও সত্য যে বর্তমান সময়ের মেয়েরা আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠেছে এবং এই আত্মনির্ভরশীলতার কারণে অনেকেই দেখা যাচ্ছে যে বিবাহ বিচ্ছেদের মত ঘটনার ক্ষেত্রে মেয়েরা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ করছে না। তাছাড়া সবার ক্ষেত্রেই পসেসিভনেস বিষয়টা থাকার কারণে সকলেই বিয়ের পরে স্বামীকে নিজের করে পেতে চাই এবং এই কারণে স্বামীর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে সম্পর্কের ভাটা পড়ে। প্রকৃতপক্ষে একটা ছেলেকে মানুষ করতে একজন বাবা-মায়ের সারা জীবন অনেক কষ্ট করতে হয় এবং একজন ছেলে যখন বিয়ের পরে নিজের বউকে নিয়ে আলাদা সংসার করে অথবা বাবা-মাকে যখন কষ্ট দেয় তখন সেই কষ্টের চাইতে আর বড় কোন কষ্ট হতে পারে না।
বাসর রাতে আপনি আপনার স্ত্রীকে ঠিক কিভাবে বোঝাবেন যে আপনার বাবা-মা আপনার জীবনের সফলতার পেছনে অথবা বর্তমান অবস্থার পেছনে নিজেদের সারা জীবন কে আত্মত্যাগ করেছেন। আপনার স্ত্রী যদি একজন মানুষ হয়ে থাকে এবং তার ভেতরে যদি মানুষ নামক বিষয়টি থেকে থাকে তাহলে আপনার এই বিষয়গুলো বুঝতে পারবে।
তাছাড়া যারা একটু বেয়াদব ধরনের আছে অথবা যারা মনে করে বিয়ের পরে স্বামীকে নিয়ে আলাদা ভাবে থাকবো এবং স্বামীর পরিবারের কোন মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবো না তাদেরকে একটু শাসনের দৃষ্টিতে দেখলে দেখা যাবে যে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তাই স্ত্রীকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বাসর রাতেই যখন আপনি তাকে এ সকল বিষয় বোঝানোর পাশাপাশি আপনার ভেতরের যে রাগের বিষয়গুলো আছে সেগুলো যদি বুঝিয়ে দিতে পারেন কথার মাধ্যমে তাহলে দেখা যাবে যে বাসর রাতে সেই বিড়ালটি মারা হয়ে যাচ্ছে।
অর্থাৎ আপনার স্ত্রী আপনার সাথে যেমন কোনো খারাপ ব্যবহার করতে পারবেনা আবার আপনার পরিবারের কোনো সদস্যের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে পারবেনা। তাই বাসর রাতে স্ত্রীকে এমন ভাবে বোঝাবেন অথবা কথাবার্তার মাধ্যমে এমনভাবে আপনার পিতামাতার প্রতি ভালোবাসার কথাগুলো প্রকাশ করবেন যাতে করে আপনার স্ত্রী কখনোই কারো দিকে খারাপ নজরে তাকাতে না পারে অথবা কারো প্রতি খারাপ ব্যবহার করতে না পারে।
আর আপনি যখন নেতিবাচক অর্থে এটা গ্রহণ করতে চাইবেন তখন বলা হয়ে থাকে যে বাসর রাতে বিড়াল মারা মানে স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া। এক্ষেত্রে দুজনেই সন্তুষ্ট থাকতে পারে এবং দুজনেই বুঝতে পারে একে অন্যের প্রতি দুর্বলতা এবং ভালোবাসা।
Leave a Reply