bts সম্পর্কে ইসলাম কি বলে

bts সম্পর্কে ইসলাম কি বলে

বর্তমান সময়ের একটি আলোচিত বিষয় হচ্ছে বিটিএস এবং তাদের ফ্যান। এই বিটিএস সম্পর্কে ইসলাম কি বলে সেই সম্পর্কে আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব। আপনি যদি এ বিষয়ে কোনো যুক্তি সঙ্গত কথাবার্তা শুনতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোস্ট অনুসরণ করবেন এবং যদি আপনার এ বিষয়ে বিরোধিতা থাকে তাহলে এই পোস্ট এড়িয়ে যেতে পারেন।

আমরা দল-মত নির্বিশেষে সুন্দরভাবে ইসলামের দৃষ্টিতে বিটিএস সম্পর্কে এবং তাদের যে সকল কার্যকলাপ রয়েছে সে সকল বিষয় সম্পর্কে আলোচনা তুলে ধরার চেষ্টা করব। আমরা মনে করি যে এই পোষ্টের কেউ বিরোধিতা করবেন না এবং এই তথ্যের উপরে কেউ বিরোধিতা করে নিজেদের অসুস্থ মানসিকতার পরিচয় দিবেন না। নিচে আপনাদের জন্য ইসলামিক ব্যাখ্যা অথবা ইসলামিক আলোচনা তুলে ধরা হলো।

সাধারণত বিটিএস যারা রয়েছেন তারা গান করে থাকেন এবং গানের মাধ্যমে নাচ করে থাকেন। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে যেকোনো ধরনের গান-বাজনা হারাম করা হয়েছে এবং বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে যদি গান না করা হয় তাহলে সেটা অবশ্যই হারাম। কেউ যদি গান বাজনা কে হালাল বলে ভেবে থাকেন তাহলে এটা কুফরি করা হবে এবং যারা কুফরি করবে তাদেরকে আমরা কাফির নামে চিনে থাকি। তাই আপনারা যারা এই প্রসঙ্গে বিরোধীতা করবেন যে শুধু বিটিএস এর গান কেন হারাম হবে, তাহলে অন্য কেন গান হারাম হবেনা, তাদেরকে বলব যে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে বাদ্যযন্ত্রসহ যেকোনো ধরনের গান বাজনা হারাম।

যারা বিটিএস ফ্যান রয়েছেন তারা সবসময় ভন্ডামীর ভেতরে থাকেন। কারণ আপনি সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে আল্লাহ এক এবং অদ্বিতীয় এবং তার দেখানো জীবন পথে আমাদের জীবনকে পরিচালিত করা উচিত, কিন্তু আপনি উল্টো দেখে ঠিকই বিটিএস এর গান সমর্থন করছেন এবং এ বিষয়ে কোন কিছু বলতে গেলে তার বিরোধিতা করছেন।

তাহলে স্বাভাবিক দৃষ্টিকোণ থেকে একটা বার ভেবে দেখুন যে আপনি যে বিটিএস ফ্যানের কথা বলছেন অথবা আপনি যে বিটিএস সমর্থন করছেন সেটা ইসলামিক দৃশ্যবন থেকে কতটা শরীয়ত সম্মত এবং কতটা হারাম। তাই যারা বিটিএস এর গান পছন্দ করবেন অথবা এদের সমর্থন করবেন তারা এক ধরনের ভন্ডামি নিজেদের সঙ্গে করছেন যার শাস্তি আপনাদেরকে মৃত্যুর পর অবশ্যই পেতে হবে।

অনেক বিটিএস ফ্যান বিভিন্ন জায়গায় প্রশ্ন করে থাকেন যে আমি ইসলামী দৃষ্টিকোণ মনোভাবের সম্পূর্ণ একজন মানুষ এবং সকল নিয়ম কানুন মেনে থাকি আবার অন্যদিকে বিটিএস এর যাবতীয় কার্যকলাপ সমর্থন করে থাকি। সেই ক্ষেত্রে আপনার প্রশ্নের উত্তরে হবে যে এই পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছে যারা সকল ধরনের ইবাদত বন্দেগী করার পরেও সামান্য ভুলের কারণে অথবা তার অজান্তেই বিভিন্ন ভুলের কারণে জাহান্নামী হবে।

সেইখানে আপনি যদি জেনেশুনে কোন হারাম কাজের সঙ্গে লিপ্ত হয়ে থাকেন অথবা হারাম কাজকে সমর্থন করে থাকেন সেখানে আপনি কিভাবে জান্নাত লাভ করবেন। স্বাভাবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এবং সুস্থ দিক থেকে চিন্তা করলে আমরা বুঝতে পারবো বিটিএসের যাবতীয় কার্যকলাপ ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে নিষিদ্ধ এবং এটা যদি আপনি জেনে শুনে এবং বুঝে করে থাকেন তাহলে এটার পাপের ভাগীদার আপনি নিজেই হবেন।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*