আপনার সার্টিফিকেটে যদি আপনার বাবার নাম ভুল আসে তাহলে সেই ভুল সংশোধন করার নিয়ম আজকে আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন। সার্টিফিকেট হাতে পাবার পর যদি লক্ষ্য করেন সেখানে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের সঙ্গে আপনার অভিভাবকের নামের মিল নেই অথবা আপনার অন্য কোনো তথ্যের সঙ্গে সার্টিফিকেটের নাম এর মিল নেই তাহলে আপনারা এই সার্টিফিকেট এর নাম কিভাবে সংশোধন করবেন তা জানতে আজকের এই পোস্ট শেষ পর্যন্ত পড়ে দেখবেন।
যেহেতু সার্টিফিকেট একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস এবং কর্ম জীবনে প্রবেশের ক্ষেত্রে সার্টিফিকেট এর অরিজিনাল কপি অথবা অনুলিপি প্রদান করা লাগে সেহেতু সেখানে যদি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে বাবার নাম মিল না থাকে তাহলে অনেক ক্ষেত্রে সেই কাজটি আপনার জন্য প্রদান করা হয়ে থাকে না। অর্থাৎ আপনাকে এক কথায় সার্টিফিকেটে ভুলের কারণে কাছ থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয় এবং এই ধরনের ভুলের জন্য আপনার যদি কর্মজীবনে প্রবেশ করা না হয় তাহলে সেটার জন্য আপনি নিজেই বড় ধরনের আফসোস করবেন।
তবে যাই হোক আজকের এই পোষ্ট এর মাধ্যমে আপনারা সার্টিফিকেটে বাবার নাম সংশোধন করার নিয়ম জেনে নিলে এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সেই কাজটি করে নিবেন এবং এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া বলে আপনারা কোন ধরনের সময় নষ্ট না করে ধীরে ধীরে প্রত্যেকটি কাজ সম্পন্ন করে রাখবেন। প্রথমেই বলে রাখি বাবার সার্টিফিকেটের নাম সংশোধন করতে হলে আপনাকে নোটারি পাবলিক করতে হবে এবং পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে হবে।
তাই পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার ক্ষেত্রে আপনারা সার্টিফিকেট এর তথ্য সংশোধন করবেন বলেই তারা কি ধরনের তথ্য সংগ্রহ করবে এবং কী ধরনের বিজ্ঞাপন দিবে তাও ওরা বুঝতে পারবে এবং আপনার থেকে তার জন্য নির্ধারিত পরিমাণ ফি গ্রহণ করবে। আবার নোটারি পাবলিকের ক্ষেত্রে একজন উকিলের কাছে গিয়ে আপনার কথা বললেই অর্থাৎ আপনার সার্টিফিকেটে বাবার নাম সংশোধন করার কথা বললে তারা আপনাকে এ ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান করবে এবং 500 টাকার নোটারি ফী গ্রহণ করে তার এই কাজটি করে দিবে।
এরপরে আপনাকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই বিষয়টি অবগত করলে তারা কোন ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে তা জানিয়ে দেবেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন নাম্বার ব্যবহার করে আপনারা শিক্ষাবোর্ডের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবেন এবং সেখানে আপনার সার্টিফিকেট সংশোধন করার জন্য একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে এবং এই প্রোফাইলের কাজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে করা যাবে।
পরবর্তীতে এই প্রোফাইল ধরে কাজ করলে আপনারা প্রথমবার সোনালী ব্যাংকের নির্ধারিত পরিমাণ ফি জমা দিবেন এবং জমা দেওয়ার পরে আপনাদের শিক্ষা বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সেখানে প্রোফাইল এর মাধ্যমে কি কি তথ্য সংশোধন করতে চান এবং তার জন্য কি কি প্রমাণাদি প্রমাণ করতে চান সেগুলো স্ক্যান করে আপলোড করবেন। এভাবে যখন আপনার সার্টিফিকেট এর যাবতীয় কাজ করবেন তখন আবেদনপত্রসহ আপনারা অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে কাজ শেষ করার পর আবারো একবার ফ্রি প্রদান।
এই টাকা পেমেন্ট আপনাদেরকে আবার সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে করতে হবে এবং সেই টাকা পেমেন্ট এর রশিদসহ শিক্ষা বোর্ডের অফিসে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং আবেদন পত্র এবং টাকা জমাদানের রশিদ জমা দিলে তারা আপনাকে পরবর্তী ধাপ অনুসরণ করতে বলবে। যদি সেখানে আপনার পরিচিত লোক থাকে তাহলে আপনারা খুব সহজেই এই সার্টিফিকেট পেয়ে যাবেন এবং এদের সার্টিফিকেট না পেয়ে থাকেন তাহলে সেখানে হয়তো দালাল মাধ্যমে আপনাদের এই কাজটি করা লাগতে পারে।
Leave a Reply