সদ্য জন্ম গ্রহণ করা অথবা কোন বাচ্চার বয়স যদি কয়েক বছর হয়ে থাকে এবং পিতা-মাতার কারণে তাকে যদি বিদেশ ভ্রমণ করতে হয় অথবা বিদেশে গিয়ে স্থায়ী হতে হয় তাহলে তাকে ই পাসপোর্ট তৈরি করতে হবে। আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে বাচ্চাদের ই পাসপোর্ট কিভাবে তৈরি করতে হবে এবং এই পাসপোর্ট তৈরি করার নিয়ম কি।
তাই আজকে আমাদের ওয়েবসাইটে বাচ্চাদের ই পাসপোর্ট তৈরি করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে এবং আপনারা যদি এই তথ্য পড়েন তাহলে সকল কিছু জানতে পারবেন এবং কি কি কাগজপত্র লাগবে সেটাও বুঝতে পারবেন। বাচ্চাদের ই-পাসপোর্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনাদেরকে বেশ কিছু কাগজপত্র আগে থেকেই সংগ্রহ করে রাখতে হবে। প্রকৃতপক্ষে বড়দের এবং বাচ্চাদের পাসপোর্ট তৈরি করার নিয়ম একই রকমের এবং এক্ষেত্রে অন্য কোনো নিয়ম নেই।
তবে বড়দের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি হয় বলে সেই ব্যক্তি নিজের থেকে নিজের পাসপোর্ট তৈরি করতে পারে এবং এক্ষেত্রে বাচ্চাদের জাতীয় পরিচয় পত্র নেই বলে তাদেরকে পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের সহায়তা গ্রহণ করতে হবে। কোন একটি বাচ্চার যদি পাসপোর্ট তৈরি করতে চান তাহলে আপনাদেরকে বড়দের নিয়ম অনুসরণ করে অর্থাৎ একই নিয়ম অনুসরণ করে অনলাইনে আবেদন করতে হবে এবং আবেদন করার ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করার ব্যাপারে সচেতনতা রক্ষা করতে হবে। কারণ পাসপোর্ট এর মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোন ধরনের ভুল হয়ে গেলে আপনারা পরবর্তীতে একটা ঝামেলায় পড়বেন এবং তথ্য সংশোধন করার ক্ষেত্রে আরও বেশি ঝামেলা হবে।
তাই অনলাইনে আবেদন করার ক্ষেত্রে আপনারা যদি মনে করেন ঘরে বসে করবেন অথবা যেকোনো একটি দোকান থেকে করে নেবেন তাহলে বলব যে আপনারা এক্ষেত্রে অবশ্যই অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সহায়তায় গ্রহণ করবেন এবং পাসপোর্ট অফিসের আশেপাশে অবস্থিত বিভিন্ন দোকান থেকে যদি এটি আপনারা করেন তাহলে সেটা সবচাইতে ভালো হবে। পাসপোর্ট অফিসে আপনারা যে সকল কাগজপত্র বাচ্চাদের পাসপোর্ট তৈরি করার জন্য জমা দিবেন তার ভেতরে আবেদনপত্রের প্রিন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস। এখন আপনাদেরকে বাচ্চার পরিচয় প্রদান সম্পর্কে তার জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকার কারণে জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদান করতে হবে।
এই জন্ম নিবন্ধন সনদ অবশ্যই আপনারা বাচ্চার পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন সনদ অনুসারে অনলাইনে করতে হবে। কারণ অনলাইনে যদি জন্ম নিবন্ধন সনদ যাচাই করে পাওয়া যায় তাহলে পাসপোর্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে। এভাবে জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি দিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি অভিভাবকের অর্থাৎ পিতা এবং মাতার উভয়েরই জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি লাগবে।
এখন আপনাকে এসকল কাগজের সঙ্গে বাচ্চাদের নাগরিকত্ব সনদ এলাকা থেকে সংগ্রহ করতে হবে। আর পেমেন্ট এর বিষয়ে যে সকল যেসব বিষয় বলা হয়েছে সেই নিয়ম অনুসরণ করে আপনারা বাচ্চাদের পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে পেমেন্ট করবেন এবং পেমেন্ট স্লিপ সংগ্রহ করবেন।
এ সকল কাজ যখন সম্পন্ন হয়ে যাবে তখন আপনারা এগুলো পাসপোর্ট অফিসে জমা দিলে আপনার থেকে যে সকল যোগাযোগের নাম্বার রাখল পরবর্তীতে সেই যোগাযোগের নাম্বারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। পরবর্তীতে যদি পুলিশ ভেরিফিকেশন আসে তাহলে সেটি আপনারা করে ফেলবেন এবং আপনারা যখন অনলাইন সার্ভিস এর দোকানে কাজ করছেন তখন তারাই আপনাদেরকে বলে দেবে যে কিভাবে কোন পর্যায়ে কাজ করতে হবে।
আমরা মনে করে যে বাচ্চাদের ই পাসপোর্ট করার নিয়ম এর ক্ষেত্রে কোন জটিলতা নেই এবং এটি আপনারা খুব সহজেই করতে পারবেন। আর বাচ্চাদের পাসপোর্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে কেউ যদি সমস্যায় পড়েন অথবা কোথাও যদি কোনো বক্তব্য না পারেন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে মন্তব্য বক্সে আপনার প্রশ্ন করতে পারেন। তাহলে আমরা আপনাদেরকে সঠিক উত্তর প্রদান করে তার সমাধান দিয়ে দিব।
Leave a Reply